Dhaka ০২:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতীকি ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত: সর্বোচ্চ আদালতে ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট

ইসলামে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইমানের অঙ্গ

  • Update Time : ০৭:১১:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ৬ Time View

সারাদেশ ডেস্ক : সুস্থ ও সুন্দর জীবন লাভের অন্যতম উপায় পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন থাকা। ইসলামে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ইমানের অঙ্গ । আল্লাহ তাআলা পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিদের ভালোবাসেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-

فِيهِ رِجَالٌ يُحِبُّونَ أَن يَتَطَهَّرُواْ وَاللّهُ يُحِبُّ الْمُطَّهِّرِينَ

‘সেখানে রয়েছে এমন লোক, যারা পবিত্রতাকে বেশি ভালোবাসে। আর আল্লাহ পবিত্র লোকদের ভালোবাসেন।‘ (সুরা তাওবা : আয়াত ১০৮)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘পবিত্রতা ঈমানের অর্ধেক।’ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পবিত্রতার প্রতি তিনি অনেক গুরুত্ব দিয়েছেন। পবিত্রতা অর্জন ও পরিচ্ছন্ন জীবন যাপনে বিস্তারিত দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।

বিশ্বনবির নসিহত থেকে ঘরের হাঁড়ি-পাতিল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়গুলোও বাদ যায়নি। তিনি ঘরের শোয়া-বসার বিছানাগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে বলেছেন।

বাড়ির আঙিনায় হাটাচলা, শরীরের পোশাক-পরিচ্ছদসহ সব কিছুর পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে বিশেষ দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। কারণ এসব কিছুর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পবিত্রতার মধ্যে শারীরিক সুস্থতা, পবিত্রতা এবং আত্মিক প্রশান্তি ও প্রফুল্লতা অর্জিত হয়। শরীরে যেমন আনন্দ ও সজিবতা থাকে তেমনি মানসিক সুস্থতাও ফিরে আসে অনেক বেশি।

পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্ন জীবনযাপন করেছেন সাহাবায়ে কেরাম। নিজেদের সুস্থতার বিষয়ে তারা ছিল সতর্ক। হাদিসের বর্ণনা ও সাহাবাদের জীবন থেকে এর প্রমাণ পাওয়া যায়। হাদিসে এসেছে-

– হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, সব মুসলমানের ওপর আল্লাহর এ অধিকার আছে যে, প্রতি সপ্তাহে (সে) গোসল করবে এবং মাথা ও শরীর ধুয়ে নেবে।’ (বুখারি)

– হজরত আদি বিন হাতেম রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি ইসলাম গ্রহণ করার পর থেকে প্রত্যেক নামাজের জন্য অজু করি আর নামাজের পরেও অজু অবস্থায় থাকি। কেননা একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হজরত বিলাল রাদিয়াল্লাহুআনহুকে জিজ্ঞাসা করলেন, হে বিলাল! গতকাল তুমি আমার আগে বেহেশতে গেলে কীভাবে?

হজরত বিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, হে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! যখনই আমি আজান দিই, তখনই আমি দুই রাকাআত নফল নামাজ আদায় করি। আর যখনই অজু ছুটে যায়, তখনই নতুন করে অজু অবস্থায় থাকার চেষ্টা করি।

সুতরাং সব মানুষেরই উচিত, নিজের ও সুন্দর পরিবেশের জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পবিত্রতাপূর্ণ জীবন যাপন করা। নিয়মিত অজু-গোসল করা। সব সময় পবিত্র থাকা। পরিবেশ সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন রাখা। এ কথা মনে রাখা- পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পবিত্রতা শুধু সুস্থ থাকার অনুসঙ্গই নয়, বরং তা কুরআন-সুন্নাহর নসিহত এবং ইবাদত। সবার আগে জান্নাত লাভের অন্যতম মাধ্যম।

আল্লাহ তাআলা সবাইকে পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন জীবন যাপন করার তাওফিক দান করুন। কুরআন-সুন্নাহর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ইসলামে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইমানের অঙ্গ

Update Time : ০৭:১১:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০

সারাদেশ ডেস্ক : সুস্থ ও সুন্দর জীবন লাভের অন্যতম উপায় পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন থাকা। ইসলামে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ইমানের অঙ্গ । আল্লাহ তাআলা পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিদের ভালোবাসেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-

فِيهِ رِجَالٌ يُحِبُّونَ أَن يَتَطَهَّرُواْ وَاللّهُ يُحِبُّ الْمُطَّهِّرِينَ

‘সেখানে রয়েছে এমন লোক, যারা পবিত্রতাকে বেশি ভালোবাসে। আর আল্লাহ পবিত্র লোকদের ভালোবাসেন।‘ (সুরা তাওবা : আয়াত ১০৮)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘পবিত্রতা ঈমানের অর্ধেক।’ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পবিত্রতার প্রতি তিনি অনেক গুরুত্ব দিয়েছেন। পবিত্রতা অর্জন ও পরিচ্ছন্ন জীবন যাপনে বিস্তারিত দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।

বিশ্বনবির নসিহত থেকে ঘরের হাঁড়ি-পাতিল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়গুলোও বাদ যায়নি। তিনি ঘরের শোয়া-বসার বিছানাগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে বলেছেন।

বাড়ির আঙিনায় হাটাচলা, শরীরের পোশাক-পরিচ্ছদসহ সব কিছুর পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে বিশেষ দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। কারণ এসব কিছুর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পবিত্রতার মধ্যে শারীরিক সুস্থতা, পবিত্রতা এবং আত্মিক প্রশান্তি ও প্রফুল্লতা অর্জিত হয়। শরীরে যেমন আনন্দ ও সজিবতা থাকে তেমনি মানসিক সুস্থতাও ফিরে আসে অনেক বেশি।

পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্ন জীবনযাপন করেছেন সাহাবায়ে কেরাম। নিজেদের সুস্থতার বিষয়ে তারা ছিল সতর্ক। হাদিসের বর্ণনা ও সাহাবাদের জীবন থেকে এর প্রমাণ পাওয়া যায়। হাদিসে এসেছে-

– হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, সব মুসলমানের ওপর আল্লাহর এ অধিকার আছে যে, প্রতি সপ্তাহে (সে) গোসল করবে এবং মাথা ও শরীর ধুয়ে নেবে।’ (বুখারি)

– হজরত আদি বিন হাতেম রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি ইসলাম গ্রহণ করার পর থেকে প্রত্যেক নামাজের জন্য অজু করি আর নামাজের পরেও অজু অবস্থায় থাকি। কেননা একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হজরত বিলাল রাদিয়াল্লাহুআনহুকে জিজ্ঞাসা করলেন, হে বিলাল! গতকাল তুমি আমার আগে বেহেশতে গেলে কীভাবে?

হজরত বিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, হে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! যখনই আমি আজান দিই, তখনই আমি দুই রাকাআত নফল নামাজ আদায় করি। আর যখনই অজু ছুটে যায়, তখনই নতুন করে অজু অবস্থায় থাকার চেষ্টা করি।

সুতরাং সব মানুষেরই উচিত, নিজের ও সুন্দর পরিবেশের জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পবিত্রতাপূর্ণ জীবন যাপন করা। নিয়মিত অজু-গোসল করা। সব সময় পবিত্র থাকা। পরিবেশ সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন রাখা। এ কথা মনে রাখা- পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পবিত্রতা শুধু সুস্থ থাকার অনুসঙ্গই নয়, বরং তা কুরআন-সুন্নাহর নসিহত এবং ইবাদত। সবার আগে জান্নাত লাভের অন্যতম মাধ্যম।

আল্লাহ তাআলা সবাইকে পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন জীবন যাপন করার তাওফিক দান করুন। কুরআন-সুন্নাহর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এসএস//