Dhaka ০২:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
মামলা হলেই গ্রেফতার নয়, তদন্তে দায় পাওয়া গেলে ব্যবস্থা: আইজিপি `অন্তর্ভূক্তিমূলক রাষ্ট্রকাঠামোই জাতীয়তাবাদের উপহার’-অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান বিপুল আনন্দ উৎসাহ উদ্দীপনায় দেশব্যাপী বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপিত ‘জুলাই আন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সহস্রাধিক লোকের সাক্ষ্য’ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এবারের নববর্ষের অঙ্গীকার : প্রধান উপদেষ্টা সোয়াই নদীর পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে : ৫’শ মিটার কাজে বাঁধা দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ডিইউজে বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতীকি ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত: সর্বোচ্চ আদালতে ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আল্লাহ যে ৪ ধরনের মানুষকে ঘৃণা করেন

  • Update Time : ০৭:২৬:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জানুয়ারী ২০২১
  • / ১৯ Time View

ধর্ম ডেস্ক: হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, চার ব্যক্তিকে মহান আল্লাহ তাআলা অপছন্দ করেন।

নিচে তা উল্লেখ করা হলো-

অত্যাধিক কসম করে পণ্যসামগ্রী বিক্রয়কারী

এমনিতে কসম করা ঠিক নয়। আর তা যদি ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা পণ্যের গুণগতমান উপলক্ষ্যে বেশি করা হয় তবে তা খুবই মন্দ কাজ। কেননা এ ব্যাপারে বেশি বেশি কসম মানুষকে মারাত্মক অপরাধের দিকে ধাবিত করে। সুতরাং কোনো ব্যবসায়ীর উচিত নয়, বেশি কসম করে ব্যবসা বাণিজ্য করা। কেননা আল্লাহ তাআলা ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কসমকারীকে খুবই ঘৃণা করেন।

গরিব কিন্তু অহংকারী

অহংকার মারাত্মক অপরাধ। আল্লাহ তাআলা অহংকারকারীকে মারাত্মক ঘৃণা করেন। আর এ অহংকার যদি কোনো গরিব ব্যক্তি করে থাকে তবে পরিণতি কী হবে? মহান আল্লাহ গরিব অহংকারীকে সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করেন।

বৃদ্ধ ব্যভিচারী

ব্যভিচার কোনো বয়সের লোকের জন্যই বৈধ নয়। যদিও যৌবনের উম্মাদনায় অনেকে বিপথে যায়, ব্যভিচারে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু বৃদ্ধ ব্যক্তির জন্য ব্যভিচার একেবারেই যুক্তিহীন কাজ। সমাজের চোখেও তা অপরাধ হিসেবে মারাত্মক। তাই মহান আল্লাহ তাআলা নিজেও বৃদ্ধ ব্যভিচারীকে খুব বেশি ঘৃণা করেন।

অত্যাচারী বাদশা (শাসক বা দায়িত্বশীল)।’(নাসাঈ, বাইহাকি)

ক্ষমতাধর কিংবা ক্ষমতাহীন ব্যক্তি; অত্যাচারী যেই হোক সে অপরাধী। আর এ অত্যাচারী ব্যক্তি যদি দেশের কিংবা সমাজের ক্ষমতার ব্যক্তি কিংবা জনপ্রতিনিধি হন তবে তা হবে মারাত্মক অপরাধ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বস্তরের দায়িত্বশীল, জনপ্রতিনিধি কিংবা শাসকবর্গের মধ্যে যারা অত্যাচারী; আল্লাহ তাআলা তাদের খুব বেশি ঘৃণা করেন মর্মে ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্বনবি।

এ হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৪ শ্রেণির ব্যক্তিকে সাবধান করেছেন। যেসব ব্যবসায়ীর কসম করার প্রবণতা রয়েছে, তারা যেন তা পরিত্যাগ করে। যেসব গরিবের অহংকার রয়েছে তারা যেন তা ত্যাগ করে। যে বৃদ্ধ লোক জেনা-ব্যভিচারে জড়িত সে যেন তা থেকে বিরত থাকে। আর সর্বস্তরের দায়িত্বশীল ও জনপ্রতিনিধিরা প্রজা বা অধীনস্তদের প্রতি অত্যাচার থেকে বিরত থাকে।

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আল্লাহ যে ৪ ধরনের মানুষকে ঘৃণা করেন

Update Time : ০৭:২৬:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জানুয়ারী ২০২১

ধর্ম ডেস্ক: হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, চার ব্যক্তিকে মহান আল্লাহ তাআলা অপছন্দ করেন।

নিচে তা উল্লেখ করা হলো-

অত্যাধিক কসম করে পণ্যসামগ্রী বিক্রয়কারী

এমনিতে কসম করা ঠিক নয়। আর তা যদি ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা পণ্যের গুণগতমান উপলক্ষ্যে বেশি করা হয় তবে তা খুবই মন্দ কাজ। কেননা এ ব্যাপারে বেশি বেশি কসম মানুষকে মারাত্মক অপরাধের দিকে ধাবিত করে। সুতরাং কোনো ব্যবসায়ীর উচিত নয়, বেশি কসম করে ব্যবসা বাণিজ্য করা। কেননা আল্লাহ তাআলা ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কসমকারীকে খুবই ঘৃণা করেন।

গরিব কিন্তু অহংকারী

অহংকার মারাত্মক অপরাধ। আল্লাহ তাআলা অহংকারকারীকে মারাত্মক ঘৃণা করেন। আর এ অহংকার যদি কোনো গরিব ব্যক্তি করে থাকে তবে পরিণতি কী হবে? মহান আল্লাহ গরিব অহংকারীকে সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করেন।

বৃদ্ধ ব্যভিচারী

ব্যভিচার কোনো বয়সের লোকের জন্যই বৈধ নয়। যদিও যৌবনের উম্মাদনায় অনেকে বিপথে যায়, ব্যভিচারে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু বৃদ্ধ ব্যক্তির জন্য ব্যভিচার একেবারেই যুক্তিহীন কাজ। সমাজের চোখেও তা অপরাধ হিসেবে মারাত্মক। তাই মহান আল্লাহ তাআলা নিজেও বৃদ্ধ ব্যভিচারীকে খুব বেশি ঘৃণা করেন।

অত্যাচারী বাদশা (শাসক বা দায়িত্বশীল)।’(নাসাঈ, বাইহাকি)

ক্ষমতাধর কিংবা ক্ষমতাহীন ব্যক্তি; অত্যাচারী যেই হোক সে অপরাধী। আর এ অত্যাচারী ব্যক্তি যদি দেশের কিংবা সমাজের ক্ষমতার ব্যক্তি কিংবা জনপ্রতিনিধি হন তবে তা হবে মারাত্মক অপরাধ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বস্তরের দায়িত্বশীল, জনপ্রতিনিধি কিংবা শাসকবর্গের মধ্যে যারা অত্যাচারী; আল্লাহ তাআলা তাদের খুব বেশি ঘৃণা করেন মর্মে ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্বনবি।

এ হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৪ শ্রেণির ব্যক্তিকে সাবধান করেছেন। যেসব ব্যবসায়ীর কসম করার প্রবণতা রয়েছে, তারা যেন তা পরিত্যাগ করে। যেসব গরিবের অহংকার রয়েছে তারা যেন তা ত্যাগ করে। যে বৃদ্ধ লোক জেনা-ব্যভিচারে জড়িত সে যেন তা থেকে বিরত থাকে। আর সর্বস্তরের দায়িত্বশীল ও জনপ্রতিনিধিরা প্রজা বা অধীনস্তদের প্রতি অত্যাচার থেকে বিরত থাকে।

এসএস//