যৌন নির্যাতন ধর্ষণের শিকার নারী-শিশুর পরিচয় গণমাধ্যমে প্রকাশ বন্ধ নিশ্চিতে রিট
- Update Time : ০৭:৩১:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২১
- / ১ Time View
সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক : যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার নারী-শিশুর ছবি ও পরিচয় গণমাধ্যমে প্রকাশ না করতে আইনী বিধানের বাস্তবায়ন চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠন ‘জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনে’র পক্ষে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন আজ এই রিট করেন।
স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, তথ্য সচিব, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) এই রিটে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়েছে।
রিটের বিষয়ে আইনজীবী মাহফুজুর রহমান মিলন সারাদেশ’কে রিট দায়ের বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার নারী-শিশুর ছবি ও পরিচয় গণমাধ্যমে প্রকাশ না করার বিধান রয়েছে। তবে অনেকাংশে এই বিধানের বাস্তবায়ন লক্ষণীয় নয়।
তিনি বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বলে আছে, ধারা ‘১৪। (১) এই আইনে বর্ণিত অপরাধের শিকার হইয়াছেন এইরূপ নারী বা শিশুর ব্যাপারে সংঘটিত অপরাধ বা তত্সম্পর্কিত আইনগত কার্যধারার সংবাদ বা তথ্য বা নাম-ঠিকানা বা অন্যবিধ তথ্য কোন সংবাদ পত্রে বা অন্য কোন সংবাদ মাধ্যমে এমনভাবে প্রকাশ বা পরিবেশন করা যাইবে যাহাতে উক্ত নারী বা শিশুর পরিচয় প্রকাশ না পায় ।
‘(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করা হইলে উক্ত লংঘনের জন্য দায়ী ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের প্রত্যেকে অনধিক দুই বৎসর কারাদণ্ডে বা অনূর্ধ্ব এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
এ আইনজীবী বলেন, আইনটির বাস্তবায়ন লক্ষণীয় না থাকার বাস্তবতায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনার আর্জি পেশ করে রিট পিটিশনটি করা হয়েছে।
আগামী রোববার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য কার্যতালিকায় থাকবে।
তিনি সারাদেশ এর সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ধর্ষণের শিকার কোনো নারীর ছবি প্রকাশে আইনে বাধা থাকলেও বিভিন্ন গণমাধ্যমে ধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুর ছবি প্রকাশ করা হচ্ছে। এতে তাদের পরিবারের সদস্যরা সামাজিকভাবে হেয় হচ্ছেন। বিশেষ করে সম্প্রতি ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যাওয়া ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের এক শিক্ষার্থীর ছবি দেশের অধিকাংশ গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। কুমিল্লার কলেজ ছাত্রী তনু হত্যাসহ এরূপ বহু দৃষ্টান্ত রযেছে। এসব ছবি প্রকাশের ঘটনা আমাদের ব্যথিত করে। তাই সংক্ষুব্ধ হয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আর্জি পেশ করে রিটটি দায়ের করেছি।
ডিএ/এসএস//