1. newsroom@saradesh.net : News Room : News Room
  2. saradesh.net@gmail.com : saradesh :
সরকারি খরচায় ৭ লক্ষাধিক মানুষকে আইনি সেবা প্রদান - সারাদেশ.নেট
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১০:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করতে চায় রোমানিয়া কুমিল্লা সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকা’র ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বিচারপতি মোঃ আশফাকুল ইসলাম আপিল বিভাগে ভ্যাকেশন জাজ মনোনীত আপিল বিভাগের জেষ্ঠ্য বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি কারামুক্ত হলেন আইনজীবীদের নেতা ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বেসিক প্রিন্সিপালস্ অফ ডেন্টাল ফার্ফাকোলজি এর দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশ ‘ইতালিয়ান ভাষার’ ওপর পরীক্ষা উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত ইতালিয়ান ভাষা শিক্ষাকোর্স ও পরীক্ষা কেন্দ্র উদ্বোধন বুধবার ছোটবোনকে বঞ্চিত করে পিতার কয়েক কোটি টাকা মূল্যের সব সম্পত্তি নিজ নামে করলো বড়বোন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন কমিটি

সরকারি খরচায় ৭ লক্ষাধিক মানুষকে আইনি সেবা প্রদান

  • Update Time : শনিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২২

বিশেষ প্রতিনিধি:
২০০৯ সাল থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার (লিগ্যাল এইড) মাধ্যমে ৭ লাখ ২ হাজার ২৫ জন সরকারি খরচায় আইনি সহায়তা পেয়েছেন।

জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, এই সেবা গ্রহণকারীদের মধ্যে সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে ২৩ হাজার ৮০৭ জন,দেশের ৬৪ টি জেলার লিগ্যার এইড অফিসের মাধ্যমে ৫ লাখ ২২ হাজার ৪৪৪ জন, ঢাকা ও চট্রগ্রাম শ্রমিক আইনি সহায়তা সেলের মাধ্যমে ২৪ হাজার ১৩৪ জন এবং জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার নির্ধারিত হটলাইন কলসেন্টার ১৬৪৩০ নম্বরে (টোল ফ্রি)১ লাখ ৩১ হাজার ৬৪০ জন বিনামূল্যে আইনি সহায়তা পেয়েছেন।

এছাড়াও অসচ্ছল বিচারপ্রার্থীদের ৭৯ কোটি ৭৮ লাখ ৫৯ হাজার ৩২২ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করে দেয় জাতীয় আইনগত সতায়তা সংস্থা। এর মধ্যে দেশের ৬৪ জেলার লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে ৭৪ কোটি ৮ লাখ ৮ হাজার ৭১১ টাকা এবং ঢাকা ও চট্রগ্রাম শ্রমিক আইনি সহায়তা সেলের মাধ্যমে ৫ কোটি ৭০ লাখ ৫০ হাজার ৬১১ টাকা আদায় করে দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, লিগ্যাল এইডে আইনি সহায়তা দেয়া হয়েছে মোট ৩ লাখ ৯ হাজার ৪৮৭ মামলায়। এর মধ্যে আইনি সহায়তার মাধ্যমে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৬৮ টি মামলা নিস্পত্তি হয়েছে। বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তি সেবার (এডিআর) মাধ্যমে লিগ্যাল এইডে মামলা নিস্পত্তি হয়েছে ৫০ হাজার ৩৫৩টি। ২০১২ সাল থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯১ হাজার ৬১৩ জন কারাবন্দীকে দেশের ৬৪ জেলার লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে আইনগত সহায়তা প্রদান করা হয়েছে বলে সংস্থার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

করোনা সংকটেও জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার অধীনে আর্থিকভাবে অসচ্ছল বিচারপ্রার্থীদের সারাদেশের আদালতসমূহে আইনি সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। করোনার মধ্যে সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড অফিস কার্যক্রমও অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে করোনার এই প্রাদুর্ভাবের কারণে আইন সহায়তা প্রত্যাশীরা অফিসের নির্ধারিত নাম্বারে যোগাযোগ করলেই আইনি পরামর্শ পাচ্ছেন। জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার নির্ধারিত হটলাইন নাম্বার ১৬৪৩০ নম্বরে (টোল ফ্রি) আইনি সেবা অব্যাহত রয়েছে।

আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন সরকার আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল,,অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগনকে সরকারি খরচে আইনি সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন-২০০০’প্রনয়ন করে। ২০০০সালে তৎকালীন শাসন আমলে আইনটি প্রনয়ন করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার। তারপরের সরকার গুলো আইনটি কার্যকরে উল্লেখযোগ্য কোন পদক্ষেপ নেয়নি। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্টিত নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠনের পর আওয়ামীলীগ দরিদ্র ও অসচ্ছল জনগণের বিচারপ্রাপ্তি নিশ্চিতে আইনটি কার্যকরে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং তা অব্যাহত রয়েছে।
২০০০ সালে প্রনীত আইনটি অনুযায়ি ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’ গঠন করা হয়। রাজধানীর ১৪৫, নেউ বেইলী রোডে এ সংস্থার প্রধান কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। এর ব্যাপ্তি সুপ্রিমকোর্ট, দেশের সকল জেলা, অধঃস্তন আদালত, শ্রম আদালত, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত এখন প্রতিষ্ঠিত। জেলা কমিটি গঠন, প্রতিটি জেলা জজ আদালতে এর কার্যালয় রয়েছে। নানা প্রচার, প্রচরণা, সেমিনার-কর্মশালা ও প্রকল্পের মধ্য দিয়ে এ সেবা এখন মানুষের দোড়গোড়ায়। তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে এখন এ সেবাকে অরো সহজ করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার নিজস্ব ওয়েবসাইট রয়েছে । এ ওয়েবসাইটে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান বিষয়ে বিস্তরিত সকল তথ্য জানা যায়।

ডিএএম/কেকে//

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *