Dhaka ০১:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতীকি ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত: সর্বোচ্চ আদালতে ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট

আল্লাহ বান্দাকে যত পুরস্কার দেন ঈদের রাতে

  • Update Time : ০৭:৩৭:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৫ Time View

সারাদেশ ডেস্ক : ঈদুল ফিতরের রাত পুরস্কারের রাত। পবিত্র মাহে রমজান শেষে যে রাত আগমন করে যাকে সহজে বুঝি আমরা চাঁদ রাত হিসেবে। এই রাতটি অত্যন্ত বরকতময় একটি রাত।

মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে পুরস্কার প্রাপ্তির রাত। এজন্য হাদিসে এই রাতকে পুরস্কারের রাত হিসেবে ব্যক্ত করা হয়েছে।

ফুকাহায়ে কেরামও দুই ঈদের রাতে জাগ্রত থাকাকে সুন্নত লিখেছেন। তাই এ রাতের বিশেষ কদর করা উচিত। এ রাতের গুরুত্ব ও ফজিলত অপরিসীম।

প্রথম ফজিলত: খোদার জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায় ঈদুল ফিতরের রাতে ইবাদতের মাধ্যমে। হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি পাঁচটি রাত (ইবাদতের মাধ্যমে) জাগ্রত থাকবে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।

এক. যিলহজ মাসের ৮ তারিখের রাত, দুই. যিলহজ মাসের ৯ তারিখের রাত (আরাফার রাত), তিন. ঈদুল আজহার রাত, চার. ইদুল ফিতরের রাত এবং পাঁচ. ১৫ শাবানের রাত। (আত তারগিব ওয়াত তারহিব লিল মুনজেরি ২/৯৮, হাদিস : ১৬৫৬)।

দ্বিতীয় ফজিলত: ঈদের রাতে কৃত দোয়া ফিরিয়ে দেয়া হয় না। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি জুমার রাত, রজব মাসের প্রথম রাত, অর্ধ শাবানের রাত এবং দুই ঈদের রাতসহ এ পাঁচ রাতে কোনো দোয়া করে; সে রাতে তার কোনো আবেদনই ফিরিয়ে দেয়া হয় না। (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, হাদিস : ৭৯২৭)

তৃতীয় ফজিলত: ঈদের রাতে ইবাদতকারীর অন্তর কিয়ামতের দিন মরবে না। হজরত আবু উমামা বাহেলি (রা.) বর্ণনা করেন, নবী (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি দুই ঈদের রাতে আল্লাহর কাছে সওয়াব প্রাপ্তির নিয়তে ইবাদত করবে তার হৃদয় সেদিনও জীবিত থাকবে যেদিন সকল হৃদয়ের মৃত্যু ঘটবে। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৭৮২)।

অন্য বর্ণনায় রয়েছে, হজরত উবাদা ইবনে সামেত (রা.) থেকে বর্ণিত, যে ব্যক্তি ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহার রাতকে (ইবাদতের মাধ্যমে) জীবিত রাখবে তার অন্তর ওই দিন মরবে না যেদিন অন্যদের অন্তর মরে যাবে। (আল মুজামুল আওসাত ১/৫৭, হাদিস : ১৫৯)।

ঈদুল ফিতরের রাতে ইবাদতে মশগুল থাকা মুস্তাহাব। যেমন হাদিসে এসেছে, নবীজি (সা.) এরশাদ করেন, রমজানের ব্যাপারে আমার উম্মতকে বিশেষভাবে পাঁচটি জিনিস দেয়া হয়েছে, যা পূর্বর্বী উম্মতগণ পায়নি। তন্মধ্যে একটি হল রমজানের শেষ রাতে রোজাদারদেরকে ক্ষমা করে দেয়া হয়।

সাহাবায়ে কেরাম আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ক্ষমার এই রাতটি শবে কদর নয় তো? নবীজি (সা.) বললেন, না, বরং শ্রমিকের কাজ শেষ হওয়ার পূর্বেই শ্রমের মজুরি দিয়ে দেয়া হয়। (মুসনাদে আহমদ)

উল্লেখিত হাদিসগুলোতে ঈদের রাতের যে সব ফজিলতের কথা বলা হয়েছে এগুলোর মধ্যে কোনটিতে বিশেষ কোনো ইবাদত করার কথা বলা হয়নি। তাই এই রাতে সাধ্যানুসারে নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আযকার, ইস্তিগফার এবং দোয়া-মুনাজাতে মশগুল থাকা কর্তব্য।

বরকতময় এই রাতে অযথা কাজে লিপ্ত হওয়া, বাজারে-মার্কেটে ঘুরাঘুরি করার পরিবর্তে এশা এবং ফজরের নামাজ সময়মত জামাতের সঙ্গে আদায় করা। সঙ্গে অন্যান্য আমলগুলো করা। অন্যান্য আমলগুলো করা সম্ভব না হলেও অন্তত এশা এবং ফজরের নামাজের জামাত ঠিক রাখা।

আল্লাহ আমাদেরকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের রাতসহ প্রতিটা মুহূর্তকে দ্বীনের কাজে লাগানোর তাওফিক দান করুন। আমিন।

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আল্লাহ বান্দাকে যত পুরস্কার দেন ঈদের রাতে

Update Time : ০৭:৩৭:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১

সারাদেশ ডেস্ক : ঈদুল ফিতরের রাত পুরস্কারের রাত। পবিত্র মাহে রমজান শেষে যে রাত আগমন করে যাকে সহজে বুঝি আমরা চাঁদ রাত হিসেবে। এই রাতটি অত্যন্ত বরকতময় একটি রাত।

মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে পুরস্কার প্রাপ্তির রাত। এজন্য হাদিসে এই রাতকে পুরস্কারের রাত হিসেবে ব্যক্ত করা হয়েছে।

ফুকাহায়ে কেরামও দুই ঈদের রাতে জাগ্রত থাকাকে সুন্নত লিখেছেন। তাই এ রাতের বিশেষ কদর করা উচিত। এ রাতের গুরুত্ব ও ফজিলত অপরিসীম।

প্রথম ফজিলত: খোদার জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায় ঈদুল ফিতরের রাতে ইবাদতের মাধ্যমে। হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি পাঁচটি রাত (ইবাদতের মাধ্যমে) জাগ্রত থাকবে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।

এক. যিলহজ মাসের ৮ তারিখের রাত, দুই. যিলহজ মাসের ৯ তারিখের রাত (আরাফার রাত), তিন. ঈদুল আজহার রাত, চার. ইদুল ফিতরের রাত এবং পাঁচ. ১৫ শাবানের রাত। (আত তারগিব ওয়াত তারহিব লিল মুনজেরি ২/৯৮, হাদিস : ১৬৫৬)।

দ্বিতীয় ফজিলত: ঈদের রাতে কৃত দোয়া ফিরিয়ে দেয়া হয় না। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি জুমার রাত, রজব মাসের প্রথম রাত, অর্ধ শাবানের রাত এবং দুই ঈদের রাতসহ এ পাঁচ রাতে কোনো দোয়া করে; সে রাতে তার কোনো আবেদনই ফিরিয়ে দেয়া হয় না। (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, হাদিস : ৭৯২৭)

তৃতীয় ফজিলত: ঈদের রাতে ইবাদতকারীর অন্তর কিয়ামতের দিন মরবে না। হজরত আবু উমামা বাহেলি (রা.) বর্ণনা করেন, নবী (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি দুই ঈদের রাতে আল্লাহর কাছে সওয়াব প্রাপ্তির নিয়তে ইবাদত করবে তার হৃদয় সেদিনও জীবিত থাকবে যেদিন সকল হৃদয়ের মৃত্যু ঘটবে। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৭৮২)।

অন্য বর্ণনায় রয়েছে, হজরত উবাদা ইবনে সামেত (রা.) থেকে বর্ণিত, যে ব্যক্তি ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহার রাতকে (ইবাদতের মাধ্যমে) জীবিত রাখবে তার অন্তর ওই দিন মরবে না যেদিন অন্যদের অন্তর মরে যাবে। (আল মুজামুল আওসাত ১/৫৭, হাদিস : ১৫৯)।

ঈদুল ফিতরের রাতে ইবাদতে মশগুল থাকা মুস্তাহাব। যেমন হাদিসে এসেছে, নবীজি (সা.) এরশাদ করেন, রমজানের ব্যাপারে আমার উম্মতকে বিশেষভাবে পাঁচটি জিনিস দেয়া হয়েছে, যা পূর্বর্বী উম্মতগণ পায়নি। তন্মধ্যে একটি হল রমজানের শেষ রাতে রোজাদারদেরকে ক্ষমা করে দেয়া হয়।

সাহাবায়ে কেরাম আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ক্ষমার এই রাতটি শবে কদর নয় তো? নবীজি (সা.) বললেন, না, বরং শ্রমিকের কাজ শেষ হওয়ার পূর্বেই শ্রমের মজুরি দিয়ে দেয়া হয়। (মুসনাদে আহমদ)

উল্লেখিত হাদিসগুলোতে ঈদের রাতের যে সব ফজিলতের কথা বলা হয়েছে এগুলোর মধ্যে কোনটিতে বিশেষ কোনো ইবাদত করার কথা বলা হয়নি। তাই এই রাতে সাধ্যানুসারে নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আযকার, ইস্তিগফার এবং দোয়া-মুনাজাতে মশগুল থাকা কর্তব্য।

বরকতময় এই রাতে অযথা কাজে লিপ্ত হওয়া, বাজারে-মার্কেটে ঘুরাঘুরি করার পরিবর্তে এশা এবং ফজরের নামাজ সময়মত জামাতের সঙ্গে আদায় করা। সঙ্গে অন্যান্য আমলগুলো করা। অন্যান্য আমলগুলো করা সম্ভব না হলেও অন্তত এশা এবং ফজরের নামাজের জামাত ঠিক রাখা।

আল্লাহ আমাদেরকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের রাতসহ প্রতিটা মুহূর্তকে দ্বীনের কাজে লাগানোর তাওফিক দান করুন। আমিন।

এসএস//