Dhaka ১০:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
মামলা হলেই গ্রেফতার নয়, তদন্তে দায় পাওয়া গেলে ব্যবস্থা: আইজিপি `অন্তর্ভূক্তিমূলক রাষ্ট্রকাঠামোই জাতীয়তাবাদের উপহার’-অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান বিপুল আনন্দ উৎসাহ উদ্দীপনায় দেশব্যাপী বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপিত ‘জুলাই আন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সহস্রাধিক লোকের সাক্ষ্য’ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এবারের নববর্ষের অঙ্গীকার : প্রধান উপদেষ্টা সোয়াই নদীর পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে : ৫’শ মিটার কাজে বাঁধা দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ডিইউজে বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতীকি ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত: সর্বোচ্চ আদালতে ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

প্রার্থী নিয়ে জেলায় জেলায় বিজেপিতে ক্ষোভ

  • Update Time : ০৯:০১:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মার্চ ২০২১
  • / ২২ Time View

কলকাতা প্রতিনিধি : বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থীতাকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জেলায় বিক্ষোভ বিজেপি কর্মীদের।

নীল বাড়ির লড়াইয়ে প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় রাজ্য জুড়ে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা।

দলের মধ্যেই শুরু হয়েছে গোষ্ঠী কোন্দল। তারই মধ্যে সোমবার দিনভর বিজেপি-র নির্বাচনী কার্যালয় হেস্টিংসেও বিক্ষোভ দেখান দলের কর্মীরা। বিক্ষোভের মুখে পড়েন শিবপ্রকাশ, মুকুল রায়, অরবিন্দ মেনন, অর্জুন সিংহ, সব্যসাচী দত্ত-সহ বিজেপি-র একাধিক নেতা। সন্ধ্যায় পুলিশের ব্যারিকেডও ভেঙে দেয়া হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

রবিবার ১৪ মার্চ বিজেপি-র প্রার্থিতালিকা ঘোষণার পর থেকেই একাধিক জেলায় বিক্ষোভ দেখান কর্মী-সমর্থকরা। এ বার বিক্ষোভের সেই আঁচ এসে পড়ে কলকাতায় দলের হেস্টিংস কার্যালয়ে। সোমবার ১৫ মার্চ সকাল থেকে দফায় দফায় হেস্টিংসের কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা।

দুপুরের পর ওই বিক্ষোভ আরও তীব্র মাত্রা নেয়। ভাঙা হয় পুলিশের ব্যারিকেড। বিক্ষোভের হাত থেকে রেহাই পাননি দলের শীর্ষ নেতারাও। সকালে মুকুল কার্যালয়ে ঢুকতে গেলে তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তিনি কিছুক্ষণ আটকে পড়েন। এর পর একে একে শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ, অর্জুন, সব্যসাচী বিক্ষোভের মুখে পড়েন। কর্মীদের ক্ষোভ মেটাতে তাঁরা আশ্বস্তও করলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। অবশেষে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন বিজেপি নেতৃত্ব।

বিজেপি সূত্রে খবর, বিক্ষোভকারীরা পাঁচলা, উদয়নারায়ণপুর ও রায়দিঘি বিধানসভার কর্মী। ওই বিধানসভা কেন্দ্রগুলি থেকে দল যাঁদেরকে প্রার্থী করেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলেন ওই কর্মীরা। পাঁচলা থেকে বিজেপি-র প্রার্থী হয়েছেন মোহিত ঘাঁটি। তাঁকে বহিরাগত তকমা দিয়ে এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘‘দল যাঁকে প্রার্থী করেছে তিনি এলাকায় পরিচিত নন। সংগঠনের সঙ্গেও পরিচিত নন। আমরা দাবি স্থানীয় কাউকে প্রার্থী করতে হবে।’’ সুমিতরঞ্জন করারকে উদয়নারায়ণপুরে প্রার্থী করেছে বিজেপি। তাঁর বিরুদ্ধে তোলাবাজি, মধুচক্র ও বেআইনি কারবারে যুক্ত থাকার অভিযোগ তোলেন বিক্ষোভকারীরা। রায়দিঘির প্রার্থী শান্তনু বাপুলি অন্য দল থেকে বিজেপি-তে এসেই টিকিট পেয়েছেন বলে ক্ষোভ দেখান কর্মীরা। সব মিলিয়ে দিনভর বিক্ষুব্দ গোষ্ঠীদের প্রতিবাদে বিজেপি-র প্রার্থী তালিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ পেয়েছে। এ নিয়ে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এটা দলের নিয়মবিরোধী। অনভিপ্রেত ঘটনা। আমাদের মতো দলে এটা হওয়াটা দুর্ভাগ্যজনক। দল যদি মনে করে এক দিন আগে যোগ দিয়েও টিকিট পাওয়া যায়।’’

বিজেপি-র প্রার্থী ঠিক করেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেখানে সরাসরি রাজ্য নেতাদের ভূমিকা থাকে না বলে বিক্ষোভকারীদের বোঝান রাজ্য বিজেপি-র সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতেও ক্ষোভ মেটেনি ক্ষুব্ধ কর্মীদের।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

প্রার্থী নিয়ে জেলায় জেলায় বিজেপিতে ক্ষোভ

Update Time : ০৯:০১:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মার্চ ২০২১

কলকাতা প্রতিনিধি : বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থীতাকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জেলায় বিক্ষোভ বিজেপি কর্মীদের।

নীল বাড়ির লড়াইয়ে প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় রাজ্য জুড়ে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা।

দলের মধ্যেই শুরু হয়েছে গোষ্ঠী কোন্দল। তারই মধ্যে সোমবার দিনভর বিজেপি-র নির্বাচনী কার্যালয় হেস্টিংসেও বিক্ষোভ দেখান দলের কর্মীরা। বিক্ষোভের মুখে পড়েন শিবপ্রকাশ, মুকুল রায়, অরবিন্দ মেনন, অর্জুন সিংহ, সব্যসাচী দত্ত-সহ বিজেপি-র একাধিক নেতা। সন্ধ্যায় পুলিশের ব্যারিকেডও ভেঙে দেয়া হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

রবিবার ১৪ মার্চ বিজেপি-র প্রার্থিতালিকা ঘোষণার পর থেকেই একাধিক জেলায় বিক্ষোভ দেখান কর্মী-সমর্থকরা। এ বার বিক্ষোভের সেই আঁচ এসে পড়ে কলকাতায় দলের হেস্টিংস কার্যালয়ে। সোমবার ১৫ মার্চ সকাল থেকে দফায় দফায় হেস্টিংসের কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা।

দুপুরের পর ওই বিক্ষোভ আরও তীব্র মাত্রা নেয়। ভাঙা হয় পুলিশের ব্যারিকেড। বিক্ষোভের হাত থেকে রেহাই পাননি দলের শীর্ষ নেতারাও। সকালে মুকুল কার্যালয়ে ঢুকতে গেলে তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তিনি কিছুক্ষণ আটকে পড়েন। এর পর একে একে শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ, অর্জুন, সব্যসাচী বিক্ষোভের মুখে পড়েন। কর্মীদের ক্ষোভ মেটাতে তাঁরা আশ্বস্তও করলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। অবশেষে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন বিজেপি নেতৃত্ব।

বিজেপি সূত্রে খবর, বিক্ষোভকারীরা পাঁচলা, উদয়নারায়ণপুর ও রায়দিঘি বিধানসভার কর্মী। ওই বিধানসভা কেন্দ্রগুলি থেকে দল যাঁদেরকে প্রার্থী করেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলেন ওই কর্মীরা। পাঁচলা থেকে বিজেপি-র প্রার্থী হয়েছেন মোহিত ঘাঁটি। তাঁকে বহিরাগত তকমা দিয়ে এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘‘দল যাঁকে প্রার্থী করেছে তিনি এলাকায় পরিচিত নন। সংগঠনের সঙ্গেও পরিচিত নন। আমরা দাবি স্থানীয় কাউকে প্রার্থী করতে হবে।’’ সুমিতরঞ্জন করারকে উদয়নারায়ণপুরে প্রার্থী করেছে বিজেপি। তাঁর বিরুদ্ধে তোলাবাজি, মধুচক্র ও বেআইনি কারবারে যুক্ত থাকার অভিযোগ তোলেন বিক্ষোভকারীরা। রায়দিঘির প্রার্থী শান্তনু বাপুলি অন্য দল থেকে বিজেপি-তে এসেই টিকিট পেয়েছেন বলে ক্ষোভ দেখান কর্মীরা। সব মিলিয়ে দিনভর বিক্ষুব্দ গোষ্ঠীদের প্রতিবাদে বিজেপি-র প্রার্থী তালিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ পেয়েছে। এ নিয়ে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এটা দলের নিয়মবিরোধী। অনভিপ্রেত ঘটনা। আমাদের মতো দলে এটা হওয়াটা দুর্ভাগ্যজনক। দল যদি মনে করে এক দিন আগে যোগ দিয়েও টিকিট পাওয়া যায়।’’

বিজেপি-র প্রার্থী ঠিক করেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেখানে সরাসরি রাজ্য নেতাদের ভূমিকা থাকে না বলে বিক্ষোভকারীদের বোঝান রাজ্য বিজেপি-র সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতেও ক্ষোভ মেটেনি ক্ষুব্ধ কর্মীদের।