সারাদেশ ডেস্ক : সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। দেশের ৬৪ জেলায় করোনার টিকা পৌঁছে গেছে৷ ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পুরোদমে টিকা দেয়া শুরু হচ্ছে৷ তবে প্রথম পর্যায়ে সব টিকা দেয়া হবে, না অর্ধেক রেখে দেয়া হবে তা নিয়ে আছে সিদ্ধান্তহীনতা৷
সরকারের হাতে এখন অক্সফোর্ডের ৭০ লাখ টিকা আছে৷ এরমধ্যে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের ৫০ লাখ এবং ভারত সরকারের উপহারের ২০ লাখ৷ অক্সফোর্ডের এই মোট ৭০ লাখ টিকা দিয়ে ব্যাপকভিত্তিক টিকা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে৷ আরো দুই কোটি টিকা আসবে সেরাম থেকে পর্যায়ক্রমে৷
এদিকে কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনসের প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স থেকে জুন মাস নাগাদ বাংলাদেশ আরো এক কোটি ২৭ লাখ ৯২ হাজার ডোজ টিকা পাবে বাংলাদেশ৷ এই টিকাও অক্সফোর্ডের বলে জানা গেছে৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা টিকা বন্টনের যে তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে বাংলাদেশের জন্য ওই পরিমান ভ্যাকসিনের কথা বলা হয়েছে৷ সেখানে বাংলাদেশকে অক্সফোর্ডের টিকা দেয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷ প্রতি ডোজ টিকা তিন ডলার দামে দেবে তারা৷
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ও স্পোকসম্যান ডা. নাজমুল ইসলাম জানান, ‘কোভ্যাক্স-এর ভ্যাকসিন আসবে এটা নিশ্চিত৷ তবে আমরা ওই ভ্যাকসিন হাতে না পাওয়া পর্যন্ত ওটা ধরে কোনো প্ল্যান করছি না৷ হাতে পাওয়ার পর আমরা নিশ্চিত হব৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে আমাদের ভ্যাকসিন দিচ্ছে তা আমারও তাদের ওয়েবসাইটে দেখেছি৷’
দেশের ৬৪ জেলাতে করোনার টিকা পৌঁছে গেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর৷ এই কাজে ১৪ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী এবং ২৮ হাজার ভলান্টিয়ারকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে৷ ঢাকা শহরে ৪৩টি হাসপাতালে ৩৫৪টি সেন্টারে ভ্যাকসিন দেয়া হবে৷ আর সারাদেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সেন্টার প্রস্তুত করা হয়েছে৷
প্রথম পর্যায়ে ঠিক কত জনকে টিকা দেয়া হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি৷ তবে ৫০ লাখের বেশি মানুষের একটি প্রাথমিক তালিকা করা হয়েছে যার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা পাবেন৷ ডা. নাজমুল ইসলাম জানান, ‘‘তাদের মধ্য থেকে কতজন শেষ পর্যন্ত রেজিষ্ট্রেশন করেন তার ওপর চূড়ান্ত তালিকা হবে৷ আর টিকা সেন্টারও প্রয়োজনে বাড়ানো হবে৷” ডয়চে ভেলে
এসএস//
Leave a Reply