Dhaka ০৩:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

আজ পল্লী কবি জসীম উদ্‌দীনের ১১৯তম জন্মদিন

  • Update Time : ০২:৫৭:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ জানুয়ারী ২০২১
  • / ১ Time View

সারাদেশ ডেস্ক : ‘পল্লীকবি’ জসীম উদ্‌দীনের ১১৯তম জন্মদিন আজ ১ জানুয়ারি।

ইংরেজি বছরের প্রথম দিনটি কবি জসীম উদ্‌দীনের জন্মদিন। ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুরের তাম্বুলখানা গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আনসার উদ্দিন মোল্লা। বাবা পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক ছিলেন আর মা আমিনা খাতুন গৃহিনী।

জসীম উদ্‌দীনের শিক্ষাজীবন ফরিদপুরে শুরু হলেও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে এম এ পাশ করেন। খুব অল্প বয়সেই লেখালেখির প্রতি অন্তপ্রাণ ছিলেন তিনি।

একাধারে তিনি কবি, ঔপন্যাসিক, গীতিকার ও লেখক। তিনি আবহমান বাংলাকে তিনি তার কবিতায় তুলে এনেছেন। এ জন্যই তিনি ‘পল্লীকবি’ উপাধিতে ভূষিত হন।

তার ‘নকশী কাঁথার মাঠ’ ১৯৪০ সালের মধ্যেই একাধিক ভাষায় অনূদিত হয়ে বিশ্ববিখ্যাত হয়। ১৯৬৯ সালে ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’ ইউনেস্কোর অনুবাদ প্রকল্পের গ্রন্থ হিসেবে অনূদিত হয়।

জসীম উদ্‌দীনের অধিকাংশ রচনায় দরিদ্র কৃষক, দিনমজুর, রাখালের প্রতি তার অসম্ভব মমতা লক্ষ্য করার মতো। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী তথা বাংলার হিন্দু-মুসলমান উভয় সমাজের মানুষের যাপিত জীবন অসামান্য দরদে উপস্থাপন করেছেন। তিনি সবসময় সহানুভূতিশীল ছিলেন নিপীড়িত ও অবহেলিত মানুষের প্রতি।

কবির নিজের ভাষায়,‘সারাজীবন আমার দেশের জনগণকে লইয়া সাহিত্য করিয়াছি। তাহাদের সুখ, দুঃখ, স্নেহ, মমতা, ভালোবাসা, লইয়া কবিতা উপন্যাস লিখিয়াছি। আমার খুব বড় স্বপ্ন ছিল একবার সোভিয়েত দেশে যাইব। সে দেশের রাষ্ট্র কিভাবে তার জনগণকে সব চাইতে বড় আসন দিয়াছে ও কূপমণ্ডুকতা হইতে মুক্ত করিয়া উপরে তুলিয়া ধরিয়াছে’।

জসীম উদ্‌দীন ১৯৭৬ সালের ১৪ মার্চ ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। তার ইচ্ছা অনুযায়ি তাকে কবর দেয়া হয়েছে ফরিদপুরে প্রিয় দাদির কবরের পাশে।

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আজ পল্লী কবি জসীম উদ্‌দীনের ১১৯তম জন্মদিন

Update Time : ০২:৫৭:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ জানুয়ারী ২০২১

সারাদেশ ডেস্ক : ‘পল্লীকবি’ জসীম উদ্‌দীনের ১১৯তম জন্মদিন আজ ১ জানুয়ারি।

ইংরেজি বছরের প্রথম দিনটি কবি জসীম উদ্‌দীনের জন্মদিন। ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুরের তাম্বুলখানা গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আনসার উদ্দিন মোল্লা। বাবা পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক ছিলেন আর মা আমিনা খাতুন গৃহিনী।

জসীম উদ্‌দীনের শিক্ষাজীবন ফরিদপুরে শুরু হলেও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে এম এ পাশ করেন। খুব অল্প বয়সেই লেখালেখির প্রতি অন্তপ্রাণ ছিলেন তিনি।

একাধারে তিনি কবি, ঔপন্যাসিক, গীতিকার ও লেখক। তিনি আবহমান বাংলাকে তিনি তার কবিতায় তুলে এনেছেন। এ জন্যই তিনি ‘পল্লীকবি’ উপাধিতে ভূষিত হন।

তার ‘নকশী কাঁথার মাঠ’ ১৯৪০ সালের মধ্যেই একাধিক ভাষায় অনূদিত হয়ে বিশ্ববিখ্যাত হয়। ১৯৬৯ সালে ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’ ইউনেস্কোর অনুবাদ প্রকল্পের গ্রন্থ হিসেবে অনূদিত হয়।

জসীম উদ্‌দীনের অধিকাংশ রচনায় দরিদ্র কৃষক, দিনমজুর, রাখালের প্রতি তার অসম্ভব মমতা লক্ষ্য করার মতো। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী তথা বাংলার হিন্দু-মুসলমান উভয় সমাজের মানুষের যাপিত জীবন অসামান্য দরদে উপস্থাপন করেছেন। তিনি সবসময় সহানুভূতিশীল ছিলেন নিপীড়িত ও অবহেলিত মানুষের প্রতি।

কবির নিজের ভাষায়,‘সারাজীবন আমার দেশের জনগণকে লইয়া সাহিত্য করিয়াছি। তাহাদের সুখ, দুঃখ, স্নেহ, মমতা, ভালোবাসা, লইয়া কবিতা উপন্যাস লিখিয়াছি। আমার খুব বড় স্বপ্ন ছিল একবার সোভিয়েত দেশে যাইব। সে দেশের রাষ্ট্র কিভাবে তার জনগণকে সব চাইতে বড় আসন দিয়াছে ও কূপমণ্ডুকতা হইতে মুক্ত করিয়া উপরে তুলিয়া ধরিয়াছে’।

জসীম উদ্‌দীন ১৯৭৬ সালের ১৪ মার্চ ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। তার ইচ্ছা অনুযায়ি তাকে কবর দেয়া হয়েছে ফরিদপুরে প্রিয় দাদির কবরের পাশে।

এসএস//