নিজস্ব প্রতিবেদক: বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফা ভোটের শেষলগ্নে নন্দীগ্রামের বয়ালে মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেছেন, সারাদিন ধরে বিজেপি কর্মীরা বন্দুক হাতে বুথে বুথে তাণ্ডব করেছে। মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি।
মমতা বলেন, আমরা কমিশনের কাছে ৬৩টি অভিযোগ জানিয়েছি। আমি নিজে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরাকে চিঠি লিখেছি। প্রয়োজনে হাইকোর্টে মামলা করবো।
তিনি বলেন, “তবুও জানাচ্ছি, তৃণমূল নন্দীগ্রাম নির্বাচনে ৯০ শতাংশ ভোট পেয়ে জিতবে।” বয়ালে হুইল চেয়ারে বসেই মমতা টেলিফোন করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখরকে। তাকে জানান সব কথা।
মমতা এদিন সারা দুপুর নিজেকে রেয়াপাড়ার বাড়ির কন্ট্রোল রুমে আটকে রাখার পর দুপুর বারোটা নাগাদ বের হন। হুইল চেয়ারে করে যান উপদ্রুত বয়াল-এর একটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত খণ্ডযুদ্ধ চলে বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যে।
বয়ালে মমতা পৌঁছানোর পর সংঘর্ষ আবার তীব্র হয়। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীদের মমতা বলেন, আপনাদের কোনও দোষ নেই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আপনাদের যে নির্দেশ দিয়েছেন আপনারা সেটা পালন করছেন।
মমতার সামনেই তৃণমূল-বিজেপি কর্মীরা খণ্ডযুদ্ধে লিপ্ত হন। মমতা যখন রেয়াপাড়ায় নিজেকে ঘরবন্দি রাখেন তখন শুভেন্দু অধিকারী দাপিয়ে ঘুরে বেড়ান নন্দীগ্রামজুড়ে।
শুভেন্দু বলেন, হেরে যাবেন বুঝেই মমতা নাটক করছেন। বেগমের এই নাটকের সঙ্গে বাংলার মানুষ পরিচিত। এদিন রাজ্যের ৩০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয় মৃদু অশান্তির সঙ্গে।
ডিএ//
Leave a Reply