স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের সাবেক এমডি হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

- Update Time : ০৮:৩০:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪
- / ১৮ Time View
আদালত প্রতিবেদক :
অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আনা মামলায় স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো: হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এই পরোয়ানা জারি করে আদেশ দেন।
হাবিবুর রহমান মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ক্রেডিট ডিভিশনের এভিপি থাকাকালে ১১ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটে। এ মামলায় ওই ব্যাংকের ঋণ গ্রহিতা ‘প্যাট্রিক ফ্যাশনস লিমিটেড’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ফরহাদ হোসেন ও ব্যাংকটির তৎকালিন অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ফরেন এক্সচেঞ্জ ইনচার্জ কাজী জাহিদ হাসানের বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করা হয়।
গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। চলতিবছর ১৮ জানুয়ারি তিনি উক্ত তিন ব্যক্তিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছিলেন। অপর দুই আসামি হলেন- মার্কেন্টাইল ব্যাংকের তৎকালিন সিনিয়র এসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখা ম্যানেজার নবী-উস- সেলিম ও মো: রবিউল ইসলাম। ২০১৮ সালের ৫ ডিসেম্বর দুদকের তৎকালিন সহকারি পরিচালক (বর্তমানে উপ-পরিচালক) মো: জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এজাহারে আসামিদের বিরুদ্ধে পরষ্পর যোগসাজশে ১১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।
এজাহারে বলা হয়, ঋণ মঞ্জুরিপত্র ছাড়াই মার্কেন্টাইল ব্যাংক প্রধান শাখা থেকে ব্যাক টু ব্যাক এলসি এবং অন্যান্য ঋণ সুবিধা প্রদান ও গ্রহণ করে ৭ কোটি ৩৭ লাখ ৩৭ হাজার ৯৯৫ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। ঋণের সুদ বাবদ ৩ কোটি ৭১ লাখ ৩ হাজার টাকা পরিশোধ না করে ব্যাংকটিকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত রা হয়েছে। ঘটনার সময় মার্কেন্টাইল ব্যাংকের অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্টের (এভিপি) দায়িত্বে ছিলেন হাবিবুর রহমান। পরবর্তীতে তাকে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ করা হয়।
এমডির দুর্নীতিকে ঘিরে অভিযোগ সামনে আসায় বাংকটিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। ব্যাংকের সুনাম ও গ্রাহকদের আস্থা ধরে রাখতে তাকে তিন মাসের ছুটি দেয়া হয়েছে।
হাবিবুর রহমানকে অপসারণ ও ব্যাংকটির সঙ্কট মোকাবেলায় কেন্দ্রীয় বাংকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে গাইডলাইন দিবে তা আমরা অনুসরণ করবো। তাকে এমডি নিয়োগ দেয়ার আগে তার দুর্নীতির বিষয়টি আমরা জানতাম না। কাজী আকরাম উদ্দিন জানান, বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সাথে তার কথা হয়েছে। শিগগিরই বিষয়টির সমাধান হবে। ব্যাংকের গ্রাহকদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।
এজেডকে/ডিএএম//