Dhaka ০৬:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
বিপুল আনন্দ উৎসাহ উদ্দীপনায় দেশব্যাপী বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপিত ‘জুলাই আন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সহস্রাধিক লোকের সাক্ষ্য’ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এবারের নববর্ষের অঙ্গীকার : প্রধান উপদেষ্টা সোয়াই নদীর পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে : ৫’শ মিটার কাজে বাঁধা দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ডিইউজে বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতীকি ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত: সর্বোচ্চ আদালতে ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান

রুশ ও তুর্কি বাহিনীকে লিবিয়া ছাড়তে আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের

  • Update Time : ০৭:০৯:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২১
  • / ১৫ Time View

সারাদেশ ডেস্ক : যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়া থেকে তুর্কি ও রুশ বাহিনীকে সরিয়ে নিতে দেশ দুটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রশাসন।

জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রিচার্ড মিলস বলেন, ‘লিবিয়ার সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান দেখাতে এবং দেশটিতে সব ধরনের সামরিক হস্তক্ষেপ দ্রুত বন্ধ করতে রাশিয়া, তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বাইরের সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। অক্টোবরের যুদ্ধবিরতি চুক্তিমতে আমরা তুরস্ক ও রাশিয়ার কাছে তাৎক্ষণিকভাবে লিবিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার এবং নিজেদের সমর্থিত বিদেশি ভাড়াটে, প্রক্সিগুলো অপসারণের আহ্বান জানাই।’

২০১১ সালে আরব বসন্তের প্রভাবে বিক্ষোভ ও গৃহযুদ্ধে লিবিয়ার দীর্ঘকালীন শাসক মুয়াম্মার আল-গাদ্দাফির পদচ্যুতি ও নিহত হওয়ার পর দেশটি দু’পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়ে।

জাতিসংঘ স্বীকৃত লিবিয়ার সরকার রাজধানী ত্রিপোলিসহ দেশটির পশ্চিমাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে।

অন্যদিকে বেনগাজিকে কেন্দ্র করে মিসর, জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমর্থিত বিদ্রোহী জেনারেল খলিফা হাফতারের বাহিনী দেশটির পূর্বাঞ্চলের দখল নেয়।

এদিকে পররাষ্ট্রনীতিতে তুরস্ক গত বছরের জানুয়ারিতে লিবিয়ার সঙ্গে ভূমধ্যসাগরে জলসীমা চুক্তি করে। লিবিয়ার সাথে ওই চুক্তির পর তুরস্ক সামরিক শক্তি দিয়ে লিবিয়ার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের পাশে দাঁড়ায়।

দেশটির প্রায় ৮০ ভাগ দখলকারী, এমনকি রাজধানী ত্রিপলির উপকণ্ঠ পর্যন্ত ত্রাস ছড়ানো সন্ত্রাসী খলিফা হাফতারের বাহিনীকে পিছু হটাতে বাধ্য করেছে তুরস্ক। মরুর বুকে তুরস্কের সামরিক শক্তির উত্থান দেখেছে বিশ্ব। ত্রিপলি ভিত্তিক বৈধ সরকারকে হাঁফ ছেড়ে বাঁচতে সাহায্য করেছে।

লিবিয়ার সাথে এই চুক্তির বলেই তুরস্ক নৌবাহিনী দাবিয়ে বেড়িয়েছে ভূমধ্য সাগরে। তুরস্ক আরও দৃঢ় ভাবে ভূমধ্য সাগরে নিজের অবস্থানের জানান দিতে পেরেছে। গ্রিস, ইসরাইল, মিশর, সিরিয়া এক হয়ে ভূমধ্য সাগরে তুরস্ককে যে কোণঠাসা করার পরিকল্পনা করছিল তা ধূলিস্যাৎ করে দিয়েছে।

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

রুশ ও তুর্কি বাহিনীকে লিবিয়া ছাড়তে আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের

Update Time : ০৭:০৯:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২১

সারাদেশ ডেস্ক : যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়া থেকে তুর্কি ও রুশ বাহিনীকে সরিয়ে নিতে দেশ দুটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রশাসন।

জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রিচার্ড মিলস বলেন, ‘লিবিয়ার সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান দেখাতে এবং দেশটিতে সব ধরনের সামরিক হস্তক্ষেপ দ্রুত বন্ধ করতে রাশিয়া, তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বাইরের সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। অক্টোবরের যুদ্ধবিরতি চুক্তিমতে আমরা তুরস্ক ও রাশিয়ার কাছে তাৎক্ষণিকভাবে লিবিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার এবং নিজেদের সমর্থিত বিদেশি ভাড়াটে, প্রক্সিগুলো অপসারণের আহ্বান জানাই।’

২০১১ সালে আরব বসন্তের প্রভাবে বিক্ষোভ ও গৃহযুদ্ধে লিবিয়ার দীর্ঘকালীন শাসক মুয়াম্মার আল-গাদ্দাফির পদচ্যুতি ও নিহত হওয়ার পর দেশটি দু’পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়ে।

জাতিসংঘ স্বীকৃত লিবিয়ার সরকার রাজধানী ত্রিপোলিসহ দেশটির পশ্চিমাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে।

অন্যদিকে বেনগাজিকে কেন্দ্র করে মিসর, জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমর্থিত বিদ্রোহী জেনারেল খলিফা হাফতারের বাহিনী দেশটির পূর্বাঞ্চলের দখল নেয়।

এদিকে পররাষ্ট্রনীতিতে তুরস্ক গত বছরের জানুয়ারিতে লিবিয়ার সঙ্গে ভূমধ্যসাগরে জলসীমা চুক্তি করে। লিবিয়ার সাথে ওই চুক্তির পর তুরস্ক সামরিক শক্তি দিয়ে লিবিয়ার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের পাশে দাঁড়ায়।

দেশটির প্রায় ৮০ ভাগ দখলকারী, এমনকি রাজধানী ত্রিপলির উপকণ্ঠ পর্যন্ত ত্রাস ছড়ানো সন্ত্রাসী খলিফা হাফতারের বাহিনীকে পিছু হটাতে বাধ্য করেছে তুরস্ক। মরুর বুকে তুরস্কের সামরিক শক্তির উত্থান দেখেছে বিশ্ব। ত্রিপলি ভিত্তিক বৈধ সরকারকে হাঁফ ছেড়ে বাঁচতে সাহায্য করেছে।

লিবিয়ার সাথে এই চুক্তির বলেই তুরস্ক নৌবাহিনী দাবিয়ে বেড়িয়েছে ভূমধ্য সাগরে। তুরস্ক আরও দৃঢ় ভাবে ভূমধ্য সাগরে নিজের অবস্থানের জানান দিতে পেরেছে। গ্রিস, ইসরাইল, মিশর, সিরিয়া এক হয়ে ভূমধ্য সাগরে তুরস্ককে যে কোণঠাসা করার পরিকল্পনা করছিল তা ধূলিস্যাৎ করে দিয়েছে।

এসএস//