কলকাতা প্রতিনিধি: কলকাতার স্ট্র্যান্ড রোডে রেলের অফিসে অগ্নিকাণ্ডে ৯ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
মৃতদের মধ্যে ৪ জন দমকল কর্মী, দুইজন রেলপুলিশ এবং হেয়ার স্ট্রিট থানার একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর রয়েছেন বলে জানা গেছে। বাকি দুজনের শরীর ঝলসে যাওয়ায় এখনও অব্দি তাদের চেনা যায়নি। এছাড়াও এক রেলকর্মীও নিখোঁজ রয়েছেন।
খবর পেয়ে সোমবার ৮ মার্চ রাতে ঘটনাস্থলে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের অগ্নিকাণ্ডকে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে জানান তিনি। মৃতদের পরিবার পিছু ১০ লাখ রুপি আর্থিক সহায়তা ও এক জনকে সরকারি চাকরির দেয়ার ঘোষণা দিয়েন মুখ্যমন্ত্রী। এ দুর্ঘটনায় রেলের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতার অভিযোগ, আগুন লাগার পর পরই বিল্ডিংয়ের নকশা দেয়ার জন্য রাজ্য দমকল ও পুলিশের তরফে রেলকে অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু ওরা (রেল) সেসব দিতে পারেনি। এমনকি রেলের কোনও কর্তাও এসে পৌছাঁয়নি। এর সঙ্গে রেলের নিজস্ব ফায়ার সার্ভিস কেনো ব্যবহার করা হলো না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, যারা মারা গেছেন তারা লিফটে করে আগুন নেভাতে গিয়েছিল। ওরা দক্ষ ছিল। কিন্তু কোনোভাবে লিফটের দরজা বন্ধ হয়ে দমবন্ধ হয়ে ঝলসে মারা যান।
সোমবার সন্ধ্যায় বিল্ডিংয়ে আগুন লাগে।ভবনের ১৩ তলায় প্রথমে আগুন লাগে, পরে তা অন্য তলাতেও ছড়িয়ে পড়ে। ওই বাড়িতেই ছিল রেলসহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি অফিস। আগুন নেভাতে হিমশিম অবস্থা হয় দমকল কর্মীদের। ভবনের নকশা না পাওয়ায় সময় নষ্ট না করে, আগুনের উৎসের সন্ধানে দমকল কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লিফটের ব্যবহার করে বলে জানা গেছে। প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ডিএ//
Leave a Reply