Dhaka ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতার মনোনয়ন পত্রে প্রস্তাবক সমর্থক আওয়ামীলীগ নেতা ! শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ বিষয় সমাধান না হওয়া ছাড়া নোভার্টিসের শেয়ার হস্তান্তর নয় : আইনজীবী ৫ আগস্ট সরকারি ছুটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত অবকাশ শেষে রোববার থেকে হাইকোর্টের ৪৯ বেঞ্চে চলবে বিচারকাজ মামলা হলেই গ্রেফতার নয়, তদন্তে দায় পাওয়া গেলে ব্যবস্থা: আইজিপি `অন্তর্ভূক্তিমূলক রাষ্ট্রকাঠামোই জাতীয়তাবাদের উপহার’-অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান বিপুল আনন্দ উৎসাহ উদ্দীপনায় দেশব্যাপী বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপিত ‘জুলাই আন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সহস্রাধিক লোকের সাক্ষ্য’ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এবারের নববর্ষের অঙ্গীকার : প্রধান উপদেষ্টা সোয়াই নদীর পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে : ৫’শ মিটার কাজে বাঁধা

বিচারপতিরা বঙ্গবন্ধুকে সর্বোচ্চ শ্রদ্ধার আসনে রেখে কাজ করে যাচ্ছেন : প্রধান বিচারপতি

  • Update Time : ০৬:১৭:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জানুয়ারী ২০২২
  • / ২৬ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক :
নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, বিচারপতিরা বঙ্গবন্ধুকে সর্বোচ্চ শ্রদ্ধার আসনে রেখে তার আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন।

শনিবার ১ জানুয়ারি রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

এর আগে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত বাসভবন ঘুরে দেখেন প্রধান বিচারপতি। এ সময় আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ননী, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, আমার মনে হয় ৭৫ এর ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে বটে, তিনি শাহাদাত বরণ করেছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকবেন মানুষের মধ্যে এবং বাংলার আনাচে কানাচে আমরা বঙ্গবন্ধুকে অনুভব করি। মৃত বঙ্গবন্ধু এখন জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগে ১৫ আগস্টে আমরা সুপ্রিমকোর্টে অনুষ্ঠান করেছি। প্রত্যেকটা বিচারপতি উনাকে (বঙ্গবন্ধু) শ্রদ্ধা নিবেদন করে কথা বলেছেন। এখান থেকে আমার মনে হয় জীবিত বঙ্গবন্ধুর থেকে মৃত বঙ্গবন্ধু অনেক অনেক অনেক বেশি শক্তিশালী। যারা বঙ্গবন্ধুকে মারতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বঙ্গবন্ধু মরেননি, আমাদের মনে জীবিত আছেন

দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী গতকাল ৩১ ডিসেম্বর শপথগ্রহণ করেন। বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতিকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ। নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা যোগ দেন।

এর আগে ৩০ ডিসেম্বর সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এ বিষয়ে বুধবার ৩০ ডিসেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, আপিল বিভাগের বিচারক হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন। তার নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।

দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ২০১৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি শপথ নিয়েছিলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। ৪৭ মাস প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন শেষে কাল ৩১ ডিসেম্বর অবসরে যান তিনি। সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের স্থলাভিষিক্ত হলেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। তিনি হচ্ছেন দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি।

বিদায়ী প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের বয়স ৬৭ বছর পূর্ণ হলো ৩১ ডিসেম্বর। সে হিসেবে বছরের শেষ দিনে অবসরে যান ২২তম প্রধান বিচারপতি। ৩১ ডিসেম্বর শুক্রবার হওয়ায় ৩০ ডিসেম্বর ছিল তার শেষ কর্মদিবস।

সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিয়ে থাকেন।

সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং প্রধান বিচারপতির সহিত পরামর্শ করিয়া রাষ্ট্রপতি অন্যান্য বিচারককে নিয়োগ করিবেন।’

বর্তমানে আপিল বিভাগে পাঁচ বিচারপতির মধ্যে সৈয়দ মাহমুদ হোসেন অবসরে যাওয়ায় আপিল বিভাগে রয়েছেন বিচারপতি ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। এর মধ্যে বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিলেন রাস্ট্রপতি।

আবদুর গফুর মোল্লা ও নূরজাহান বেগম দম্পতির সন্তান হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর জন্ম ১৯৫৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার রমানাথপুর গ্রামে। তিনি ১৯৭২ সালে কুষ্টিয়া জেলার খোকসা জানিপুর পাইলট হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পাস করেন। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন ১৯৭৪ সালে সাতক্ষীরার সরকারি পিসি কলেজ থেকে। এরপর বিএ পাস করেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ থেকে। তিনি এমএ পাস করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে। এলএলবি পাস করেন ধানমন্ডি ল’ কলেজ থেকে।

হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আইনজীবী হিসেবে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের তালিকাভুক্ত হন ১৯৮১ সালে। জেলা আদালতে প্র্যাকটিস শুরু করেন ১৯৮১ সালের ২১ আগস্ট।

১৯৮৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের সনদ লাভ করেন। আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন ১৯৯৯ সালের ২৭ মে। হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ২০০১ সালে হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৯ সালের ২৫ মার্চ হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে এবং ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। বিচারপতি হিসেবে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও ভারতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি।

এছাড়াও তিনি সৌদি আরব সফর করেছেন। তার বড় ভাই বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি থেকে অবসরে গিয়েছেন। আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ইতিহাসে প্রথম দুই ভাই সুপ্রিমকোর্টের উভয় বিভাগে আসীনের নজির স্থাপন করেছেন।

ডিএএম/কেকে//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

বিচারপতিরা বঙ্গবন্ধুকে সর্বোচ্চ শ্রদ্ধার আসনে রেখে কাজ করে যাচ্ছেন : প্রধান বিচারপতি

Update Time : ০৬:১৭:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জানুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, বিচারপতিরা বঙ্গবন্ধুকে সর্বোচ্চ শ্রদ্ধার আসনে রেখে তার আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন।

শনিবার ১ জানুয়ারি রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

এর আগে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত বাসভবন ঘুরে দেখেন প্রধান বিচারপতি। এ সময় আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ননী, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, আমার মনে হয় ৭৫ এর ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে বটে, তিনি শাহাদাত বরণ করেছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকবেন মানুষের মধ্যে এবং বাংলার আনাচে কানাচে আমরা বঙ্গবন্ধুকে অনুভব করি। মৃত বঙ্গবন্ধু এখন জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগে ১৫ আগস্টে আমরা সুপ্রিমকোর্টে অনুষ্ঠান করেছি। প্রত্যেকটা বিচারপতি উনাকে (বঙ্গবন্ধু) শ্রদ্ধা নিবেদন করে কথা বলেছেন। এখান থেকে আমার মনে হয় জীবিত বঙ্গবন্ধুর থেকে মৃত বঙ্গবন্ধু অনেক অনেক অনেক বেশি শক্তিশালী। যারা বঙ্গবন্ধুকে মারতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বঙ্গবন্ধু মরেননি, আমাদের মনে জীবিত আছেন

দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী গতকাল ৩১ ডিসেম্বর শপথগ্রহণ করেন। বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতিকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ। নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা যোগ দেন।

এর আগে ৩০ ডিসেম্বর সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এ বিষয়ে বুধবার ৩০ ডিসেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, আপিল বিভাগের বিচারক হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন। তার নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।

দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ২০১৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি শপথ নিয়েছিলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। ৪৭ মাস প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন শেষে কাল ৩১ ডিসেম্বর অবসরে যান তিনি। সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের স্থলাভিষিক্ত হলেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। তিনি হচ্ছেন দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি।

বিদায়ী প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের বয়স ৬৭ বছর পূর্ণ হলো ৩১ ডিসেম্বর। সে হিসেবে বছরের শেষ দিনে অবসরে যান ২২তম প্রধান বিচারপতি। ৩১ ডিসেম্বর শুক্রবার হওয়ায় ৩০ ডিসেম্বর ছিল তার শেষ কর্মদিবস।

সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিয়ে থাকেন।

সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং প্রধান বিচারপতির সহিত পরামর্শ করিয়া রাষ্ট্রপতি অন্যান্য বিচারককে নিয়োগ করিবেন।’

বর্তমানে আপিল বিভাগে পাঁচ বিচারপতির মধ্যে সৈয়দ মাহমুদ হোসেন অবসরে যাওয়ায় আপিল বিভাগে রয়েছেন বিচারপতি ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। এর মধ্যে বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিলেন রাস্ট্রপতি।

আবদুর গফুর মোল্লা ও নূরজাহান বেগম দম্পতির সন্তান হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর জন্ম ১৯৫৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার রমানাথপুর গ্রামে। তিনি ১৯৭২ সালে কুষ্টিয়া জেলার খোকসা জানিপুর পাইলট হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পাস করেন। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন ১৯৭৪ সালে সাতক্ষীরার সরকারি পিসি কলেজ থেকে। এরপর বিএ পাস করেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ থেকে। তিনি এমএ পাস করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে। এলএলবি পাস করেন ধানমন্ডি ল’ কলেজ থেকে।

হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আইনজীবী হিসেবে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের তালিকাভুক্ত হন ১৯৮১ সালে। জেলা আদালতে প্র্যাকটিস শুরু করেন ১৯৮১ সালের ২১ আগস্ট।

১৯৮৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের সনদ লাভ করেন। আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন ১৯৯৯ সালের ২৭ মে। হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ২০০১ সালে হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৯ সালের ২৫ মার্চ হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে এবং ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। বিচারপতি হিসেবে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও ভারতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি।

এছাড়াও তিনি সৌদি আরব সফর করেছেন। তার বড় ভাই বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি থেকে অবসরে গিয়েছেন। আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ইতিহাসে প্রথম দুই ভাই সুপ্রিমকোর্টের উভয় বিভাগে আসীনের নজির স্থাপন করেছেন।

ডিএএম/কেকে//