ফজিলতপূর্ণ অসাধারণ একটি জিকিরে মহান আল্লাহ তাআলা বান্দাকে দুনিয়া ও পরকালের অসাধারণ মর্যাদা দান করবেন। যে যতবেশি পড়বে তার উপকারিতা ও মর্যাদা ততবেশি হবে। হাদিসের বর্ণনা থেকে তা প্রমাণিত। কী সেই জিকির ও জিকিরের মর্যাদা?
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যাক্তি বলবে-
لَاۤ اِلٰهَ إِلَّااللّٰهُ، وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهْوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيْرٌ
উচ্চারণ : ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন কাদির।’
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই। তিনি একক, তাঁর কোন শরিক নেই। সব রাজত্ব তাঁর, সব প্রশংসা তাঁর। তিনি সব কিছুর ওপর শক্তিমান।’
উপকারিতা
> রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন- এ তাওহিদের কালেমা পড়ে যে ১০০ গণনা পূর্ণ করবে, সে (যেসব মর্যাদা লাভ করবে, তাহলো) –
– ১০ জন গোলাম মুক্ত করার নেকি পাবে ।
– ১০০টি নেকি লাভ করবে।
– ১০০ টি গোনাহ থেকে ক্ষমা পাবে ।
– সে ওই দিন (সারাদিন) শয়তানের ক্ষতি থেকে মুক্ত থাকবে ।
– আর তার চেয়ে বেশি নেকি কেউ করতে পারবে না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন- এ দোয়া (তাওহিদের জিকির) সবচেয়ে উত্তম।’ (বুখারি ও মুসলিম)
অন্য বর্ণনায় এসেছে- ‘কোনো লোক তার চেয়ে উত্তম সাওয়াবের কাজ করতে পারবে না। তবে ‘হ্যাঁ’, ওই ব্যক্তি ব্যতিত যে এ জিকির বা দোয়াটির আমল বেশি পরিমাণে করবে।’ (বুখারি)
> যে ব্যক্তি এ জিকিরটি ১০ বার বলবে, সে চারজন ইসমাঈল বংশীয় ক্রীতদাসকে মুক্ত করার সমান সাওয়াব পাবে।’ (নাসাঈ)
> যে ব্যক্তি এই জিকিরটি ১ বার বলবে, সে একজন বা দুজন ক্রীতদাস আজাদ করে দেয়ার সাওয়াব পাবে।’ (মাজমাউয যাওয়াইদ)
> যে ব্যক্তি এই জিকিরটি পড়বে আল্লাহ তাআলা সব আসমান ছেদ করে তার দিকে (রহমতের) দৃষ্টিতে তাকাবেন।’ (নাসাঈ)
জিকির করার সময় ও পদ্ধতি
হাদিসে বর্ণিত তাওহিদের এ জিকির বা দোয়াটি পড়ার সুনির্দিষ্ট কোনো সময় ও পদ্ধতি নেই। তবে প্রত্যেক নামাজের পর সালাম ফিরিয়ে মুমিন মুসলমান তাওহিদের এ কালেমাটি পড়ে থাকেন। মুমিন মুসলমান যে কোনো সময় এ জিকির বা দোয়াটি পড়তে পারেন।
আল্লাহ তাআলা মুমিন মুসলমানকে হাদিসে বর্ণিত তাওহিদের ঘোষণার অসাধারণ এ জিকিরটি পড়ে ঘোষিত ফজিলত ও উপকারিতা লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
এসএস//
Leave a Reply