লাইফস্টাইল ডেস্ক : সৌন্দর্য চর্চায় ও ত্বককে সুস্থ রাখতে অনেকে বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনসামগ্রী ব্যবহার করে থাকেন। কোন প্রসাধনী আপনার জন্য ভালো কার্যকর তা জেনে-বুঝে তারপর ব্যবহার করা উচিৎ। কারণ বাজারে পাওয়া যায় এমন পণ্য হুট করেই মুখের ত্বকে ব্যবহার করা উচিৎ নয়। এতে ত্বকের ক্ষতি হয় আবার টাকাও নষ্ট হয়।
এ সব সমস্যা থেকে পরিত্রাণের জন্য ভারতের বডি কিউপিড প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর দুটি জিনিসের কথা মাথায় রাখতে বলেছেন। সব থেকে বেশি মনোযোগী হতে হবে স্কিনকেয়ার প্রসাধনী কেনার সময়। পণ্য তৈরিতে কি কি উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে তা দেখে নিতে হবে। আপনার অজানা কোনো উপাদান থাকলে তা সম্পর্কে অবশ্যই পূর্ণ ধারনা নিতে হবে। না জেনে কখনই ত্বকে ব্যবহার করা যাবে না।
প্রসাধনী ব্যবহারের আগে যা জানতে হবে
তিনি বলেন, কার্যকরী প্রসাধনী খুঁজে পাওয়ার সব থেকে ভালো পন্থা হলো প্রতিটি উপাদান সম্পর্কে নোট করে রাখা। সব থেকে ভালো উপায় হলো পণ্যের গাঁয়ে উপাদান গুলোর অবস্থান খেয়াল করা। প্রধান যে উপাদানগুলো বেশি কাজ করে পণ্যের গাঁয়ের তালিকায় সবার উপরে থাকে। তাই প্রথম ৫ থেকে ৬টি উপাদান অবশ্যই ভালো করে দেখে নিতে হবে। শুষ্ক ত্বক নিয়ে বরাবরই সব থেকে বেশি ভুগতে হয়। শুষ্ক ত্বকের যত্নে অনেক কিছু মাথায় রাখতে হয়। কারণ শুষ্ক ত্বককে গভীর হাইড্রেশন সরবরাহ করতে হয়। যে সব পণ্যে বাটার, কোকো বাটার, বাদাম তেল রয়েছে সেগুলো খুব ভালো কাজ করে। শুষ্ক ত্বকের জন্য সব থেকে বেশি যে সমস্যাটি পোহাতে হয় তা হলো প্যাচি স্কিন, যা প্রতিদিন ভালো করে পরিষ্কার করার পরেও হয়।
সংবেদনশীল ত্বকের ক্ষেত্রে খুব অল্পতেই দেখা যায় ত্বক লাল হয়ে যায়। তাই এ ধরনের ত্বককে খুব সতর্কতার সঙ্গে যত্ন করতে হয়। তবে এ ধরনের ত্বকের জন্য অ্যালোভেরা জেল, ওটমিল, শিয়া বাটারের অবস্থানটি খুব ভালো করে দেখে নিতে হবে।
তাই বলা বাহুল্য, উপাদান গুলোর অবস্থান নিজের পছন্দের প্রসাধনীতে অবশ্যই সতর্কতার সঙ্গে খেয়াল করতে হবে। তাহলে ত্বকের ক্ষতি হওয়া থেকে বাঁচানো সম্ভব।
এসএস//
Leave a Reply