Dhaka ১২:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

চিরনিদ্রায় শায়িত ব্যারিস্টার রফিক-উল হক

  • Update Time : ০৬:১৪:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২০
  • / ২ Time View

সুপ্রিম কোর্ট : স্ত্রী ড. ফরিদা হকের পাশে বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বরেণ্য আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক।

দেশের বিশিষ্ট আইনজীবী ও সাবেক এটর্নি জেনারেল আজ শনিবার সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর আদ-দ্বীন হাসপাতালে ৮৫ বছর বয়সে মারা যান। তিন দফা জানাজা শেষে দুপুর তিনটায় তার দাফন সম্পন্ন হয়।

ব্যারিস্টার রফিক-উল হক গত ১৫ অক্টোবর থেকে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতা নিয়ে রাজধানীর আদ্-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রথম দিকে তাকে কেবিনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু অবস্থা কিছুটা জটিল হওয়ায় তাকে হাই ডিপেনডেন্সি কেয়ার ইউনিটে (এইচডিইউ) ভর্তি করা হয়। ২০ অক্টোবর তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়।

তার প্রথম জানাজা হয় সকাল সাড়ে ১০টায় মগবাজারের আদ-দ্বীন হাসপাতালে। এরপর কিছু সময় পল্টনের বাসায় তার মরদেহ রাখার পর তা নেয়া হয় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে। বাদ জোহর সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে মরদেহ নেয়া হয় মরহুমের দীর্ঘদিনের কর্মস্থল সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে। সেখানে তৃতীয় নামাজে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয় তাকে।

ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের জন্ম ১৯৩৫ সালের ২রা নভেম্বর কলকাতার সুবর্ণপুর গ্রামে। ১৯৫৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, ১৯৫৭ সালে দর্শন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ১৯৫৮ সালে এলএলবি পাস করেন। ১৯৬২ সালে যুক্তরাজ্য থেকে বার এট ল সম্পন্ন করেন। ১৯৬৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে এবং ১৯৭৩ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে আইন পেশা শুরু করেন। বর্ণাঢ্য জীবনে আইন পেশায় দীর্ঘ প্রায় ৬০ বছর পার করেছেন।

১৯৯০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা এটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ব্যারিষ্টার রফিক-উল হক। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে কোনো সম্মানী নেননি। পেশাগত জীবনে তিনি কখনো কোনো রাজনৈতিক দলে সম্পৃক্ত হননি।

ব্যারিস্টার রফিক-উল হক তার জীবনের উপার্জিত অর্থের প্রায় সবই ব্যয় করেছেন মানুষের কল্যাণ ও সমাজসেবায়। দলমত নির্বিশেষে সকলে বরেণ্য এই আইনজীবীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন।
ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের মৃত্যুতে আইন অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

চিরনিদ্রায় শায়িত ব্যারিস্টার রফিক-উল হক

Update Time : ০৬:১৪:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২০

সুপ্রিম কোর্ট : স্ত্রী ড. ফরিদা হকের পাশে বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বরেণ্য আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক।

দেশের বিশিষ্ট আইনজীবী ও সাবেক এটর্নি জেনারেল আজ শনিবার সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর আদ-দ্বীন হাসপাতালে ৮৫ বছর বয়সে মারা যান। তিন দফা জানাজা শেষে দুপুর তিনটায় তার দাফন সম্পন্ন হয়।

ব্যারিস্টার রফিক-উল হক গত ১৫ অক্টোবর থেকে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতা নিয়ে রাজধানীর আদ্-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রথম দিকে তাকে কেবিনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু অবস্থা কিছুটা জটিল হওয়ায় তাকে হাই ডিপেনডেন্সি কেয়ার ইউনিটে (এইচডিইউ) ভর্তি করা হয়। ২০ অক্টোবর তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়।

তার প্রথম জানাজা হয় সকাল সাড়ে ১০টায় মগবাজারের আদ-দ্বীন হাসপাতালে। এরপর কিছু সময় পল্টনের বাসায় তার মরদেহ রাখার পর তা নেয়া হয় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে। বাদ জোহর সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে মরদেহ নেয়া হয় মরহুমের দীর্ঘদিনের কর্মস্থল সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে। সেখানে তৃতীয় নামাজে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয় তাকে।

ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের জন্ম ১৯৩৫ সালের ২রা নভেম্বর কলকাতার সুবর্ণপুর গ্রামে। ১৯৫৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, ১৯৫৭ সালে দর্শন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ১৯৫৮ সালে এলএলবি পাস করেন। ১৯৬২ সালে যুক্তরাজ্য থেকে বার এট ল সম্পন্ন করেন। ১৯৬৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে এবং ১৯৭৩ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে আইন পেশা শুরু করেন। বর্ণাঢ্য জীবনে আইন পেশায় দীর্ঘ প্রায় ৬০ বছর পার করেছেন।

১৯৯০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা এটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ব্যারিষ্টার রফিক-উল হক। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে কোনো সম্মানী নেননি। পেশাগত জীবনে তিনি কখনো কোনো রাজনৈতিক দলে সম্পৃক্ত হননি।

ব্যারিস্টার রফিক-উল হক তার জীবনের উপার্জিত অর্থের প্রায় সবই ব্যয় করেছেন মানুষের কল্যাণ ও সমাজসেবায়। দলমত নির্বিশেষে সকলে বরেণ্য এই আইনজীবীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন।
ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের মৃত্যুতে আইন অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

এসএস//