Dhaka ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ মার্চ ২০২৫, ২০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতীকি ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত: সর্বোচ্চ আদালতে ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট

পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এলে মাথাপিছু ৫৭০০ রুপি দেবে কংগ্রেস

  • Update Time : ০৫:৫০:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মার্চ ২০২১
  • / ১২ Time View

কলকাতা প্রতিনিধি: পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে ইশতেহার প্রকাশ করেছে কংগ্রেস।
“এবার আর ভুল নয়, আর কোনো ফুল নয়’ এ বার্তা দিয়ে সোমবার ২২ মার্চ কলকাতার প্রদেশ কংগ্রেসের দপ্তর থেকে কংগ্রেসের ইশতেহার প্রকাশ করলেন রাজ্য সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। শুধু বার্তা নয় কংগ্রেসের ইশতেহারের প্রথম প্রচ্ছদে এমন স্লোগানই স্থান পেয়েছে।

ইশতেহার প্রকাশের সময় ঘোষণা দেয়া হয়, পশ্চিমবঙ্গে বাম-কংগ্রেস-সেকুলার ফ্রন্ট অর্থাৎ সংযুক্ত মোর্চা ক্ষমতায় এলে মাথাপিছু ৫৭০০ রুপি করে দেবে কংগ্রেস। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিজেপির পদ্মফুল এবং তৃণমূলের জোড়া ফুল আসলে মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ।

অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের শাসনকালে এবং বাম সরকারের ৩৪ বছরে একটা গ্রামও দখল করতে পারেনি বিজেপি। কিন্তু দিদির (মমতা) ১০ বছরের শাসনকালের রাজ্যে বিজেপি শুধু বিস্তার লাভ করেনি লোকসভায় ১৮টা আসন পেয়ে একটা অস্থির বাতাবরন তৈরি করেছে।

‘এবারের বিধানসভা নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি দলবদলের হিড়িক দেখা গেছে তৃণমূল কংগ্রেসে। দলত্যাগীরা সরাসরি বিজেপিতে যোগদান করেছে। এ থেকেই বোঝা যায় তলায় তলায় মোদি-মমতা নিজেদের মধ্যে একটা সেটিং করে নিয়েছে রাজ্যটাকে বেঁচে দেয়ার জন্য। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলো দেখুন কি অবস্থা। ওরা পশ্চিমবঙ্গকে বিহার, উত্তরপ্রদেশ বানিয়ে ছাড়বে। এ কারণেই আমরা বলছি বিজেপি এবং তৃণমূল আদতে একটাই দল। যার নাম ‘বিজেমূল’। তাই তাদের ভোট দেয়া মানেই রাজ্যে সাম্প্রদায়িকতা বাড়বে, মহিলা নিরাপত্তা কমবে, বেকার বাড়বে। আরও তলানিতে ঠেলে দেবে পশ্চিমবঙ্গকে। ’

অধীর রঞ্জন চৌধুরী আরও বলেন, পশ্চিম বাংলার রূপকার ড. বিধান চন্দ্র রায়ের অনুপ্রেরণায় আমরা আমাদের ইশতেহারে ৮টি বিষয়ে সবথেকে বেশি জোর দিয়েছি। আইনের শাসন ও মহিলা নিরাপত্তা, সামাজিক সুরক্ষার, শিল্প প্রসার ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, অন্নদাতা কৃষকদের উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের গুণগতমান উন্নয়ন, শুদ্ধ জল এবং পরিবেশ রক্ষার উন্নয়ন, শিক্ষা-সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য রক্ষা, দান খয়রাতির রাজনীতি নয় ও দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের মত বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ক্ষমতায় এলে এগুলো মেনেই চলবে কংগ্রেস জোট সংযুক্ত মোর্চা। মমতাকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, দিদির শাসনকালে ১০ বছরে আর্থিকভাবে ভারতের অন্যান্য রাজ্য থেকে পিছিয়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যে মাথাপিছু আয় ২২টি রাজ্যের নিচে। আবার যদি আপনি (মমতা) ক্ষমতায় আসেন রাজ্যে দুর্ভিক্ষ শুরু যাবে। এক সময় দুর্ভিক্ষ দেখেছিল পশ্চিমবঙ্গ। ডক্টর বিধানচন্দ্র রায় রাজ্যের দায়িত্ব নেয়ার পর আজ দুর্ভিক্ষ শব্দটা রাজ্য থেকে মুছে গেছে। আপনি (মমতা) আবার সেখানেই আনতে চান।

এরপর মোদীকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ভারতের একাধিক রাজ্যে আপনারা ক্ষমতায় আছেন কেন সেগুলো সোনার হয়নি। আপনি তো দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতায়। আপনার ওপর কে আছে কেন তাহলে দেশের এই অবস্থা। আর এক বাংলা রাজ্য ত্রিপুরায় তো আপনারা। কি উন্নতি হয়েছে সেখানে।

ডিএ//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এলে মাথাপিছু ৫৭০০ রুপি দেবে কংগ্রেস

Update Time : ০৫:৫০:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মার্চ ২০২১

কলকাতা প্রতিনিধি: পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে ইশতেহার প্রকাশ করেছে কংগ্রেস।
“এবার আর ভুল নয়, আর কোনো ফুল নয়’ এ বার্তা দিয়ে সোমবার ২২ মার্চ কলকাতার প্রদেশ কংগ্রেসের দপ্তর থেকে কংগ্রেসের ইশতেহার প্রকাশ করলেন রাজ্য সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। শুধু বার্তা নয় কংগ্রেসের ইশতেহারের প্রথম প্রচ্ছদে এমন স্লোগানই স্থান পেয়েছে।

ইশতেহার প্রকাশের সময় ঘোষণা দেয়া হয়, পশ্চিমবঙ্গে বাম-কংগ্রেস-সেকুলার ফ্রন্ট অর্থাৎ সংযুক্ত মোর্চা ক্ষমতায় এলে মাথাপিছু ৫৭০০ রুপি করে দেবে কংগ্রেস। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিজেপির পদ্মফুল এবং তৃণমূলের জোড়া ফুল আসলে মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ।

অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের শাসনকালে এবং বাম সরকারের ৩৪ বছরে একটা গ্রামও দখল করতে পারেনি বিজেপি। কিন্তু দিদির (মমতা) ১০ বছরের শাসনকালের রাজ্যে বিজেপি শুধু বিস্তার লাভ করেনি লোকসভায় ১৮টা আসন পেয়ে একটা অস্থির বাতাবরন তৈরি করেছে।

‘এবারের বিধানসভা নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি দলবদলের হিড়িক দেখা গেছে তৃণমূল কংগ্রেসে। দলত্যাগীরা সরাসরি বিজেপিতে যোগদান করেছে। এ থেকেই বোঝা যায় তলায় তলায় মোদি-মমতা নিজেদের মধ্যে একটা সেটিং করে নিয়েছে রাজ্যটাকে বেঁচে দেয়ার জন্য। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলো দেখুন কি অবস্থা। ওরা পশ্চিমবঙ্গকে বিহার, উত্তরপ্রদেশ বানিয়ে ছাড়বে। এ কারণেই আমরা বলছি বিজেপি এবং তৃণমূল আদতে একটাই দল। যার নাম ‘বিজেমূল’। তাই তাদের ভোট দেয়া মানেই রাজ্যে সাম্প্রদায়িকতা বাড়বে, মহিলা নিরাপত্তা কমবে, বেকার বাড়বে। আরও তলানিতে ঠেলে দেবে পশ্চিমবঙ্গকে। ’

অধীর রঞ্জন চৌধুরী আরও বলেন, পশ্চিম বাংলার রূপকার ড. বিধান চন্দ্র রায়ের অনুপ্রেরণায় আমরা আমাদের ইশতেহারে ৮টি বিষয়ে সবথেকে বেশি জোর দিয়েছি। আইনের শাসন ও মহিলা নিরাপত্তা, সামাজিক সুরক্ষার, শিল্প প্রসার ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, অন্নদাতা কৃষকদের উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের গুণগতমান উন্নয়ন, শুদ্ধ জল এবং পরিবেশ রক্ষার উন্নয়ন, শিক্ষা-সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য রক্ষা, দান খয়রাতির রাজনীতি নয় ও দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের মত বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ক্ষমতায় এলে এগুলো মেনেই চলবে কংগ্রেস জোট সংযুক্ত মোর্চা। মমতাকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, দিদির শাসনকালে ১০ বছরে আর্থিকভাবে ভারতের অন্যান্য রাজ্য থেকে পিছিয়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যে মাথাপিছু আয় ২২টি রাজ্যের নিচে। আবার যদি আপনি (মমতা) ক্ষমতায় আসেন রাজ্যে দুর্ভিক্ষ শুরু যাবে। এক সময় দুর্ভিক্ষ দেখেছিল পশ্চিমবঙ্গ। ডক্টর বিধানচন্দ্র রায় রাজ্যের দায়িত্ব নেয়ার পর আজ দুর্ভিক্ষ শব্দটা রাজ্য থেকে মুছে গেছে। আপনি (মমতা) আবার সেখানেই আনতে চান।

এরপর মোদীকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ভারতের একাধিক রাজ্যে আপনারা ক্ষমতায় আছেন কেন সেগুলো সোনার হয়নি। আপনি তো দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতায়। আপনার ওপর কে আছে কেন তাহলে দেশের এই অবস্থা। আর এক বাংলা রাজ্য ত্রিপুরায় তো আপনারা। কি উন্নতি হয়েছে সেখানে।

ডিএ//