Dhaka ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল

মুসা (আ:)-এর স্মৃতি বিজরিত সেই কূপ ও বাড়ি

  • Update Time : ০৪:২৯:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ নভেম্বর ২০২০
  • / ১ Time View

সারাদেশ ডেস্ক : আল্লাহর একজন নবী ও রাসুল ছিলেন হযরত মুসা (আ:) যাকে বনি ইসরাইল সম্প্রদায়ের কাছে প্রেরণ করা হয়েছিল। মুসা (আ:) তিনি মিসরে জন্মগ্রহণ করলেও তার জীবনের ১০ বছর সৌদি আরবে কাটিয়েছিলেন।

যখন হযরত মুসা (আ:) বনি ইসরাইলের এক ব্যক্তির পক্ষ নিতে গিয়ে একজন মিসরীয়কে হত্যা করে ফেলেন, তখন মিসরের শাসক ফেরাউন তাকে বন্দীর আদেশ দেয়। হযরত মুসা (আ:) এ বিষয়টি জানতে পেরে মিসর ছেড়ে মাদায়েন শহরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

মাদায়েন শহরে পৌঁছে তিনি পানি খাওয়ার জন্য একটি কূপে যান। তখন তিনি দেখেন যে দু’জন মেয়ে তাদের পশুদের পানি পান করানো জন্য অপেক্ষা করছে। তারা রাখালদের পশুগুলোর পানি পান শেষ হওয়ার অপেক্ষা করছে। তখন হযরত মুসা (আ:) তাদেরকে সাহায্য করেছিলেন।

যখন হযরত মুসা আ: মেয়েদের জন্য পানি পান করাতে সাহায্য করেন তখন ওই দুই মেয়ে মুসাকে (আ:) তার সাহায্যের জন্য পুরস্কার দিতে চান।

তারা মুসাকে (আ:) তাদের বাবার কাছে নিয়ে যান। আর মেয়ে দু’জনের বাবা ছিলেন হযরত শোয়াইব (আ:)। তিনি দেখলেন যে হযরত মুসা (আ:) অত্যন্ত বিনয়ী তিনি মুসাকে (আ:) তাদের সাথে আট বছর বসবাস করতে বলেলেন। পরে সেটি ১০ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল। এরপর হযরত মুসা (আ:) ওই মেয়ে দু’জনের একজনকে বিয়ে করেন। যার নাম ছিলো জিপ্পোরাহ।

আমরা মুসা (আ:) সম্পর্কে জেনেছি যে তিনি মিসরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং ফেরাউনের স্ত্রী তাকে প্রাসাদে এনে লালন-পালন করে। তিনি যে জায়গাতে ১০ বছর অবস্থান করেছিলেন সেটি বর্তমানে মাগহের শোয়াইব নামে পরিচিত।

ওই স্থানটি সৌদি আরবের তাবুক থেকে থেকে ২২৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত।

এটি আরব উপদ্বীপের উত্তর-পশ্চিমে আল বিদা প্রদেশে অবস্থিত। আপনি যখন হজ বা ওমরাহর জন্য সৌদি আরব যাবনে, ওই স্থানটি দেখতে ভুলবেন না। মুসলমানদের জন্য যেটি সত্যি বিশ্বের অন্যতম ঐতিহাসিক স্থান।

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

মুসা (আ:)-এর স্মৃতি বিজরিত সেই কূপ ও বাড়ি

Update Time : ০৪:২৯:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ নভেম্বর ২০২০

সারাদেশ ডেস্ক : আল্লাহর একজন নবী ও রাসুল ছিলেন হযরত মুসা (আ:) যাকে বনি ইসরাইল সম্প্রদায়ের কাছে প্রেরণ করা হয়েছিল। মুসা (আ:) তিনি মিসরে জন্মগ্রহণ করলেও তার জীবনের ১০ বছর সৌদি আরবে কাটিয়েছিলেন।

যখন হযরত মুসা (আ:) বনি ইসরাইলের এক ব্যক্তির পক্ষ নিতে গিয়ে একজন মিসরীয়কে হত্যা করে ফেলেন, তখন মিসরের শাসক ফেরাউন তাকে বন্দীর আদেশ দেয়। হযরত মুসা (আ:) এ বিষয়টি জানতে পেরে মিসর ছেড়ে মাদায়েন শহরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

মাদায়েন শহরে পৌঁছে তিনি পানি খাওয়ার জন্য একটি কূপে যান। তখন তিনি দেখেন যে দু’জন মেয়ে তাদের পশুদের পানি পান করানো জন্য অপেক্ষা করছে। তারা রাখালদের পশুগুলোর পানি পান শেষ হওয়ার অপেক্ষা করছে। তখন হযরত মুসা (আ:) তাদেরকে সাহায্য করেছিলেন।

যখন হযরত মুসা আ: মেয়েদের জন্য পানি পান করাতে সাহায্য করেন তখন ওই দুই মেয়ে মুসাকে (আ:) তার সাহায্যের জন্য পুরস্কার দিতে চান।

তারা মুসাকে (আ:) তাদের বাবার কাছে নিয়ে যান। আর মেয়ে দু’জনের বাবা ছিলেন হযরত শোয়াইব (আ:)। তিনি দেখলেন যে হযরত মুসা (আ:) অত্যন্ত বিনয়ী তিনি মুসাকে (আ:) তাদের সাথে আট বছর বসবাস করতে বলেলেন। পরে সেটি ১০ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল। এরপর হযরত মুসা (আ:) ওই মেয়ে দু’জনের একজনকে বিয়ে করেন। যার নাম ছিলো জিপ্পোরাহ।

আমরা মুসা (আ:) সম্পর্কে জেনেছি যে তিনি মিসরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং ফেরাউনের স্ত্রী তাকে প্রাসাদে এনে লালন-পালন করে। তিনি যে জায়গাতে ১০ বছর অবস্থান করেছিলেন সেটি বর্তমানে মাগহের শোয়াইব নামে পরিচিত।

ওই স্থানটি সৌদি আরবের তাবুক থেকে থেকে ২২৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত।

এটি আরব উপদ্বীপের উত্তর-পশ্চিমে আল বিদা প্রদেশে অবস্থিত। আপনি যখন হজ বা ওমরাহর জন্য সৌদি আরব যাবনে, ওই স্থানটি দেখতে ভুলবেন না। মুসলমানদের জন্য যেটি সত্যি বিশ্বের অন্যতম ঐতিহাসিক স্থান।

এসএস//