1. newsroom@saradesh.net : News Room : News Room
  2. saradesh.net@gmail.com : saradesh :
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের যুগে বাংলাদেশ: উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর - সারাদেশ.নেট
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
কোটা সংস্কার আন্দোলন: সারাদেশে ৬ জন নিহত কোটার বিষয়ে আদালতকে পাশ কাটিয়ে কিছুই করবে না সরকার: আইনমন্ত্রী কোটা নিয়ে হাইকোর্ট রায়ের বিরুদ্ধে রাস্ট্রপক্ষের `লিভ টু আপিল’ সচেতনতার অভাবে অনেক মানুষ বিভিন্ন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে : প্রধান বিচারপতি ৪৪ জনকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দিতে হাইকোর্টের রায় এলআরএফ এর নবনির্বাচিত কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ, নিজেদের স্বার্থেই সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : সোহেল হায়দার চৌধুরী কুমিল্লা জজ কোর্টের সিনিয়র এডভোকেট সৈয়দ জালাল উদ্দিন স্বপনের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী ৭ জুলাই আপিল নিস্পত্তির পূর্বে সাজা কখনও স্থগিত হয় না : হাইকোর্ট কুমিল্লার চাডিগাঁইয়া সমাজের কৃতী ব্যক্তিদের জীবনী সঙ্কলন: উজ্জ্বল নক্ষত্র জীবনীগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন এলআরএফের পাল্টাপাল্টি কমিটি: একপক্ষের নেতৃত্বে আশরাফ-মিশন: অপরপক্ষে মাসউদ-রব্বানী

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের যুগে বাংলাদেশ: উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

  • Update Time : শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধি :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুল প্রতীক্ষিত ১১.৫ কিলোমিটার ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশ যান চলাচলের জন্য উদ্বোধন করেছেন। এটি শহরের যানজট উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাওলা প্রান্তে ২ সেপ্টেম্বর শনিবার এক্সপ্রেসওয়ের নামফলক উন্মোচন করেন। পওে দেশ ও জনগণের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রী কাওলা প্রান্তে টোল পরিশোধ করেন যেখানে পৌঁছালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানাকে স্বাগত জানান। উদ্বোধন শেষে রঙিন বেলুন উড়িয়ে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক ও সেতু বিভাগের সচিব মো. মঞ্জুর হোসেন। কাওলা প্রান্তে এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধনের পর, প্রধানমন্ত্রী বিকেলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’র উদ্বোধন উপলক্ষে একটি নাগরিক সমাবেশে যোগ দিতে শেরেবাংলা নগরের পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। আগামীকাল বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।

এই অংশের দৈর্ঘ্য প্রায় ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার। বোর্ডিংয়ের জন্য ১৫টি র‌্যাম্প রয়েছে। এর মধ্যে বনানী ও মহাখালীতে দু’টি র‌্যাম্প আপাতত বন্ধ থাকবে। এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিসীমা হবে ঘন্টায় ৬০ কিমি।
থ্রি হুইলার, সাইকেল এবং পথচারীদের এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচল করতে দেওয়া হবে না। মোটরবাইক এখনই চলতে পারবে না।

এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশের টোল হার ৮০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা নির্ধারণ করে। ক্যাটাগরি ১-এর অধীনে যে কোনো স্থান থেকে বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশ অতিক্রম করার জন্য গাড়ি, ট্যাক্সি, জীপ, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকল, মাইক্রোবাস (১৬ আসনের নিচে) এবং হালকা ট্রাক (৩ টনের নিচে) টোল রেট ৮০ টাকা। মাঝারি ট্রাকের জন্য (ছয় চাকা পর্যন্ত) যে কোনো পয়েন্ট থেকে রুট পার হওয়ার জন্য টোল রেট ক্যাটাগরি-২ এর অধীনে ৩২০ টাকা। ক্যাটাগরি ৩-এর অধীনে যে কোনো পয়েন্ট থেকে রুট পার হওয়ার জন্য ট্রাকের (ছয় চাকার বেশি) টোল রেট ৪০০ টাকা। যে কোনো পয়েন্ট থেকে রুট পার হওয়ার জন্য যে কোনো বাসের (১৬ সীটের বা তার বেশি) টোল রেট ৪-ক্যাটাগরির অধীনে ১৬০ টাকা।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাওলা, কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। প্রাথমিকভাবে এক্সপ্রেসওয়েতে গতিসীমা হবে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার এবং এইচএসআইএ থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে যানবাহনের সময় লাগবে ১০ মিনিট। ১১.৫ কিমি মেইনলাইন এবং ১১ কিমি র‌্যাম্পসহ, অংশটির দৈর্ঘ্য হবে ২২.৫ কিমি। প্রাথমিকভাবে এই অংশের ১৫টির মধ্যে ১৩টি র‌্যাম্প খোলা হবে। বনানী ও মহাখালীর র‌্যাম্প নির্মাণ শেষ হলেই খুলে দেয়া হবে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮,৯৪০ কোটি টাকা, এতে ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফান্ডিং (ভিজিএফ) তহবিল ২,৪১৩ কোটি টাকা, যা বাংলাদেশ সরকার প্রদান করবে।
ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই) কোম্পানি লিমিটেড বিনিয়োগকারী কোম্পানি। এতে ইতালীয় থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার রয়েছে ৫১ শতাংশ, চায়না শানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপের (সিএসআই) শেয়ার ৩৪ শতাংশ এবং সিনোহাইড্রো কর্পোরেশন লিমিটেডের ১৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। প্রকল্প অনুযায়ী, প্রথম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ১৯ জানুয়ারি ২০১১ এবং পর্যালোচনা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৩ এবং প্রকল্প সমাপ্তির সময়কাল ছিল জুলাই ২০১১ থেকে জুন ২০২৪। বনানী রেলওয়ে স্টেশন থেকে মগবাজার রেলক্রসিং পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপের নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।

গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে বেশ কিছু অবকাঠামো প্রকল্প শুরু হয়েছে। আকার, বাজেট এবং অর্থনৈতিক প্রভাব বিবেচনা করে এই প্রকল্পগুলোর অনেকগুলোকে মেগা-প্রকল্প বলা হয়েছে। সরকার তাদের কয়েকটিকে ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে পদ্মা বহুমুখী সেতু, বাংলাদেশের প্্রথম মেট্রোরেল প্রকল্প এমআরটি লাইন-৬ এবং চন্দ্রা-এলেঙ্গা চার লেন মহাসড়ক সম্পন্ন হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল, দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম এবং দীর্ঘতম আন্ডারওয়াটার রোড টানেল, শীঘ্রই যান চলাচলের জন্য খৃুলে দেয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অন্যান্য প্রকল্প-পদ্মা সেতু রেল সংযোগ, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল সংযোগ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ি ১২০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর, যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেলওয়ে সেতু। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং তাই সরকারের মূল ফোকাস এখন তাদের সময় মতো সম্পন্ন করা।

আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর দেশের যোগাযোগ, পরিবহন ও বিদ্যুৎ অবকাঠামোর রূপান্তরের লক্ষে বেশ কিছু স্মারক উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা ঢাকা মেট্রোরেল আংশিক চালু করেছে এবং পদ্মা বহুমুখী সেতুসহ অন্যান্য মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন করেছে।

এসএম/কেকে//

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *