1. newsroom@saradesh.net : News Room : News Room
  2. saradesh.net@gmail.com : saradesh :
বিচার বিভাগের সকলকে একনিষ্ঠভাবে কাজ করতে হবে : আইনমন্ত্রী - সারাদেশ.নেট
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০২:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
সরকারী খরচায় অসচ্ছল বিচারপ্রার্থীদের ৩৮৪৮৮৬ মামলায় আইনি সহায়তা কক্সবাজারে সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন প্রধান বিচারপতি সুপ্রিমকোর্ট বার নির্বাচনে ভোট গননায় মারামারি : জামিন পেলেন যুবদল নেতা নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ নারী নির্যাতন মামলায় অভিযোগকারীগন ব্যক্তিগত আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবীদের ১৫ ব্যাচ এর নতুন কমিটি : আহ্বায়ক অভি, সদস্য সচিব তামান্না আইনপেশা পরিচালনায় আইনজীবীদের পেশাগত নৈতিক মানদণ্ড রক্ষার ওপর প্রধান বিচারপতির গুরুত্বারোপ বাংলাদেশ মেডিয়েটরস ফোরাম (বিএমএফ) এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের সাবেক এমডি হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা শিল্প বিকাশে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের অগ্রযাত্রায় গর্বিত সহযোগী আব্দুল মোনেম লিমিটেড : মঈনুদ্দিন মোনেম ভূমিদস্যু কামরুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ১০ আইনজীবীর আবেদন

বিচার বিভাগের সকলকে একনিষ্ঠভাবে কাজ করতে হবে : আইনমন্ত্রী

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক : আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেছেন,ন্যায়বিচার জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে বিচার বিভাগের সকলকে একনিষ্ঠভাবে কাজ করতে হবে।

পটুয়াখালীতে ২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত চার তলা বিশিষ্ট চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আজ ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।

পটুয়াখালীর জেলা ও দায়রা জজ রোখসানা পারভীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পটুয়াখালী জেলার সংসদ সদস্য মো. শাহজাহান মিয়া, আ.স.ম ফিরোজ, এস এম শাহজাদা ও মো. মহিববুর রহমান, জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য কাজী কানিজ সুলতানা, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার,জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামাল হোসেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ মইনুল হাসান প্রমুখ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা।

আইনমন্ত্রী, বিচার বিভাগের উন্নয়ন হলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সুদৃঢ় হওয়ার পাশাপাশি রাষ্ট্রের চার মূলনীতি সুপ্রতিষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রের প্রধান তিনটি অঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করতে পারবে, গণতন্ত্রের সঠিক চর্চা হবে।
অবকাঠামো নির্মাণ করাই বিচার বিভাগের শেষ দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ন্যায়বিচার জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়া না যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত আসল সম্মান কিন্তু আমরা পাবো না। তাই জনগণের কাছ থেকে আসল সম্মান পাওয়ার জন্য বিচার বিভাগের সকলকে একনিষ্ঠভাবে কাজ করতে হবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, আমাদের রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা-যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মানবাধিকার, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হবে। তিনি বলেন, সাংবিধানিক অঙ্গীকারের আলোকে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা বর্তমান সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। তিনি বলেন, আইনের শাসনের মধ্যেই নিহিত রয়েছে আইনের প্রয়োগ ও কার্যকারিতা। যে সমাজে আইনের শাসন নেই, সেখানে আইনের মর্যাদা লুণ্ঠিত। আইন মানুষকে যেমন নিয়ন্ত্রণ করে, তেমনই মর্যাদাবান ও পরিশীলিত করে। আইন যেখানে অচল, মানবাধিকার সেখানে ভূলুণ্ঠিত।

আইনমন্ত্রী বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মধ্যেই নিহিত রয়েছে সমাজ-সভ্যতার ক্রমবিকাশ। তিনি বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার সাথে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতার সাথে বিচার বিভাগের মানোন্নয়ন জড়িত। সেজন্য মানসম্পন্ন বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিত করে দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, ২০০৭ সালের ১লা নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগের পৃথক হলে আদালতসমূহে বিশেষ করে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতসমূহে এজলাসের অপ্রতুলতা দেখা দেয়। ফলে বিচারকগণ এজলাস ভাগাভাগি করে বিচারিক কাজ চালাতে থাকেন। কিন্তু তাতে করে বিচারক, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থী জনগণ যেমন ভোগান্তির শিকার হতে থাকেন, তেমনি মামলার জট দিনের পর দিন বাড়তে থাকে। এমনি অবস্থায় ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠন করলে তিনি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং পৃথকীকরণকে সুদৃঢ়, দৃীঘস্থায়ী এবং টেকসই করার জন্য বাস্তবমূখী বিভিন্ন পদক্ষেপ নেন।

তিনি বলেন এজলাজ ভাগাভাগি সমস্যা দূরীকরণ এবং ভবিষ্যত প্রয়োজন মিটানোর জন্য আদালত ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করা হয় এবং অত্যন্ত সন্তুষ্ঠির সাথে বলা যায় আজ তা অনেক দূর এগিয়ে গেছে। যার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পটুয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন।

ভবনটি ১২ তলা ভিত্তির ওপর নির্মিত হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আজ চার তলা ভবন উদ্বোধনের ফলে বিচারক, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থী জনগণের দুর্ভোগ অনেকটাই লাঘব হবে। তিনি জানান, এটাকে আট তলা করা হবে এবং আগামী বছরই অবশিষ্ট ৪ তলার নির্মাণ কাজ শুরু হবে। তখন দুর্ভোগ পুরোপুরি কেটে যাবে। মন্ত্রী বলেন, এই আদালত ভবন নির্মাণের উদ্দেশ্য তখনই সফল হবে যখন বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলেই স্ব-স্ব দায়িত্ব আন্তরিকভাবে পালন করে দ্রুত ন্যায়বিচার প্রদানে সহায়ক ভূমিকা পালন করবেন।

ডিএ/এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *