Dhaka ১২:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

বাম্পার ফলনেও হতাশ স্কোয়াশ চাষিরা

  • Update Time : ০৩:৪৪:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২১
  • / ০ Time View

জেলা প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় স্কোয়াশ চাষের বাম্পার ফলন হয়েছে । কিন্ত এতো ভালো ফলন হওয়ার পরেও হতাশ স্কোয়াশ চাষিরা। আবহাওয়া ভালো থাকায় সবজির উৎপাদনও বেশ ভালো। কিন্তু বেশি উৎপাদনের কারণে বাজার দর কম হওয়ায় চাষিরা শঙ্কিত।

তারা বলছেন- এমনিতেই নতুন এই সবজিটির সঙ্গে গ্রামের মানুষের তেমন পরিচয় নেই, আবার বেশি উৎপাদন হওয়ায় বাজারেও ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছেনা।

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় স্কোয়াশ চাষ করে প্রথমবারেই হতাশ তরুণ কৃষক হাসানুল হক। লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি এবছর দেড় বিঘা জমিতে স্কোয়াশ চাষ করেছেন।

হাসানুল হক জানান, ইন্টারনেটে স্কোয়াশের চাষবাদ দেখে তিনি চাষ শুরু করেছিলেন। দেড় বিঘা জমিতে তার আড়াই হাজারের মতো স্কোয়াশ গাছ রয়েছে। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। প্রতিটি গাছেই ৪-৫টা করে স্কোয়াশ ধরেছে।

তিনি বলেন, স্কোয়াশ খুবই দ্রুত সময়ের ফসল। বীজ রোপণের ৫৫ দিনেই ফল পেয়েছি। জমি বর্গা, সেচ, জমি প্রস্তুতি, লেবার সবকিছু মিলিয়ে মোট ৩০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। ভালো দাম হলে প্রায় ৭০-৮০ হাজার টাকার মতো বিক্রি হতো। তবে এবার যে দাম, লাভ তো দূরের কথা খরচও উঠবে না। এত ফলন হলে কি হবে, দাম নাই।

তিনি বলেন, একমাত্র বাজারে স্কোয়াশের দাম না থাকার কারণে চাষিদের লোকসান হচ্ছে। তাছাড়া এবার স্কোয়াশ খুবই ভালো হয়েছে। রোগবালাই কম, আবহাওয়াও বেশ ভালো ছিলো। দাম ভালো হলে স্কোয়াশ চাষ খুবই লাভজনক হতো।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বলেন, স্কোয়াশ একটি বিদেশি সবজি। তবে আমাদের অঞ্চলের আবহাওয়া স্কোয়াশ চাষের উপযোগী। আমরা এই নতুন সবজি চাষ সম্প্রসারণের চেষ্টা করছি।

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

বাম্পার ফলনেও হতাশ স্কোয়াশ চাষিরা

Update Time : ০৩:৪৪:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২১

জেলা প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় স্কোয়াশ চাষের বাম্পার ফলন হয়েছে । কিন্ত এতো ভালো ফলন হওয়ার পরেও হতাশ স্কোয়াশ চাষিরা। আবহাওয়া ভালো থাকায় সবজির উৎপাদনও বেশ ভালো। কিন্তু বেশি উৎপাদনের কারণে বাজার দর কম হওয়ায় চাষিরা শঙ্কিত।

তারা বলছেন- এমনিতেই নতুন এই সবজিটির সঙ্গে গ্রামের মানুষের তেমন পরিচয় নেই, আবার বেশি উৎপাদন হওয়ায় বাজারেও ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছেনা।

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় স্কোয়াশ চাষ করে প্রথমবারেই হতাশ তরুণ কৃষক হাসানুল হক। লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি এবছর দেড় বিঘা জমিতে স্কোয়াশ চাষ করেছেন।

হাসানুল হক জানান, ইন্টারনেটে স্কোয়াশের চাষবাদ দেখে তিনি চাষ শুরু করেছিলেন। দেড় বিঘা জমিতে তার আড়াই হাজারের মতো স্কোয়াশ গাছ রয়েছে। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। প্রতিটি গাছেই ৪-৫টা করে স্কোয়াশ ধরেছে।

তিনি বলেন, স্কোয়াশ খুবই দ্রুত সময়ের ফসল। বীজ রোপণের ৫৫ দিনেই ফল পেয়েছি। জমি বর্গা, সেচ, জমি প্রস্তুতি, লেবার সবকিছু মিলিয়ে মোট ৩০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। ভালো দাম হলে প্রায় ৭০-৮০ হাজার টাকার মতো বিক্রি হতো। তবে এবার যে দাম, লাভ তো দূরের কথা খরচও উঠবে না। এত ফলন হলে কি হবে, দাম নাই।

তিনি বলেন, একমাত্র বাজারে স্কোয়াশের দাম না থাকার কারণে চাষিদের লোকসান হচ্ছে। তাছাড়া এবার স্কোয়াশ খুবই ভালো হয়েছে। রোগবালাই কম, আবহাওয়াও বেশ ভালো ছিলো। দাম ভালো হলে স্কোয়াশ চাষ খুবই লাভজনক হতো।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বলেন, স্কোয়াশ একটি বিদেশি সবজি। তবে আমাদের অঞ্চলের আবহাওয়া স্কোয়াশ চাষের উপযোগী। আমরা এই নতুন সবজি চাষ সম্প্রসারণের চেষ্টা করছি।

এসএস//