কলকাতা প্রতিনিধি :
এবারের পশ্চিম বঙ্গ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে ভোটের মাঠে জনতার আকর্ষণ ও আগ্রহের কেন্দ্র ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার ভাইপো লোকসভা সদস্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যের সর্বত্রই তাদের সব সমাবেশে ছিল জনতার উপছেপরা ভীর। ব্যালটেও রাজ্যবাসী তার প্রতিফলন দেখিয়েছেন। এক বৈরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় করে এবার তৃণমূলকে বিজয় অর্জন করতে হয়েছে।
নির্বাচনের পূর্বে দলের অনেক হেভিওয়েট নেতাসহ অসংখ্য নেতাকর্মী দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। এ পরিস্থিতি শক্ত হাতে অতিক্রম করেছেন মমতা-অভিষেক।
এরপরই অভিষেককে ঘিরে দলের কর্মীদের প্রত্যাশা বাড়তে থাকে। অবশেষে যা প্রত্যাশিত ছিল তাই হলো৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক হলেন৷ শনিবার তৃণমূল কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সভায় সর্বসম্মতভাবে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়৷
অভিষেকের ছেড়ে যাওয়া যুব সভাপতির পদে বসলেন টালিগঞ্জের ফিল্মি দুনিয়ার পরিচিত মুখ সায়নী ঘোষ৷ সায়নী বিধানসভায় অগ্নিমিত্রা পালের কাছে পরাজিত হন আসানসোল কেন্দ্রে৷ কিন্তু বিজেপির কাছে পরাজিত হলেও সায়নী আসানসোল ছাড়েননি সেখানকার কোভিড আক্রান্ত মানুষের পাশে থাকার জন্য৷
সায়নীর নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষমতাকে এবার কাজে লাগাবে তৃণমূল৷ এদিনের বৈঠকে তৃণমূলে ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি গৃহীত হয়৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোর কমিটির বৈঠকে বলেন, দলীয় নেতাদের গরু, কয়লা কিংবা বালির চোরাচালানে যুক্ত হওয়া চলবে না৷ মন্ত্রীদের যত্রতত্র লাল বাতির গাড়ি ব্যবহারেও রাশ টানতে বলেছেন মমতা৷
এদিন বিভিন্ন পদে তারুণ্যকে অগ্রাধিকার দিলেও অভিজ্ঞদেরও জায়গা দেয়া হয়েছে৷ তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন দলের মুখপাত্র ও প্রাক্তন সাংসদ কুনাল ঘোষ৷ সম্পাদক হয়েছেন বেচারাম মান্না, আশিস চক্রবর্তী, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অসীম মাঝি৷
শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায়, সর্বভারতীয় ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠনের সভাপতি দোলা সেন, খেতমজুর সংগঠনের সভাপতি পূর্ণেন্দু বসু, রাজ্য মহিলা সভানেত্রী কাকলি ঘোষদস্তিদার ও বঙ্গজননীর প্রধান হন মালা রায়৷
ডিএএম//
Leave a Reply