1. newsroom@saradesh.net : News Room : News Room
  2. saradesh.net@gmail.com : saradesh :
দুই বিচারপতির পদত্যাগের দাবি : আইনজীবীদের কালো পতাকা মিছিল - সারাদেশ.নেট
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
সরকারী খরচায় অসচ্ছল বিচারপ্রার্থীদের ৩৮৪৮৮৬ মামলায় আইনি সহায়তা কক্সবাজারে সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন প্রধান বিচারপতি সুপ্রিমকোর্ট বার নির্বাচনে ভোট গননায় মারামারি : জামিন পেলেন যুবদল নেতা নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ নারী নির্যাতন মামলায় অভিযোগকারীগন ব্যক্তিগত আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবীদের ১৫ ব্যাচ এর নতুন কমিটি : আহ্বায়ক অভি, সদস্য সচিব তামান্না আইনপেশা পরিচালনায় আইনজীবীদের পেশাগত নৈতিক মানদণ্ড রক্ষার ওপর প্রধান বিচারপতির গুরুত্বারোপ বাংলাদেশ মেডিয়েটরস ফোরাম (বিএমএফ) এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের সাবেক এমডি হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা শিল্প বিকাশে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের অগ্রযাত্রায় গর্বিত সহযোগী আব্দুল মোনেম লিমিটেড : মঈনুদ্দিন মোনেম ভূমিদস্যু কামরুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ১০ আইনজীবীর আবেদন

দুই বিচারপতির পদত্যাগের দাবি : আইনজীবীদের কালো পতাকা মিছিল

  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৩

মু: কাইয়ুম, সুপ্রিমকোর্ট প্রতিনিধি :
শোক দিবসের অনুষ্ঠানে নিজেদের ‘শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ উল্লেখ করে বক্তব্য দেয়ায় আপিল বিভাগের দু’জন বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে সুপ্রিমকোর্টে ও আশপাশের এলাকায় কালো পতাকা মিছিল করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন সমর্থক আইনজীবীদের মোর্চা ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্ট।

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্ট সুপ্রিমকোর্ট ইউনিটের উদ্যোগে আয়োজিত এ কালো পতাকা মিছিলে বিপুল সংখ্যক আইনজীবী অংশ নেন।

সুপ্রিমকোর্ট বার ভবন থেকে আইনজীবীরা কালো পতাকা ও বিভিন্ন লেখা সম্বলিত প্লাককার্ড নিয়ে মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি হাইকোর্ট মাজার গেট দিয়ে রাজপথে প্রবেশ করে জাতীয় ঈদগাহ ময়দান, কদম ফোয়ারা হয়ে বার কাউন্সিলের পাশের গেট দিয়ে আবার হাইকোর্টে প্রবেশ করে। বেলা ২টার দিকে সুপ্রিমকোর্ট বার ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে কালো পতাকা মিছিল শেষ হয়।

ইউনাইটেড ‘ল’ ইয়ার্স ফ্রন্ট সুপ্রিমকোর্ট ইউনিটের আহ্বায়ক শাহ আহমেদ বাদলের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনটির কো-কনভেনার আইনজীবী মোহাম্মদ আলীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তৃতা করেন ফ্রন্টের আহ্বায়ক ও সুপ্রিমকোর্ট বারের সাবেক সভাপতি সিনিয়র এডভোকেট জয়নুল আবেদীন, সুপ্রিমকোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপির আইন সম্পাদক, জাতীয়াতাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও ফ্রন্টের সমন্বয়ক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সুপ্রিমকোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার মো: রুহুল কুদ্দুস কাজল, ফ্রন্টের সমন্বয়ক সৈয়দ মামুন মাহবুব,ফ্রন্টের সমন্বয়ক ও জাতীয়াতাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিমকোর্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল।

এডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, আজ বিচার বিভাগ ধ্বংসের পথে। বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের একটা আস্থা ছিল। কিন্তু শপথ পাঠ করে কেউ কেউ রাজনীতি করতে চাচ্ছেন। তিনি বিচারপতি আবব্দুস সাত্তার ও বিচারপতি কে এম হাসানের নাম উল্লেখ করে বলেন, আগের দিনে বিচারপতিরা শপথ নেয়ার পর রাজনীতি করেননি। দলবাজী কনেনি।

ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, রাজনীতি করতে মন চাইলে এখনই পদত্যাগ করুন। বিচারপতি পদে থেকে রাজনীতি করলে এদেশের জনগণ তার বিচার করবে।

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, যারা নিজেদের ‘শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’হিসেবে নিজেদের বিবেচনা করেন তারা রাজনীতিবিদদের কাতারে আসেন। আইনজীবীরা বিচারপতিদের রাজনীতিবিদ হিসেবে দেখতে চায় না। তিনি বলেন,।দেশে বিচারের নামে প্রহসন চলছে। জনস্বার্থের রিটে আমাদের একজন আইনজীবীর পক্ষভুক্তির আবেদন গ্রহণ করা হয়নি। অথচ সরকারি দলের একজন সংসদ সদস্য তারেক জিয়ার কণ্ঠরোধ করার জন্য আবেদন নিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে শুনানি না করেই ৩০ কেন্টের মধ্যে তা গ্রহণ করেন। এবং অনলাই প্লাফর্ম থেকে তারেক রহমানের বক্তব্য অপসারণের নির্দেশ দেন।

ব্যারিস্টার মো: রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, আইনজীবীরা লড়াই করছেন তারেক রহমানের জন্য নয়, আমরা লড়াই করছি দেশের মানুষের বাকস্বাধীনতা রক্ষার জন্য। আপনারা এমন কোনো আদেশ দেবেন না যাতে দেশের মানুষের বাকস্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হয়।

ফ্রন্টের সমন্বয়ক সৈয়দ মামুন মাহবুব বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এই রায়ে তার কোনো ক্ষতি হয়নি। বরং দেশের সর্বোচ্চ আদালত প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। কারণ দেশের প্রধান বিরোধী দলের নেতার বক্তব্য এথাবে থামানো যায় নিা। তিনি বলেন, তারেক রহমান দেশের চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পূরধা।

ফ্রন্টের সমন্বয়ক এডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল বলেন, শুনেছি আমাদের কয়েকজন আইনজীবীদের নামে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়েছে। দেশের মানুষের জন্য গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতা রক্ষার জন্য যদি আমাদের বিরুদ্ধে আদালত আবমাননার অভিযোগ করা হয় তাতে আইনজীবীরা ভয় পায় না।

এডভোকেট মোহাম্মদ আলী বলেন, তারেক রহমান দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে আজ আদালতকে ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, যেসব বিচারপতি নিজেদের শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ মনে করেন তারা অবিলম্বে পদত্যাগ করুন।

এমকে/ডিএএম//

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *