Dhaka ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল

তিন বছরেই ৩৮ শতাংশ ভোটবৃদ্ধি বিজেপির, আটকাতে পারবে তৃণমূল ?

  • Update Time : ০৩:২৮:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১
  • / ২ Time View

দিদারুল আলম : শনিবার ২৭ মার্চ থেকে শুরু পশ্চিম বাংলার আট দফা নির্বাচন।

আজ শনিবার প্রথম দফা। আপাতদৃষ্টিতে লড়াই ত্রিমুখী হলেও এই ভোটে তৃণমূলের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি।

বিজেপির এই উত্থানের বাস্তবতা স্বীকার না করলেও তাদের ঠেকাতে রাজ্য চষে বেড়াচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি এ রাজ্য জয় করে ‘ডাবল ইন্জিন’ সরকার গড়তে চায়। কেন্দ্র ও রাজ্যে একই সরকার। তবে রাজ্যের ঐতিহ্য ও চেতনার কথা এবং বিগত দিনের উন্নয়ন, আগামীর কর্মসূচি তুলে ধরে নিয়ন্ত্রণ নিজেদের মাঝে রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

বিজেপির তুলনায় অনেকটাই পিছনে পায়ে বাম-কংগ্রেস-সিদ্দিক জোট। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদিও তৃতীয় বার ক্ষমতায় ফেরা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। তাঁর দাবি, বাম-কংগ্রেসের ভোট ভাঙিয়েই রাজ্যে ঘাঁটি করতে সক্ষম হয়েছিল বিজেপি। তাই তাঁদের ভয়ের কিছু নেই।

রাজনীতিক বিশ্লেষকদের পর্যবেক্ষণ হলো, কয়েক বছর আগে পর্যন্ত বাংলার রাজনীতিতে যাদের কার্যত অস্তিত্বই ছিল না, সেই গেরুয়া তথা বিজেপি শিবিরই নীলবাড়ির লড়াইয়ে তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে। রাজ্যের রাজধানী কলকাতায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে আলাপ করেও পাওয়া গেলো সেই পালস।

২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের থেকে তিন বছরে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি-র ভোট বেড়েছিল ৩৮ শতাংশ। বিধানসভাতেও গেরুয়া শিবিরের সেই উত্থান তিনি রুখতে পারবেন কি না, মমতার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ সেটাই। শনিবার প্রথমদফার ভোট থেকেই সেই চ্যালেঞ্জের দিন শুরু। শেষ হবে ২ মে, ভোটের ফল প্রকাশের দিন।

বিজেপি-র এই উত্থান যে রাতারাতি হয়নি, তা বিগত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান দেখলেই বোঝা যাবে। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে প্রধান বিরোধীদল হয়ে ওঠাই লক্ষ্য ছিল বিজেপি নেতৃত্বের। কিন্তু সেই লক্ষ্যপূরণের অনেক আগেই থেমে যেতে হয়েছিল তাদের। খড়্গপুর সদর, মাদারিহাট এবং বৈষ্ণবনগর— বিধানসভায় মাত্র তিনটি আসন পেয়েছিল তারা। কিন্তু ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলার রাজনৈতিক সমীকরণ অনেকটাই পাল্টে যায়। ২০১৯-এ ১৮টি লোকসভা আসনে জয়লাভ করে বিজেপি। শাসকদল তৃণমূলের সঙ্গে তাদের আসনের ব্যবধান ছিল মাত্র ২। সেখান থেকেই বাংলায় ‘গেরুয়া দাপটের’ সূত্রপাত। গত কয়েক বছর ধরেই এ রাজ্যে বিজেপির সমর্থন বাড়তে থাকে। লোকসভা নির্বাচনেও এর প্রতিফলন মেলে। বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপি ফলাফলে চলক দেখাতে পারে বলে অনেকের অভিমত।

তৃণমূলের জোড়াফুল শিবিরের বক্তব্য, বিধানসভা নির্বাচন এবং লোকসভা নির্বাচন এক নয়। কেন্দ্রীয় নির্বাচনে কোনও দল ভাল ফল করলে রাজ্যের নির্বাচনেও তারা ভাল ফল করবে, এমনটা বলা যায় না।

আজ শনিবার প্রথম দফায় রাজ্যের পাঁচটি জেলার যে ৩০টি আসনে ভোট হচ্ছে, আগের তুলনায় সেখানে বিজেপি-র শেকড় বেশ মজবুত বলেই জরিপ বলছে। কারণ, শনিবার পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম- এই পাঁচ জেলার যে ৩০টি আসনে ভোটগ্রহণ, ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে সেখানে একটিতেও জয়লাভ না করলেও ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে ওই বিধানসভা কেন্দ্রগুলির মধ্যে ২০টিতেই এগিয়ে ছিল বিজেপি। তৃণমূল এগিয়ে ছিল মাত্র ১০টিতে। অথচ ২০১৬-র পরিসংখ্যান বলছে, ওই ৩০টি আসনের ২৭টিতে জয়লাভ করেছিল তৃণমূল। দু’টি আসনে পেয়েছিল কংগ্রেস এবং একটি আসন পেয়েছিল বামশরিক আরএসপি। সে বার ওই ৩০টি আসনের একটিতেও জেতেনি বিজেপি। তবে এবার এখানে চমক দেখাতে পারবে কি বিজেপি?

এমডিএ//

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

তিন বছরেই ৩৮ শতাংশ ভোটবৃদ্ধি বিজেপির, আটকাতে পারবে তৃণমূল ?

Update Time : ০৩:২৮:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১

দিদারুল আলম : শনিবার ২৭ মার্চ থেকে শুরু পশ্চিম বাংলার আট দফা নির্বাচন।

আজ শনিবার প্রথম দফা। আপাতদৃষ্টিতে লড়াই ত্রিমুখী হলেও এই ভোটে তৃণমূলের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি।

বিজেপির এই উত্থানের বাস্তবতা স্বীকার না করলেও তাদের ঠেকাতে রাজ্য চষে বেড়াচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি এ রাজ্য জয় করে ‘ডাবল ইন্জিন’ সরকার গড়তে চায়। কেন্দ্র ও রাজ্যে একই সরকার। তবে রাজ্যের ঐতিহ্য ও চেতনার কথা এবং বিগত দিনের উন্নয়ন, আগামীর কর্মসূচি তুলে ধরে নিয়ন্ত্রণ নিজেদের মাঝে রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

বিজেপির তুলনায় অনেকটাই পিছনে পায়ে বাম-কংগ্রেস-সিদ্দিক জোট। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদিও তৃতীয় বার ক্ষমতায় ফেরা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। তাঁর দাবি, বাম-কংগ্রেসের ভোট ভাঙিয়েই রাজ্যে ঘাঁটি করতে সক্ষম হয়েছিল বিজেপি। তাই তাঁদের ভয়ের কিছু নেই।

রাজনীতিক বিশ্লেষকদের পর্যবেক্ষণ হলো, কয়েক বছর আগে পর্যন্ত বাংলার রাজনীতিতে যাদের কার্যত অস্তিত্বই ছিল না, সেই গেরুয়া তথা বিজেপি শিবিরই নীলবাড়ির লড়াইয়ে তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে। রাজ্যের রাজধানী কলকাতায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে আলাপ করেও পাওয়া গেলো সেই পালস।

২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের থেকে তিন বছরে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি-র ভোট বেড়েছিল ৩৮ শতাংশ। বিধানসভাতেও গেরুয়া শিবিরের সেই উত্থান তিনি রুখতে পারবেন কি না, মমতার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ সেটাই। শনিবার প্রথমদফার ভোট থেকেই সেই চ্যালেঞ্জের দিন শুরু। শেষ হবে ২ মে, ভোটের ফল প্রকাশের দিন।

বিজেপি-র এই উত্থান যে রাতারাতি হয়নি, তা বিগত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান দেখলেই বোঝা যাবে। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে প্রধান বিরোধীদল হয়ে ওঠাই লক্ষ্য ছিল বিজেপি নেতৃত্বের। কিন্তু সেই লক্ষ্যপূরণের অনেক আগেই থেমে যেতে হয়েছিল তাদের। খড়্গপুর সদর, মাদারিহাট এবং বৈষ্ণবনগর— বিধানসভায় মাত্র তিনটি আসন পেয়েছিল তারা। কিন্তু ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলার রাজনৈতিক সমীকরণ অনেকটাই পাল্টে যায়। ২০১৯-এ ১৮টি লোকসভা আসনে জয়লাভ করে বিজেপি। শাসকদল তৃণমূলের সঙ্গে তাদের আসনের ব্যবধান ছিল মাত্র ২। সেখান থেকেই বাংলায় ‘গেরুয়া দাপটের’ সূত্রপাত। গত কয়েক বছর ধরেই এ রাজ্যে বিজেপির সমর্থন বাড়তে থাকে। লোকসভা নির্বাচনেও এর প্রতিফলন মেলে। বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপি ফলাফলে চলক দেখাতে পারে বলে অনেকের অভিমত।

তৃণমূলের জোড়াফুল শিবিরের বক্তব্য, বিধানসভা নির্বাচন এবং লোকসভা নির্বাচন এক নয়। কেন্দ্রীয় নির্বাচনে কোনও দল ভাল ফল করলে রাজ্যের নির্বাচনেও তারা ভাল ফল করবে, এমনটা বলা যায় না।

আজ শনিবার প্রথম দফায় রাজ্যের পাঁচটি জেলার যে ৩০টি আসনে ভোট হচ্ছে, আগের তুলনায় সেখানে বিজেপি-র শেকড় বেশ মজবুত বলেই জরিপ বলছে। কারণ, শনিবার পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম- এই পাঁচ জেলার যে ৩০টি আসনে ভোটগ্রহণ, ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে সেখানে একটিতেও জয়লাভ না করলেও ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে ওই বিধানসভা কেন্দ্রগুলির মধ্যে ২০টিতেই এগিয়ে ছিল বিজেপি। তৃণমূল এগিয়ে ছিল মাত্র ১০টিতে। অথচ ২০১৬-র পরিসংখ্যান বলছে, ওই ৩০টি আসনের ২৭টিতে জয়লাভ করেছিল তৃণমূল। দু’টি আসনে পেয়েছিল কংগ্রেস এবং একটি আসন পেয়েছিল বামশরিক আরএসপি। সে বার ওই ৩০টি আসনের একটিতেও জেতেনি বিজেপি। তবে এবার এখানে চমক দেখাতে পারবে কি বিজেপি?

এমডিএ//