আদালত প্রতিবেদক : তথ্য গোপন করে একই বিষয়ে হাইকোর্টের দুটি বেঞ্চে জামিন করানোর ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, এ ধরনের অনিয়ম থেকে উত্তরণের একমাত্র পথই হচ্ছে সেন্ট্রাল ফাইলিং ব্যবস্থা কার্যকর করা।
ভার্চুয়াল আপিল বিভাগ বেঞ্চে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির (সুপ্রিমকোর্ট বার) সভাপতি ও সম্পাদকের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি এ মন্তব্য করেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চের কার্যক্রম চলাকালীন
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আপনাদের একজন মেম্বার (আইনজীবী) একই বিষয়ে দুইটি কোর্ট থেকে জামিন করিয়েছেন। এর থেকে উত্তরণের একমাত্র পথই হচ্ছে সেন্ট্রাল ফাইলিং। আমরা সেন্ট্রাল ফাইলিংয়ের ব্যবস্থার কথা ভাবছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা বসবো।’ এ সময় আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, সেন্ট্রাল ফাইলিং ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে আমাদের জন্য চয়েজ অব কোর্টে (পছন্দসই আদালত) যাওয়ার সুযোগ থাকলে ভালো হয়।
সুপ্রিমকোর্ট বার এর সভাপতি ও এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, কোন আইনজীবী যদি একই বিষয়ে একাধিক আদালতে অনিয়ম করে কোনো ফাইল করে-সেক্ষেত্রে আপনারা ব্যবস্থা নিতে পারেন।
এর আগেও প্রধান বিচারপতি আইন,আদালত, মানবাধিকার ও সংবিধান বিষয়ক সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন ল’ রিপোর্টাস ফোরাম (এলআরএফ) আয়োজিত প্রয়াত এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের জন্য শোকসভায় বলেন, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দকে বলব আপনারা যদি সেন্ট্রাল ফাইলিংয়ে আসেন। তাহলে বারের যে অনিয়ম আছে তার ৫০ শতাংশ চলে যাবে। প্রয়াত এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমেরও এটি ইচ্ছা ছিল। আর আমিও ব্যক্তিগতভাবে চাই সেন্ট্রাল ফাইলিং কার্যকর হোক। এটা যদি হয় তাহলে এখানকার অনিয়ম ৫০ শতাংশ থাকবে না।
ডিএ/এসএস//
Leave a Reply