1. newsroom@saradesh.net : News Room : News Room
  2. saradesh.net@gmail.com : saradesh :
দাম্পত্যে অশান্তি ডেকে আনে কঠিন রোগ - সারাদেশ.নেট
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
শিল্প বিকাশে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের অগ্রযাত্রায় গর্বিত সহযোগী আব্দুল মোনেম লিমিটেড : মঈনুদ্দিন মোনেম ভূমিদস্যু কামরুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ১০ আইনজীবীর আবেদন টাকা আত্মসাতের মামলায় সাইমেক্স লেদারের এমডি বিএনপি নেতা টিএস আইয়ুব ও তার স্ত্রী কারাগারে সরকারি খরচায় সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডে ৩০৪৮ মামলায় আইনি সহায়তা শ্রম আইন প্র্যাকটিস এবং প্রাসঙ্গিক কথা : ড. উত্তম কুমার দাস, এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করতে চায় রোমানিয়া কুমিল্লা সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকা’র ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বিচারপতি মোঃ আশফাকুল ইসলাম আপিল বিভাগে ভ্যাকেশন জাজ মনোনীত আপিল বিভাগের জেষ্ঠ্য বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি কারামুক্ত হলেন আইনজীবীদের নেতা ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল

দাম্পত্যে অশান্তি ডেকে আনে কঠিন রোগ

  • Update Time : বুধবার, ১৩ জুলাই, ২০২২

সারাদেশ ডেস্ক :

যখন দাম্পত্য জীবনে কলহ লেগেই থাকে কিংবা কেউ কাউকে সহ্য করতে না পারেন সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা কাউন্সিলিংয়ের পরামর্শ দেন। তাতেও কাজ না হলে দ্রুত ডিভোর্সের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে প্রায়ই সংসারে অশান্তি লেগে থাকা এক সময় মানসিক সমস্যার কারণ হতে পারে নারী-পুরুষ দুজনের মধ্যেই। আর এ কারণে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

সাইকোলজি টুডের এক প্রতিবেদন অনুসারে, একটি বিষাক্ত বা টক্সিক রিলেশন বিভিন্নভাবে প্রকাশ পায়। এর মধ্যে শারীরিক নির্যাতন, মিথ্যা বলা, গসিপ, মানসিক নির্যাতনসহ বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে।

যারা টক্সিক রিলেশনে আছেন তাদের শরীরে পড়ছে ক্ষতিকর প্রভাব। ফলে বাড়ছে কঠিন সব রোগের ঝুঁকি। একটি বিষাক্ত সম্পর্ক আপনার শরীরের কী কী ক্ষতি করে জানলে চমকে উঠবেন-

গবেষণায় দেখা গেছে, চাপযুক্ত সম্পর্ক দীর্ঘমেয়াদী উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়। ২০১৬ সালের এক সমীক্ষায় মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দেখেন, বিবাহিতদের মধ্যে দাম্পত্য রেষারেষি ও নিত্য কলহের কারণে পুরুষদের মধ্যে রক্তচাপ বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে নারীদের রক্তচাপও বাড়তে পারে তবে পুরুষের চেয়ে কম।

একটি বিষাক্ত সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেসের কারণ হতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী চাপ মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। প্রকৃতপক্ষে দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেস ইমিউন সিস্টেমের স্বাস্থ্য, থাইরয়েড ও মেজাজের ব্যাধির ঝুঁকি বাড়ায়।

বিষাক্ত সম্পর্কের চাপে শরীরে উচ্চ মাত্রার প্রদাহ সৃষ্টি হতে পারে। হার্ভার্ড হেলথের মতে, মানসিক উত্তেজনার কারণে শরীরে প্রদাহের মাত্রা বাড়তে পারে। যা সময়ের সাথে সাথে গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার দিকে পরিচালিত করে।

সাইকোলজিক্যাল বুলেটিন জার্নালে প্রকাশিত ২০১৪ সালের এক সমীক্ষায় দেখা যায়, স্ট্রেস উল্লেখযোগ্যভাবে ইমিউন সিস্টেমকে পরিবর্তন করে ও প্রদাহ বাড়ায়।

একটি খারাপ সম্পর্কে থাকলে যে কারও বাড়বে বিষণ্নতার ঝুঁকি। মেন্টাল হেলথ ফাউন্ডেশনের গবেষণায় উঠে এসেছে, একটি বিষাক্ত সম্পর্কে থাকার চেয়ে অবিবাহিত হওয়া ভালো।

গবেষণায় দেখা গেছে, সামাজিকভাবে কোনো মানুষ প্রত্যাখ্যাত হলে মেজর ডিপ্রেসিভ ডিসঅর্ডার (এমডিডি) এর ঝুঁকি বেড়ে যায়। দাম্পত্যে অশান্তি কিংবা বিচ্ছেদের কারণেও মানসিক এই সমস্যায় ভুগতে পারেন যে কেউই।

জানেন কি, একটি বিষাক্ত সম্পর্ক আপনার আয়ুও কমিয়ে দিতে পারে। দাম্পত্যে সুখী থাকলে যেমন আয়ু বাড়ে ঠিক তেমনই এর উল্টোটি ঘটে একটি বিষাক্ত সম্পর্কের মধ্য দিয়ে জীবন কাটালে।

মানসিক চাপ মানুষের জীবনধারা পরিবর্তন করে দেয়। ফলে অস্বাস্থ্যকর খাওয়া, মাদকাসক্ত, কম ঘুম, মানসিক চাপ ইত্যাদি শারীরিক বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

২০১৬ সালে প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেসের রিপোর্ট করা এক সমীক্ষায় জানা যায়, সামাজিক সম্পর্ক ও মৃত্যুহারের মধ্যে সম্পর্ক আছে।

সামাজিক চাপের সম্মুখীন ব্যক্তিদের মধ্যে বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্ট্রেসসম্পর্কিত রোগ ও প্রদাহের ঝুঁকি বেশি। যা অকাল মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

সাইকোলজি টুডেতে প্রকাশিত এক সমীক্ষার রিপোর্ট অনুসারে, যারা ব্যক্তিগত জীবনে খুশি নন কিংবা দাম্পত্য কলহের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে ওজন বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা বেশি।

ফলে এমন ব্যক্তিদের মধ্যে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের মতো স্থূলতা-সম্পর্কিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। গবেষকরা ১১ বছর ধরে ৮০০০ মানুষের উপর সমীক্ষা চালিয়ে এই তথ্য জানান।

বিষাক্ত সম্পর্কের কারণে হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে। দ্য জার্নাল অব জেরোন্টোলজি: সিরিজ বি’তে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, মানসিক চাপ রক্তচাপ বাড়ায় যা অনেক গবেষণায় দেখা গেছে। দীর্ঘদিন এই সমস্যায় ভুগলে তা হৃদরোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ক্ষতি করতে পারে ।

আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের ২০১৭ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিবাহিতদের তুলনায় অবিবাহিত ব্যক্তিদের হার্ট অ্যাটাক বা কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা থেকে মারা যাওয়ার ঝুঁকি বেশি।

সাইকোলজিক্যাল সায়েন্সে প্রকাশিত আরেকটি গবেষণা জানাচ্ছে, ‘ডিভোর্সি নারী-পুরুষের মধ্যেও হৃদরোগের ঝুঁকি ও মৃত্যুহার বেশি।’

যারা খারাপ সম্পর্কের মধ্য দিয়ে যান, তারা ঘন ঘন শরীরের ব্যথা, সর্দি, শ্বাসকষ্টের সমস্যা ও প্যানিক অ্যাটাকের মতো সমস্যায় ভোগেন। ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের মতে, দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেস শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে নষ্ট করে দেয় যার ফলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক লক্ষণ দেখা দেয়।

মানসিক চাপের কারণে শারীরিক আরও যেসব লক্ষণ দেখা দেয় সেগুলো হলো- মাথা ঘোরা, শরীর ব্যথা ও যন্ত্রণা, মাথাব্যথা, পেশিতে টান, ঘুমের সমস্যা, হার্টবিট বেড়ে যাওয়া, চরম ক্লান্তি, পেট খারাপ কিংবা কাঁপুনি।

সূত্র: হেলথ ডাইজেস্ট

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *