1. newsroom@saradesh.net : News Room : News Room
  2. saradesh.net@gmail.com : saradesh :
বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে হাইকোর্ট নির্দেশ - সারাদেশ.নেট
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০১:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
সরকারী খরচায় অসচ্ছল বিচারপ্রার্থীদের ৩৮৪৮৮৬ মামলায় আইনি সহায়তা কক্সবাজারে সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন প্রধান বিচারপতি সুপ্রিমকোর্ট বার নির্বাচনে ভোট গননায় মারামারি : জামিন পেলেন যুবদল নেতা নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ নারী নির্যাতন মামলায় অভিযোগকারীগন ব্যক্তিগত আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবীদের ১৫ ব্যাচ এর নতুন কমিটি : আহ্বায়ক অভি, সদস্য সচিব তামান্না আইনপেশা পরিচালনায় আইনজীবীদের পেশাগত নৈতিক মানদণ্ড রক্ষার ওপর প্রধান বিচারপতির গুরুত্বারোপ বাংলাদেশ মেডিয়েটরস ফোরাম (বিএমএফ) এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের সাবেক এমডি হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা শিল্প বিকাশে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের অগ্রযাত্রায় গর্বিত সহযোগী আব্দুল মোনেম লিমিটেড : মঈনুদ্দিন মোনেম ভূমিদস্যু কামরুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ১০ আইনজীবীর আবেদন

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে হাইকোর্ট নির্দেশ

  • Update Time : সোমবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২০

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক : দেশের জেলা-উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সব ম্যুরালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ আজ সোমবার এ আদেশ দেয়।

দেশের জেলা-উপজেলা সদরে জাতির পিতার ম্যুরাল স্থাপনের অগ্রগতির বিষয়ে মন্ত্রীপরিষদ সচিবকে আগামী এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছে আদালত।

ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার আদালতের আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে হাইকোর্ট বলেছিল, ১৯৭১ সালের যে দিনটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, সেই ৭ মার্চকে ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’ ঘোষণা করে এক মাসের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করতে হবে। এছাড়া মুজিববর্ষের মধ্যেই দেশের সব জেলা-উপজেলা কমপ্লেক্সের সামনে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন করতে বলা হয় ওই আদেশে।

সেদিন আদালত এই আদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে প্রতিবেদন দিতে বলেছিল। এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দেয়া একটি প্রতিবেদন আজ আদালতে দাখিল করা হয়েছে ।

ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার আজ প্রতিবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করেন। রিটকারী আইনজীবী আইনজীবী ড. বশির আহমেদও এ সময় শুনানিতে যুক্ত ছিলেন।

বাস্তবায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়, ইতোমধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক সাতই মার্চের ভাষণের স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের ম্যুরাল তৈরির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে ৩৮০টি উপজেলা এবং ৬৩টি জেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে স্থাপন করে সম্মুখভাগে জাতির পিতার ম্যুরাল স্থাপন করেছে। আদালতের নির্দেশে মন্ত্রিসভা ইতোমধ্যে ৭ মার্চকে ‘ঐতিহাসিক দিবস’ হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
্বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে ‘ডকুমেন্টারি হেরিটেজ’ হিসেবে ‘মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে’ যুক্ত করেছে ইউনেস্কো।

সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী ড. বশির আহমেদের আনা রিটে ৭ মার্চকে কেন ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে-২০১৭ সালে রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট। ৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্থানে, যে মঞ্চে ভাষণ দিয়েছিলেন, পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ, মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র সমর্পণ এবং ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছিল যেস্থানে সেই স্থানে মঞ্চ পুনঃনির্মাণ কেন করা হবে না- রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছিল। সেই ঐতিহাসিক ভাষণের সময় বঙ্গবন্ধুর ‘স্পিচ মোডের’ (তর্জনি উচিয়ে ভাষণের সময়কার ভঙ্গি) ভাস্কর্য নির্মাণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না- রুলে এটিও জানতে চাওয়া হয়।

সেই রুলের শুনানিতে রিট আবেদনকারীর সম্পূরক আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট ৭ মার্চকে ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’ ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে, সেই ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৭ কোটি বাঙালিকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ঘোষণা দেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম- এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”
তার ওই ভাষণের ১৮ দিন পর ২৫ মার্চ রাতে নিরস্ত্র ও ঘুমন্ত মানুষকে হত্যাযজ্ঞে নামে পাকিস্তানি বাহিনী। বঙ্গবন্ধুর ডাকে শুরু হয় প্রতিরোধ যুদ্ধ। নয় মাসের সেই সশস্ত্র সংগ্রামের পর পাক হানাদার বাহিনীর চূড়ান্ত পরাজয়ের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ১৯৬১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পরাজিত পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই আত্মসমর্পণের দলিলে সই করে।

ডিএ/এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *