Dhaka ০২:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতীকি ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত: সর্বোচ্চ আদালতে ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট

কোরআনের ১০ আয়াত, মানুষের সুবিধাবাদী চরিত্র নিয়ে

  • Update Time : ০৬:৫৬:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৯ Time View


সারাদেশ ডেস্ক :
মানুষ বিপদে পড়ে, তখন এক রকম কথা বলে, আবার বিপদ মুক্ত হলে তার আসল চরিত্র প্রকাশ পায়। মানুষের এই সুবিধাবাদী চরিত্র সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে অসংখ্য আয়াত আছে। এখানে ১০টি আয়াত উল্লেখ করা হলো—

এক. ‘সে (মানুষ) যখন বিপদে পড়ে, তখন খুব হা-হুতাশ করে। আর যখন বিপদ কেটে যায়, তখন কৃপণ হয়ে যায়।’ (সুরা : মাআরিজ, আয়াত : ২০-২১)

দুই. ‘সাগরের মাঝখানে যখন তোমরা বিপদে পড়ো, তখন তোমরা (স্বাভাবিক অবস্থায়) আল্লাহ ছাড়া যাদের ডাকো তাদের ভুলে যাও। তারপর যখন আল্লাহ তোমাদের স্থলে (সৈকতে) এনে উদ্ধার করেন, তখন তোমরা (আল্লাহর দিক থেকে) মুখ ফিরিয়ে নাও।’ (সুরা : বনি ইসরাইল, আয়াত : ৬৭)

তিন. ‘মানুষকে যখন দুঃখ-দৈন্য স্পর্শ করে, তখন সে শুয়ে-বসে-দাঁড়িয়ে আমাকে (আল্লাহকে) ডাকতে থাকে। তারপর আমি যখন তার দুঃখ-দৈন্য দূর করে দিই, তখন মানুষ এমন ভাব করে যেন সে আপতিত দুঃখ-কষ্টের জন্য কখনোই আমাকে ডাকেনি।’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ১২)

চার. “যদি দুঃখ-দৈন্য স্পর্শ করার পর আমি তাকে সুখ ভোগ করাই, তখন সে বলতে থাকে, ‘আমার বিপদ দূর হয়ে গেছে।’ তখন সে উত্ফুল্ল ও অহংকারী হয়ে যায়।” (সুরা : হুদ, আয়াত : ১০)

পাঁচ. ‘যখন সাগরের ঢেউ মানুষকে আষ্টেপৃষ্ঠে ঢেকে ফেলে, তখন মানুষ আনুগত্যে বিশুদ্ধচিত্ত হয়ে আল্লাহকে ডাকতে থাকে। কিন্তু যখন (আল্লাহ) তাদের সৈকতে ফিরিয়ে এনে উদ্ধার করেন, তখন দেখা যায় (বেশির ভাগ মানুষ অকৃতজ্ঞ) কোনো কোনো মানুষ সরলপথে থাকে।’ (সুরা : লোকমান, আয়াত : ৩২)

ছয়. ‘মানুষকে যখন দুঃখ-দৈন্য স্পর্শ করে, তখন সে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহকে ডাকতে থাকে। এরপর আল্লাহ যখন তাকে দয়া করেন, তখন মানুষ ভুলে যায় যে বিপদে পড়ে সে এর আগে আল্লাহকে ডেকেছিল।’ (সুরা : জুমার, আয়াত : ৮)

সাত. ‘মানুষকে বিপদ-আপদ স্পর্শ করলে সে আমাকে (আল্লাহকে) ডাকে। যখন আল্লাহর অনুগ্রহে কষ্ট থেকে মুক্তি লাভ করে, তখন (মানুষ) বলতে থাকে, সে নিজের চেষ্টায় এ থেকে মুক্তি পেয়েছে।’ (সুরা : জুমার, আয়াত : ৪৯)

আট. “দুঃখ-দৈন্য স্পর্শ করার পর যখন আমি তাকে দয়া করে সুখের স্বাদ দিই, তখন মানুষ বলতে থাকে, ‘এটা তো আমার প্রাপ্যই ছিল। আমি তো মনে করি না কিয়ামত বলে কিছু আছে।’…আবার যখন মানুষ বিপদে-আপদে অমঙ্গলে পড়ে যায়, তখন সে দীর্ঘ প্রার্থনায় বসে যায়।” (সুরা : হা-মিম-সাজদা, আয়াত : ৫০-৫১)

নয়. ‘ওরা (মানুষ) যখন পানিপথে চলতে থাকে, তখন পবিত্র মনে আল্লাহকে ডাকতে থাকে। আর আমি (আল্লাহ) যখন তাদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দিই, তখন মানুষ শিরক করা শুরু করে।’ (সুরা : আনকাবুত, আয়াত : ৬৫)

দশ. “আল্লাহ যখন মানুষকে দয়া ও সম্মানিত করেন, তখন মানুষ বলে, ‘আমার প্রতিপালক আমাকে সম্মানিত করেছেন।’ আর যখন আল্লাহ মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য উপকরণ কমিয়ে দেন, তখন মানুষ বলতে থাকে, ‘আল্লাহ আমাকে হেয় করেছেন।” (সুরা : ফাজর, আয়াত : ১৫-১৬)

এভাবেই মানুষ নিজের প্রয়োজন অনুসারে সুবিধাবাদী চরিত্র ধারণ করে।

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

কোরআনের ১০ আয়াত, মানুষের সুবিধাবাদী চরিত্র নিয়ে

Update Time : ০৬:৫৬:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ জানুয়ারী ২০২১


সারাদেশ ডেস্ক :
মানুষ বিপদে পড়ে, তখন এক রকম কথা বলে, আবার বিপদ মুক্ত হলে তার আসল চরিত্র প্রকাশ পায়। মানুষের এই সুবিধাবাদী চরিত্র সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে অসংখ্য আয়াত আছে। এখানে ১০টি আয়াত উল্লেখ করা হলো—

এক. ‘সে (মানুষ) যখন বিপদে পড়ে, তখন খুব হা-হুতাশ করে। আর যখন বিপদ কেটে যায়, তখন কৃপণ হয়ে যায়।’ (সুরা : মাআরিজ, আয়াত : ২০-২১)

দুই. ‘সাগরের মাঝখানে যখন তোমরা বিপদে পড়ো, তখন তোমরা (স্বাভাবিক অবস্থায়) আল্লাহ ছাড়া যাদের ডাকো তাদের ভুলে যাও। তারপর যখন আল্লাহ তোমাদের স্থলে (সৈকতে) এনে উদ্ধার করেন, তখন তোমরা (আল্লাহর দিক থেকে) মুখ ফিরিয়ে নাও।’ (সুরা : বনি ইসরাইল, আয়াত : ৬৭)

তিন. ‘মানুষকে যখন দুঃখ-দৈন্য স্পর্শ করে, তখন সে শুয়ে-বসে-দাঁড়িয়ে আমাকে (আল্লাহকে) ডাকতে থাকে। তারপর আমি যখন তার দুঃখ-দৈন্য দূর করে দিই, তখন মানুষ এমন ভাব করে যেন সে আপতিত দুঃখ-কষ্টের জন্য কখনোই আমাকে ডাকেনি।’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ১২)

চার. “যদি দুঃখ-দৈন্য স্পর্শ করার পর আমি তাকে সুখ ভোগ করাই, তখন সে বলতে থাকে, ‘আমার বিপদ দূর হয়ে গেছে।’ তখন সে উত্ফুল্ল ও অহংকারী হয়ে যায়।” (সুরা : হুদ, আয়াত : ১০)

পাঁচ. ‘যখন সাগরের ঢেউ মানুষকে আষ্টেপৃষ্ঠে ঢেকে ফেলে, তখন মানুষ আনুগত্যে বিশুদ্ধচিত্ত হয়ে আল্লাহকে ডাকতে থাকে। কিন্তু যখন (আল্লাহ) তাদের সৈকতে ফিরিয়ে এনে উদ্ধার করেন, তখন দেখা যায় (বেশির ভাগ মানুষ অকৃতজ্ঞ) কোনো কোনো মানুষ সরলপথে থাকে।’ (সুরা : লোকমান, আয়াত : ৩২)

ছয়. ‘মানুষকে যখন দুঃখ-দৈন্য স্পর্শ করে, তখন সে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহকে ডাকতে থাকে। এরপর আল্লাহ যখন তাকে দয়া করেন, তখন মানুষ ভুলে যায় যে বিপদে পড়ে সে এর আগে আল্লাহকে ডেকেছিল।’ (সুরা : জুমার, আয়াত : ৮)

সাত. ‘মানুষকে বিপদ-আপদ স্পর্শ করলে সে আমাকে (আল্লাহকে) ডাকে। যখন আল্লাহর অনুগ্রহে কষ্ট থেকে মুক্তি লাভ করে, তখন (মানুষ) বলতে থাকে, সে নিজের চেষ্টায় এ থেকে মুক্তি পেয়েছে।’ (সুরা : জুমার, আয়াত : ৪৯)

আট. “দুঃখ-দৈন্য স্পর্শ করার পর যখন আমি তাকে দয়া করে সুখের স্বাদ দিই, তখন মানুষ বলতে থাকে, ‘এটা তো আমার প্রাপ্যই ছিল। আমি তো মনে করি না কিয়ামত বলে কিছু আছে।’…আবার যখন মানুষ বিপদে-আপদে অমঙ্গলে পড়ে যায়, তখন সে দীর্ঘ প্রার্থনায় বসে যায়।” (সুরা : হা-মিম-সাজদা, আয়াত : ৫০-৫১)

নয়. ‘ওরা (মানুষ) যখন পানিপথে চলতে থাকে, তখন পবিত্র মনে আল্লাহকে ডাকতে থাকে। আর আমি (আল্লাহ) যখন তাদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দিই, তখন মানুষ শিরক করা শুরু করে।’ (সুরা : আনকাবুত, আয়াত : ৬৫)

দশ. “আল্লাহ যখন মানুষকে দয়া ও সম্মানিত করেন, তখন মানুষ বলে, ‘আমার প্রতিপালক আমাকে সম্মানিত করেছেন।’ আর যখন আল্লাহ মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য উপকরণ কমিয়ে দেন, তখন মানুষ বলতে থাকে, ‘আল্লাহ আমাকে হেয় করেছেন।” (সুরা : ফাজর, আয়াত : ১৫-১৬)

এভাবেই মানুষ নিজের প্রয়োজন অনুসারে সুবিধাবাদী চরিত্র ধারণ করে।

এসএস//