1. newsroom@saradesh.net : News Room : News Room
  2. saradesh.net@gmail.com : saradesh :
শ্রীলঙ্কাকে হারালো টিম বাংলাদেশ - সারাদেশ.নেট
শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৮:০৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
সুপ্রিমকোর্ট বার নির্বাচনে ভোট গননায় মারামারি : জামিন পেলেন যুবদল নেতা নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ নারী নির্যাতন মামলায় অভিযোগকারীগন ব্যক্তিগত আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবীদের ১৫ ব্যাচ এর নতুন কমিটি : আহ্বায়ক অভি, সদস্য সচিব তামান্না আইনপেশা পরিচালনায় আইনজীবীদের পেশাগত নৈতিক মানদণ্ড রক্ষার ওপর প্রধান বিচারপতির গুরুত্বারোপ বাংলাদেশ মেডিয়েটরস ফোরাম (বিএমএফ) এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের সাবেক এমডি হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা শিল্প বিকাশে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের অগ্রযাত্রায় গর্বিত সহযোগী আব্দুল মোনেম লিমিটেড : মঈনুদ্দিন মোনেম ভূমিদস্যু কামরুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ১০ আইনজীবীর আবেদন টাকা আত্মসাতের মামলায় সাইমেক্স লেদারের এমডি বিএনপি নেতা টিএস আইয়ুব ও তার স্ত্রী কারাগারে সরকারি খরচায় সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডে ৩০৪৮ মামলায় আইনি সহায়তা

শ্রীলঙ্কাকে হারালো টিম বাংলাদেশ

  • Update Time : রবিবার, ২৩ মে, ২০২১

স্পোর্টস ডেস্ক :
জিততে হলে করতে হবে ২৫৮ রান। এ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৯৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা।

সেখান থেকে দলকে জয়ের আশা দেখিয়েছিলেন হাসারাঙ্গা। তার মারমুখি ব্যাটিং ভয়ই ধরিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশকে। কিন্তু শেষটা রঙীন বাংলাদেশেরই। শেষ হাসি টাইগারদের। পারেনি লঙ্কানরা। প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে রোববার শ্রীলঙ্কাকে ৩৩ রানে রানে হারিয়ে সিরিজে দারুণ শুরু করেছে বাংলাদেশ।

আগে ব্যাট করতে নেমে তিন ফিফটিতে ৬ উইকেটে ২৫৭ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে শ্রীলঙ্কার ইনিংস গুটিয়ে যায় ৪৮.১ ওভারে ২২৪ রানে। তিন ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে। আগামী মঙ্গলবার মিরপুরে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ।

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ধীরলয়ে ছিল শ্রীলঙ্কার। আর সেটা উইকেটে থিতু হতে। তবে সেই কৌশলে সফল হতে পারেনি সফরকারীরা। ধারাবাহিক বিরতিতে পড়েছে উইকেট। বল হাতে শুরুটা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দলীয় ৩০ রানে তিনি তুলে নেন ওপেনার গুনাথিলাকা। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নেন মিরাজ। ১৯ বলে ২১ রান করেন গুনাথিলাকা।

এর পর মোস্তাফিজের হামলা। তিনি ফেরান ওয়ান ডাউনে নামা পাথুম নিশাঙ্কাকে (১৩ বলে ৮ রান)। দলের এমন পরিস্থিতিতে কুশল মেন্ডিজকে সঙ্গে নিয়ে আগাতে থাকেন অধিনায়ক কুশল পেরেরা। শেষ পর্যন্ত এই জুটি বিচ্ছিন্ন করেন সাকিব আল হাসান। নিজের বলে মিরাজের ক্যাচ বানান কুশল মেন্ডিজকে (২৪ রান)। এক উইকেট প্রাপ্তিতে সাকিব পৌছে যান নতুন মাইলফলকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিবের এটি ছিল এক হাজারতম উইকেট।

দলীয় ৯৪ রানের মাথায় মিরাজের আঘাত। তিনি ফেরা ভয়ংকর হয়ে ওঠা কুশল পেরেরাকে। মিরাজের বলে বোল্ড লঙ্কান অধিনায়ক। ৫০ বলে ৩০ রান করেন তিনি। কিছুক্ষণ পর আবার মিরাজ ঝলক।

লঙ্কানদের স্কোর ১০০ ছোয়ার আগে তিনি বোল্ড করেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে (১৫ বলে ৯ রান)। ৯৭ রানে ৫ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কা তখন অনেকটাই দিকহারা।

নিজের চতুর্থ উইকেট নিয়ে লঙ্কানদের উপর চাপ বাড়ান মিরাজই। আসেন বান্দারাকে করেন বোল্ড। শ্রীলঙ্কার স্কোর তখন ২৭.৩ ওভারে ১০২ রান। এমন অবস্থায় লঙ্কানদের হয়ে ব্যাট হাতে আশা জাগাতে থাকেন দাশুন শানাকা ও হাসারাঙ্গা ডি সিলভা। শানাকা দলীয় ১৪৯ রানের মাথায় বিদায় নিলেও ঝড়ো গতিতে ব্যাট করা হাসারাঙ্গা পৌছান ফিফটিতে মাত্র ৩০ বলে।

২৫ বলে ১৪ রান করা শানাকাকে বোল্ড করেন পেস অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এরপর ইসরু উদানার সঙ্গে জুটি গড়েন হাসারাঙ্গা। ক্রমেই ভয় ছড়াতে থাকেন দুজন।

বিশেষ করে হাসারাঙ্গার মারকুটে ব্যাটিং শঙ্কায় ফেলে দেয় বাংলাদেশ শিবিরে। এরই মধ্যে ৪১তম ওভারে সাকিবের করা বলে হাসারাঙ্গার ক্যাচ ছাড়েন লিটন দাস। হতাশা ছড়ায় টাইগার তাবুতে।

লঙ্কানরা আস্তে আস্তে পেরিয়ে যায় দুইশ রান। ক্রিজে ভয়ংকর হাসারাঙ্গা। শেষ পর্যন্ত এই পথের এই কাটাকে বিদায় করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ৪৪তম ওভারের শেষ বলে সাইফের বলে হাসারাঙ্গা ক্যাচ দেন আফিফের কাছে।

ভুল করেননি আফিফ। যাওয়ার আগে হাসারাঙ্গা করে যান ৬০ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৭৪ রানের ইনিংস। ভাঙে ৬২ রানের জুটি।

বাংলাদেশ শিবিরে তখন অনেকটাই স্বস্তিতে। এই স্বস্তিকে জয়ের সুবাসে পরিণত করেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। পরের ওভারের প্রথম বলেই তিনি বিদায় করেন এতক্ষণ হাসারাঙ্গার সঙ্গে এগিয়ে চলা ইসরু উদানা। ক্যাচ নেন মিরাজ। ২৩ বলে ২১ রান করেন উদানা।

লঙ্কানদের শেষ উইকেট তুলে বাংলাদেশকে দারুণ জয় উপহার দেন মোস্তাফিজুর রহমান। বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মোস্তাফিজ তিনটি, সাইফউদ্দিন দুটি, সাকিব নেন একটি করে উইকেট।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের শুরুটা ছিল বাজে। দ্বিতীয় ওভারে চামিরার বলে স্লিপে ক্যাচ দেন লিটন দাস। রানের খাতা খোলার আগেই।

৪৩ ইনিংসে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের সপ্তম শূন্য, সবশেষ সাত ইনিংসে তৃতীয়। লিটনের বিদায়ের পর জুটি জমেনি সাকিব ও তামিমের। পাওয়ার প্লেতে ১০ ওভারে ৪০ রান করে বাংলাদেশ। মন্থর গতিতে ব্যাট করা সাকিব বলতে গেলে ব্যর্থই। ৩৪ বলে মাত্র ১৫ রান করে তিনি ফেরেন সাজঘরে (দুটি চার)।

সাকিবের বিদায়ের পর তামিম-মুশফিক জুটি হাল ধরেন। অনেকটা সফলও তারা। এই জুটি দলকে নিয়ে যান ৯৯ রান পর্যন্ত। এরপর আবার বিপর্যয়।

২৩ ওভারের শেষ দুই বলে বিদায় নেন তামিম ও মোহাম্মদ মিঠুন। একই সঙ্গে হারায় দুটি রিভিউ। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বলে এলবিডব্লিউ তামিম। পরের বলে প্যাডল সুইপের চেষ্টায় মোহাম্মদ মিঠুনও এলবিডব্লিউর শিকার।

৭০ বলে ছয় চার ও এক ছক্কায় ৫২ রান করে ফিরে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তামিমের এটি ৫১তম ফিফটি।

ক্রিজে গিয়েই অফ স্পিনারের বলে প্যাডল সুইপ করেন মিঠুন। আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর রিভিউ নেন তিনিও, কিন্তু পাল্টায়নি সিদ্ধান্ত। গোল্ডেন ডাকের স্বাদ নিয়ে সাজঘরে ফেরেন মিঠুন।

৯৯ রানে চার উইকেট হারানো বাংলাদেশকে এরপর পথ দেখান মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ জুটি। এই জুটি থেকে আসে ১০৯ রান, ১২২ বলে। পরিস্থিতির দাবি মেটাতে গিয়ে দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় ছিলেন মুশফিক। লাকশান সান্দাক্যানকে রিভার্স সুইপ করে বাউন্ডারির চেষ্টায় মুশি ফেরেন শর্ট থার্ড ম্যানে ক্যাচ দিয়ে। ক্যাচ নেন ইসুরু উদানা। ৮৭ বলে চারটি চার ও একটি ছক্কায় ৮৪ রান করে ফিরেন মুশফিক। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে মুশফিকের এটি ৪০তম ফিফটি। বাংলাদেশের দলীয় রান তখন ২০৮।

মুশফিকের বিদায়ের পর ফিফটি করেন মাহমুদউল্লাহও। ৭৬ বলে ৫৪ রান করে তিনি ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বলে বোল্ড। দুই চার ও এক ছক্কা ছিল তার ইনিংসে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে মাহমুদউল্লাহর এটি ২৪তম ফিফটি।

শেষের দিকে প্রত্যাশিত ভাবে রানের চাকা সেভাবে ঘুরেনি। তারপরও অনেকদিন পর দলে সুযোগ পাওয়া আফিফ ২২ বলে ২৭ রান করে থাকেন অপরাজিত। হাকিয়েছেন তিনটি চার। ৯ বলে দুই চারে ১৩ রানে আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান সাইফউদ্দিন। শ্রীল্কার হয়ে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা তিনটি, দুশন্থ চামিরা, দানুশকা গুনাথিলাকা ও সান্দাকান নেন একটি করে উইকেট।

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *