লাইফস্টাইল ডেস্ক : আমলকী ও বহেড়ার সঙ্গে হরিতকী ভেজানো পানি শত রোগের আশ্চর্য মহৌষধ। পাইলস, হাঁপানি, চর্ম রোগ, ক্ষত রোগ, কনজাংটিভাইটিস রোগে হরিতকী ব্যবহূত হয় বিশেষভাবে পরিশোধনের মাধ্যমে। এটি ট্যানিন, অ্যামাইনো এসিড, ফ্রুকটোজ, সাকসিনিক এসিড এবং বিটা সাইটোস্টেরল সমৃদ্ধ। বিশেষ করে ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাসজনিত রোগের ক্ষেত্রে হরিতকী বিশেষ উপকারী।
এবার জেনে নিন প্রতিদিন হরিতকী খেলে আরও যেসব ক্ষেত্রে উপকার পাওয়া যায়—
১. হরিতকী চূর্ণ ঘিয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে পিত্তশূল দূর হয়।
২. হরিতকী ভেজানো পানি রক্তচাপ এবং অন্ত্রের খিঁচুনি হ্রাস করে। হৃদপিন্ড ও অন্ত্রের অনিয়ম দূর করে।
৩. এটি রেচক, কষাকারক, পিচ্ছিলকারক, পরজীবীনাশক, পরিবর্তনসাধক, অন্ত্রের খিঁচুনি রোধক এবং স্নায়বিক শক্তিবর্ধক। যে কারণে এটি নতুন ও পুরাতন কোষ্ঠকাঠিন্য, স্নায়বিক দুর্বলতা, অবসাদ এবং অধিক ওজনের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
৪. হরিতকীর গুঁড়া পানিতে মিশিয়ে খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
৫. যারা চুলকানির (অ্যালার্জি) সমস্যায় কষ্ট পাচ্ছেন, তারা প্রতিদিন হরিতকী ফুটিয়ে সেই পানি খেলে আরাম পাবেন।
৬. হরিতকীতে অ্যানথ্রাইকুইনোন থাকার কারণে রেচক বৈশিষ্ট্যসমৃদ্ধ এবং এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
৭. হরিতকী গুঁড়া নারিকেল তেলের সঙ্গে ফুটিয়ে আঙ্গুলের ডগায় নিয়ে চুলের গোড়ায় ম্যাসেজ করলে চুল ভালো থাকে।
৮. গলাব্যথা বা মুখ ফুলে গেলে হরিতকী পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি দিয়ে গার্গল করলে ব্যথা কমে।
৯. দাঁতে ব্যথা হলে হরিতকী গুঁড়া লাগালে ব্যথা দূর হয়।
১০. রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে সামান্য বিট লবণ, ২ গ্রাম লবঙ্গ বা দারুচিনির সঙ্গে হরিতকীর গুঁড়া মিশিয়ে খেলে পেট পরিষ্কার হয়।
এসএস//
Leave a Reply