1. newsroom@saradesh.net : News Room : News Room
  2. saradesh.net@gmail.com : saradesh :
নন্দীগ্রাম মমতার - সারাদেশ.নেট
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
শিল্প বিকাশে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের অগ্রযাত্রায় গর্বিত সহযোগী আব্দুল মোনেম লিমিটেড : মঈনুদ্দিন মোনেম ভূমিদস্যু কামরুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ১০ আইনজীবীর আবেদন টাকা আত্মসাতের মামলায় সাইমেক্স লেদারের এমডি বিএনপি নেতা টিএস আইয়ুব ও তার স্ত্রী কারাগারে সরকারি খরচায় সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডে ৩০৪৮ মামলায় আইনি সহায়তা শ্রম আইন প্র্যাকটিস এবং প্রাসঙ্গিক কথা : ড. উত্তম কুমার দাস, এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করতে চায় রোমানিয়া কুমিল্লা সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকা’র ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বিচারপতি মোঃ আশফাকুল ইসলাম আপিল বিভাগে ভ্যাকেশন জাজ মনোনীত আপিল বিভাগের জেষ্ঠ্য বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি কারামুক্ত হলেন আইনজীবীদের নেতা ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল

নন্দীগ্রাম মমতার

  • Update Time : রবিবার, ২ মে, ২০২১

সারাদেশ ডেস্ক :
ইতোমধ্যে দেশ ও বিশ্বের সকলেই জেনে গেছে মমতার তৃণমূল পশ্চিম বঙ্গে টানা তৃতীয় বারের মতো বিজয়ী হয়ে সরকার গড়তে চলেছে।

নির্বাচন অন্যতম আকর্ষণ ও সবাইর দৃষ্টি ছিল নন্দীগ্রাম আসনে। সেখানে নিজ আসন ছেড়ে ভোটে লড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার প্রতিদ্বন্দ্বী তারই দলছুট বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের মাটিই একসুতোয় বেঁধে দিয়েছিল তাঁদের। আর সেই মাটিতেই একে অপরের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছিলেন।

তবে জমি আন্দোলনের ভূমিতে শেষমেশ মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়ের মুখেই হাসি ফুটল। তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বিজেপি-তে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারীকে পরাজিত করলেন তিনি। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানাচ্ছে, ১২০১ ভোটে নন্দীগ্রামে জিতেছেন মমতা।

গত বছর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি বিজেপি-তে যোগ দেন শুভেন্দু। তার পর লাগাতার মমতা ও তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়ে যান তিনি। সেই তুলনায় তৃণমূল অনেকটাই স্তিমিত ছিল। তবে অধিকারীদের সঙ্গে সম্পর্কের শেষ পেরেক পোঁতেন মমতাই। নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেন, সেখান থেকেই ভোটে লড়বেন তিনি।

তার পরই নীলবাড়ির লড়াইয়ে বাংলার রাজনীতির যাবতীয় সমীকরণ উল্টে যায়। ১০ মার্চ আনুষ্ঠাানিক ভাবে নন্দীগ্রামের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন মমতা। ওই দিনই নন্দীগ্রামে আক্রান্ত হন মমতা। পায়ে আঘাত পান। তা নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপি-র মধ্যে তরজা চরমে ওঠে।

এর দু’দিন পর, ১২ মার্চ নন্দীগ্রাম থেকে বিজেপি-র হয়ে মনোনয়ন জমা দেন শুভেন্দু। তার পর থেকে বিজেপি-র হেভিওয়েট নেতারা শুভেন্দুর হয়ে সেখানে সভা করে এসেছেন। সেই তুলনায় নন্দীগ্রামে তৃণমূলের সভা ছিল মমতা-সর্বস্বই। তবে সেখানে জেতা নিয়ে শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন মমতা। এমনকি ১ এপ্রিল নন্দীগ্রামে যে দিন ভোটগ্রহণ, সে দিন সেখানে থাকলেও, শুভেন্দুর মতো সকাল থেকে বুথে বুথে ঘুরতে দেখা যায়নি তাঁকে।

বরং দুপুরে বয়ালে ঝামেলার খবর পেয়ে প্রথম বাইরে বেরোন মমতা। বয়ালে তাঁকে দেখে আবেগের বাঁধ ভাঙে স্থানীয়দের। বিজেপি ভোট লুঠ করছে বলে তাঁকে জানান গ্রামবাসীরা।

অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দু’ঘণ্টা ঠায় বুথের ভিতর বসেছিলেন মমতা। সেই সময় তাঁকে তাচ্ছিল্য করে শুভেন্দু বলেন, খেলা তো হয়ে গিয়েছে। ৮০ শতাংশ ভোট পড়ে গিয়েছে। এখন আর কী করবেন।

কিন্তু নন্দীগ্রামে ভোটের খেলায় মমতার কাছেই শেষমেশ গোল খেতে হল শুভেন্দু অধিকারীকে। ভোটের ফলাফল বেরনোর পর রবিবার হুইলচেয়ার ছেডে় পায়ে হেঁটেই দলীয় কার্যযালয়ে ঢোকেন মমতা।

ডিএএম//

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *