পররাষ্ট্র ডেস্ক:
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে নির্বাচনের আগে মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে (বিজেপি) যোগদান হচ্ছে প্রতিনগয়তই।
কিন্তু সাবেক কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহার হাত ধরে এবার পশ্চিমবঙ্গে উল্টটা হলো। দেশটির ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ছাড়ার তিন বছরের মাথায় মমতার তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন যশবন্ত।
শনিবার ১৩’মার্চ তৃণমূলের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে দলটির পতাকা হাতে তুলে নিয়ে যশবন্ত বলেন, ‘মোদি সরকার স্বেচ্ছাচারিতা চালাচ্ছে। তাদেরকে (মোদি ও অমিত শাহ) বাধা দেয়ার মতো কেউ নেই। দেশের গণতন্ত্র আজ বিপন্ন।’
এর আগে তৃণমূল কার্যালয়ে গেলে তাকে স্বাগত জানান দলটির নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সুদীপ ব্যানার্জি ও ডেরেক ও’ব্রায়েন।
তৃণমূল নেতা সুব্রত জানান, মমতা ব্যানার্জি নিজে যশবন্তকে দলে স্বাগত জানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অসুস্থতার জন্য আসতে পারেননি তিনি। তৃণমূলে যোগ দিয়ে যশবন্ত সিনহা তৃণমূলকে আরো শক্তিশালী করেছেন বলেও মন্তব্য করেন সুব্রত।
নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের ‘স্বেচ্ছাচারিতা’ মেনে নিতে না পেরে ২০১৮ সালে বিজেপি ছাড়েন অটল বিহারি বাজপেয়ী সরকারের অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা। তিন বছর পর এখন তিনি মমতার তৃণমূলে যোগ দিলেন।
১৯৮৪ সালে জনতা দলের হাত ধরে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেয়া যশবন্ত, বরাবরই গেরুয়া শিবিরে ছিলেন। কেন্দ্রীয় অর্থ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। কিন্তু ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের হাতে দলের নেতৃত্ব যাওয়ার পর থেকেই গেরুয়া শিবিরের সাথে তার সম্পর্কের অবনতি হয়। মোদি-শাহের নেতৃত্বাধীন বিজেপির রাজনৈতিক পদক্ষেপ ‘গণতন্ত্রবিরোধী’ বলেও একাধিকবার অভিযোগ করেছেন দলের সাবেক এই নেতা। মোদি ও অমিত শাহের হাতে বিজেপি দু’ব্যক্তি কেন্দ্রিক হয়েছে বলেও মনে করেন যশবন্ত। সম্পর্কের টানাপোড়েনের জের ধরে শেষ পর্যন্ত ২০১৮ সালে বিজেপি থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি।
যশবন্ত সিনহা ১৯৯০ সালের নভেম্বর থেকে ১৯৯১ সালের জুন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী চন্দ্র শেখর সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে প্রথম দায়িত্ব পালন করেন। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ী সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে ১৯৯৯৮ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এর পর থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন গেরুয়া শিবিরের তৎকালীন নেতা যশবন্ত।
যশবন্ত সিনহা ১৯৮৪ সালে সরকারি চাকরি ছেড়ে জনতা দলে যোগ দিয়ে রাজনীতিতে আসেন। পরে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।
ডিএ//
Leave a Reply