Dhaka ১২:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫, ২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
মামলা হলেই গ্রেফতার নয়, তদন্তে দায় পাওয়া গেলে ব্যবস্থা: আইজিপি `অন্তর্ভূক্তিমূলক রাষ্ট্রকাঠামোই জাতীয়তাবাদের উপহার’-অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান বিপুল আনন্দ উৎসাহ উদ্দীপনায় দেশব্যাপী বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপিত ‘জুলাই আন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সহস্রাধিক লোকের সাক্ষ্য’ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এবারের নববর্ষের অঙ্গীকার : প্রধান উপদেষ্টা সোয়াই নদীর পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে : ৫’শ মিটার কাজে বাঁধা দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ডিইউজে বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতীকি ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত: সর্বোচ্চ আদালতে ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত অপরাধের তথ্য দিলেই পুরস্কার

  • Update Time : ০৬:১৫:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ নভেম্বর ২০২০
  • / ২৪ Time View

সারাদেশ ডেস্ক : বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত অপরাধ বিষয়ে তথ্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে আট থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত পুরস্কার দেওয়া হবে।

এই সুযোগ রেখে ‘বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত অপরাধ উদঘাটনে (তথ্য প্রদানকারী) পুরস্কার প্রদান বিধিমালা, ২০২০’ জারি করেছে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়।

বিধিমালায় বলা হয়েছে, অপরাধে জড়িত ব্যক্তি বা বাঘসহ কোনো ব্যক্তিকে বনাঞ্চলের ভেতরে ধরার ক্ষেত্রে তথ্যের জন্য ৫০ হাজার টাকা এবং বনাঞ্চলের বাইরের এ তথ্যের জন্য ২৫ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।

কুমির ও হাতির ক্ষেত্রে আসামি ও প্রাণীসহ বনাঞ্চলের ভেতরের তথ্যের জন্য ৩০ হাজার টাকা এবং আসামি ও প্রাণীসহ বনাঞ্চলের বাইরের এ তথ্য জানিয়ে ১৫ হাজার টাকা পুরস্কার পাওয়া যাবে।

হরিণ সংক্রান্ত অপরাধে বনের ভেতরের তথ্য দিলে ২০ হাজার টাকা এবং বনের বাইরের তথ্যের জন্য ১০ হাজার টাকা পুরস্কার পাওয়া যাবে।

আর কচ্ছপ বা সাপ নিয়ে বনের ভেতরের অপরাধ সংক্রান্ত তথ্য দিলে ১৫ হাজার টাকা এবং বনের বাইরের তথ্য দিলে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।

এছাড়া পাখি ও অন্যান্য বন্যপ্রাণীর ক্ষেত্রে বনের ভেতরে অপরাধ উদঘাটনে তথ্য দিয়ে ১০ হাজার টাকা এবং বনের বাইরে তথ্য জানিয়ে আট হাজার টাকা পুরস্কার পাওয়া যাবে।

বিধিমালায় বলা হয়েছে, এসব পুরস্কার দিতে প্রধান বন সংরক্ষকের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি থাকবে। এই কমিটি আর্থিক পুরস্কারের জন্য প্রস্তুত করা তালিকা পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত দেবে।

অপরাধ উদঘাটনে তথ্য অনুসন্ধান চলার সময়ে তথ্য উদঘাটনের সময় বা পরবর্তী সময়ে বন কর্মকর্তা তথ্য দানকারীর পরিচয়সহ সব তথ্যের গোপনীয়তা বজায় রাখবেন।

বিধিমালা অনুযায়ী, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করে বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত অপরাধ উদঘাটন করা সম্ভব হলে তথ্যদাতাকে আর্থিক পুরস্কার দেওয়া যাবে।

বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত অপরাধের তথ্য আগে প্রকাশিত হলে, কোনো তথ্য বেনামে দেওয়া হলে এবং তথ্যদাতা নিজেই সেই অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলে আর্থিক পুরস্কারের জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন বলে বিধিমালায় বলা হয়েছে।

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত অপরাধের তথ্য দিলেই পুরস্কার

Update Time : ০৬:১৫:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ নভেম্বর ২০২০

সারাদেশ ডেস্ক : বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত অপরাধ বিষয়ে তথ্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে আট থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত পুরস্কার দেওয়া হবে।

এই সুযোগ রেখে ‘বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত অপরাধ উদঘাটনে (তথ্য প্রদানকারী) পুরস্কার প্রদান বিধিমালা, ২০২০’ জারি করেছে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়।

বিধিমালায় বলা হয়েছে, অপরাধে জড়িত ব্যক্তি বা বাঘসহ কোনো ব্যক্তিকে বনাঞ্চলের ভেতরে ধরার ক্ষেত্রে তথ্যের জন্য ৫০ হাজার টাকা এবং বনাঞ্চলের বাইরের এ তথ্যের জন্য ২৫ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।

কুমির ও হাতির ক্ষেত্রে আসামি ও প্রাণীসহ বনাঞ্চলের ভেতরের তথ্যের জন্য ৩০ হাজার টাকা এবং আসামি ও প্রাণীসহ বনাঞ্চলের বাইরের এ তথ্য জানিয়ে ১৫ হাজার টাকা পুরস্কার পাওয়া যাবে।

হরিণ সংক্রান্ত অপরাধে বনের ভেতরের তথ্য দিলে ২০ হাজার টাকা এবং বনের বাইরের তথ্যের জন্য ১০ হাজার টাকা পুরস্কার পাওয়া যাবে।

আর কচ্ছপ বা সাপ নিয়ে বনের ভেতরের অপরাধ সংক্রান্ত তথ্য দিলে ১৫ হাজার টাকা এবং বনের বাইরের তথ্য দিলে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।

এছাড়া পাখি ও অন্যান্য বন্যপ্রাণীর ক্ষেত্রে বনের ভেতরে অপরাধ উদঘাটনে তথ্য দিয়ে ১০ হাজার টাকা এবং বনের বাইরে তথ্য জানিয়ে আট হাজার টাকা পুরস্কার পাওয়া যাবে।

বিধিমালায় বলা হয়েছে, এসব পুরস্কার দিতে প্রধান বন সংরক্ষকের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি থাকবে। এই কমিটি আর্থিক পুরস্কারের জন্য প্রস্তুত করা তালিকা পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত দেবে।

অপরাধ উদঘাটনে তথ্য অনুসন্ধান চলার সময়ে তথ্য উদঘাটনের সময় বা পরবর্তী সময়ে বন কর্মকর্তা তথ্য দানকারীর পরিচয়সহ সব তথ্যের গোপনীয়তা বজায় রাখবেন।

বিধিমালা অনুযায়ী, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করে বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত অপরাধ উদঘাটন করা সম্ভব হলে তথ্যদাতাকে আর্থিক পুরস্কার দেওয়া যাবে।

বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত অপরাধের তথ্য আগে প্রকাশিত হলে, কোনো তথ্য বেনামে দেওয়া হলে এবং তথ্যদাতা নিজেই সেই অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলে আর্থিক পুরস্কারের জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন বলে বিধিমালায় বলা হয়েছে।

এসএস//