1. newsroom@saradesh.net : News Room : News Room
  2. saradesh.net@gmail.com : saradesh :
স্ত্রীর কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত ব্যারিস্টার রফিক-উল হক
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৭:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
সরকারী খরচায় অসচ্ছল বিচারপ্রার্থীদের ৩৮৪৮৮৬ মামলায় আইনি সহায়তা কক্সবাজারে সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন প্রধান বিচারপতি সুপ্রিমকোর্ট বার নির্বাচনে ভোট গননায় মারামারি : জামিন পেলেন যুবদল নেতা নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ নারী নির্যাতন মামলায় অভিযোগকারীগন ব্যক্তিগত আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবীদের ১৫ ব্যাচ এর নতুন কমিটি : আহ্বায়ক অভি, সদস্য সচিব তামান্না আইনপেশা পরিচালনায় আইনজীবীদের পেশাগত নৈতিক মানদণ্ড রক্ষার ওপর প্রধান বিচারপতির গুরুত্বারোপ বাংলাদেশ মেডিয়েটরস ফোরাম (বিএমএফ) এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের সাবেক এমডি হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা শিল্প বিকাশে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের অগ্রযাত্রায় গর্বিত সহযোগী আব্দুল মোনেম লিমিটেড : মঈনুদ্দিন মোনেম ভূমিদস্যু কামরুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ১০ আইনজীবীর আবেদন

চিরনিদ্রায় শায়িত ব্যারিস্টার রফিক-উল হক

  • Update Time : শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২০
স্ত্রীর কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত ব্যারিস্টার রফিক-উল হক

সুপ্রিম কোর্ট : স্ত্রী ড. ফরিদা হকের পাশে বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বরেণ্য আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক।

দেশের বিশিষ্ট আইনজীবী ও সাবেক এটর্নি জেনারেল আজ শনিবার সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর আদ-দ্বীন হাসপাতালে ৮৫ বছর বয়সে মারা যান। তিন দফা জানাজা শেষে দুপুর তিনটায় তার দাফন সম্পন্ন হয়।

ব্যারিস্টার রফিক-উল হক গত ১৫ অক্টোবর থেকে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতা নিয়ে রাজধানীর আদ্-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রথম দিকে তাকে কেবিনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু অবস্থা কিছুটা জটিল হওয়ায় তাকে হাই ডিপেনডেন্সি কেয়ার ইউনিটে (এইচডিইউ) ভর্তি করা হয়। ২০ অক্টোবর তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়।

তার প্রথম জানাজা হয় সকাল সাড়ে ১০টায় মগবাজারের আদ-দ্বীন হাসপাতালে। এরপর কিছু সময় পল্টনের বাসায় তার মরদেহ রাখার পর তা নেয়া হয় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে। বাদ জোহর সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে মরদেহ নেয়া হয় মরহুমের দীর্ঘদিনের কর্মস্থল সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে। সেখানে তৃতীয় নামাজে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয় তাকে।

ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের জন্ম ১৯৩৫ সালের ২রা নভেম্বর কলকাতার সুবর্ণপুর গ্রামে। ১৯৫৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, ১৯৫৭ সালে দর্শন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ১৯৫৮ সালে এলএলবি পাস করেন। ১৯৬২ সালে যুক্তরাজ্য থেকে বার এট ল সম্পন্ন করেন। ১৯৬৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে এবং ১৯৭৩ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে আইন পেশা শুরু করেন। বর্ণাঢ্য জীবনে আইন পেশায় দীর্ঘ প্রায় ৬০ বছর পার করেছেন।

১৯৯০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা এটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ব্যারিষ্টার রফিক-উল হক। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে কোনো সম্মানী নেননি। পেশাগত জীবনে তিনি কখনো কোনো রাজনৈতিক দলে সম্পৃক্ত হননি।

ব্যারিস্টার রফিক-উল হক তার জীবনের উপার্জিত অর্থের প্রায় সবই ব্যয় করেছেন মানুষের কল্যাণ ও সমাজসেবায়। দলমত নির্বিশেষে সকলে বরেণ্য এই আইনজীবীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন।
ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের মৃত্যুতে আইন অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *