Dhaka ০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেলেন ভাসমান ব্ল্যাকহোল

  • Update Time : ০৬:২৩:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ জানুয়ারী ২০২১
  • / ০ Time View

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক: পৃথিবী থেকে ৩০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরের একটি গ্যালাক্সি দেখে প্রথমে আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। বিশালাকার সেই গ্যালাক্সির কেন্দ্রে নেই কোনো ব্ল্যাকহোল। সম্প্রতি সমাধান হলো এই রহস্যের। আর বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো খুঁজে পেলেন ভাসমান ব্ল্যাকহোল। যা চমকে দিয়েছে বিজ্ঞানীমহলকে।

অ্যাবেল-২২৬১। মহাকাশের সবচেয়ে উজ্জ্বল গ্যালাক্সি ক্লাস্টার নামে খ্যাত এই গ্যালাক্সিতেই ঘটেছে এমন ঘটনা। এই গ্যালাক্সি প্রায় ১০ লাখেরও বেশি আলোকবর্ষ অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত। যার ব্যাস আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি থেকে দশগুণ বড়। বেশ কয়েকবছর আগেই এই গ্যালাক্সি খুঁজে পাওয়া গেলেও, তার কেন্দ্রে সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল খুঁজে পাননি বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি হাব স্পেস টেলিস্কোপ এবং সুবার স্পেস টেলিস্কোপের তোলা বেশ কিছু ছবি চমকে দেয় বিজ্ঞানীদের।

আসলে এই দূরবর্তী গ্যালাক্সির কোনো নির্দিষ্ট বিন্দুতে স্থির নেই সেখানকার সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোলটি। বরং গ্যালাক্সির মধ্যেই ভেসে বেড়াচ্ছে সেটি। কেন্দ্র থেকে প্রায় ২০০০ আলোকবর্ষ দূরে থেকে প্রদক্ষিণ করে যাচ্ছে গ্যালাক্সির গ্যালাকটিক সেন্টারকে। আর এর ওজন সূর্যের তুলনায় কয়েক লাখ কোটি বেশি।

বিজ্ঞানীরা জানান, সম্প্রতি একটি নক্ষত্রকে গিলে ফেলে এই ব্ল্যাকহোলটি। দৈত্যাকার তারাটির রহস্যজনক মিলিয়ে যাওয়া নিয়েই সংগ্রহ করা শুরু হয়েছিল মহাজাগতিক তথ্য। আর সেখান থেকেই প্রকাশ্যে আসে এই ব্ল্যাকহোলের অস্তিত্ব।

বিজ্ঞানীদের অনুমান, বেশ কয়েক লাখ বছর আগে বড় মাত্রার কোনো বিস্ফোরণের সাক্ষী ছিল এই গ্যালাক্সিটি। যার কারণে গ্যালাক্সির গ্যালাকটিক সেন্টার থেকে ছিটকে বেরিয়ে আসে সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোলটি। পরে তা অন্য আরেকটি সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তৈরি করে একটি শক্তিশালী বায়োনারি। যা গ্যালাক্সির গ্যালাকটিক সেন্টারকে কেন্দ্র করে প্রদক্ষিণ করে চলেছে এখনও।

আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রে থাকা সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোলটির নাম সিজাটেরিয়াস ‘এ’। এটি আমদের সৌরজগৎ থেকে প্রায় ২৬ হাজার আলোকবর্ষ দূরে, যা সূর্যের চেয়ে প্রায় ৪০ লাখ গুণ ভারী।

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেলেন ভাসমান ব্ল্যাকহোল

Update Time : ০৬:২৩:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ জানুয়ারী ২০২১

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক: পৃথিবী থেকে ৩০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরের একটি গ্যালাক্সি দেখে প্রথমে আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। বিশালাকার সেই গ্যালাক্সির কেন্দ্রে নেই কোনো ব্ল্যাকহোল। সম্প্রতি সমাধান হলো এই রহস্যের। আর বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো খুঁজে পেলেন ভাসমান ব্ল্যাকহোল। যা চমকে দিয়েছে বিজ্ঞানীমহলকে।

অ্যাবেল-২২৬১। মহাকাশের সবচেয়ে উজ্জ্বল গ্যালাক্সি ক্লাস্টার নামে খ্যাত এই গ্যালাক্সিতেই ঘটেছে এমন ঘটনা। এই গ্যালাক্সি প্রায় ১০ লাখেরও বেশি আলোকবর্ষ অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত। যার ব্যাস আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি থেকে দশগুণ বড়। বেশ কয়েকবছর আগেই এই গ্যালাক্সি খুঁজে পাওয়া গেলেও, তার কেন্দ্রে সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল খুঁজে পাননি বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি হাব স্পেস টেলিস্কোপ এবং সুবার স্পেস টেলিস্কোপের তোলা বেশ কিছু ছবি চমকে দেয় বিজ্ঞানীদের।

আসলে এই দূরবর্তী গ্যালাক্সির কোনো নির্দিষ্ট বিন্দুতে স্থির নেই সেখানকার সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোলটি। বরং গ্যালাক্সির মধ্যেই ভেসে বেড়াচ্ছে সেটি। কেন্দ্র থেকে প্রায় ২০০০ আলোকবর্ষ দূরে থেকে প্রদক্ষিণ করে যাচ্ছে গ্যালাক্সির গ্যালাকটিক সেন্টারকে। আর এর ওজন সূর্যের তুলনায় কয়েক লাখ কোটি বেশি।

বিজ্ঞানীরা জানান, সম্প্রতি একটি নক্ষত্রকে গিলে ফেলে এই ব্ল্যাকহোলটি। দৈত্যাকার তারাটির রহস্যজনক মিলিয়ে যাওয়া নিয়েই সংগ্রহ করা শুরু হয়েছিল মহাজাগতিক তথ্য। আর সেখান থেকেই প্রকাশ্যে আসে এই ব্ল্যাকহোলের অস্তিত্ব।

বিজ্ঞানীদের অনুমান, বেশ কয়েক লাখ বছর আগে বড় মাত্রার কোনো বিস্ফোরণের সাক্ষী ছিল এই গ্যালাক্সিটি। যার কারণে গ্যালাক্সির গ্যালাকটিক সেন্টার থেকে ছিটকে বেরিয়ে আসে সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোলটি। পরে তা অন্য আরেকটি সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তৈরি করে একটি শক্তিশালী বায়োনারি। যা গ্যালাক্সির গ্যালাকটিক সেন্টারকে কেন্দ্র করে প্রদক্ষিণ করে চলেছে এখনও।

আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রে থাকা সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোলটির নাম সিজাটেরিয়াস ‘এ’। এটি আমদের সৌরজগৎ থেকে প্রায় ২৬ হাজার আলোকবর্ষ দূরে, যা সূর্যের চেয়ে প্রায় ৪০ লাখ গুণ ভারী।

এসএস//