সারাদেশ ডেস্ক : ভূমধ্যসাগরে তুরস্কের দুই প্রতিদ্বন্ধী দেশ ইসরাইল ও গ্রিস প্রায় ১.৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের বৃহত্তম নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে।
ইসরাইলি পত্রিকা দ্য টাইমস অফ ইসরাইল এ খবর প্রকাশ করেছে। এটি বিশ্বের বৃহত্তম চুক্তি।
দু’দেশের সংশ্লিষ্ট প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে স্বাক্ষরিত হতে যাওয়া চুক্তিটি ইসরাইলের বৃহত্তম বেসরকারী অস্ত্র সংস্থা এলবিট সিস্টেমকে গ্রিসের হেলেনিক এয়ার ফোর্সের জন্য একটি ফ্লাইট স্কুল স্থাপন ও পরিচালনার অনুমোদন দিবে।
২০১৪ সালে গাজার যুদ্ধে ব্যবহৃত ড্রোনগুলোর প্রায় ৮৫ ভাগ সরবরাহ করেছে এলবিট। ভয়াবহ এ যুদ্ধে মাত্র ৫০ দিনে দুই হাজার ২০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়, যাদের মধ্যে শুধু শিশুর সংখ্যাই ছিল ৫০০। পুরো ব্রিটেন জুড়ে ইসরাইলি অস্ত্র সংস্থাটির দশটি সাইট রয়েছে।
গ্রিক সরকার ইসরাইলের কাছ থেকে সিমুলেটর, প্রশিক্ষণ ও লজিস্টিক সহায়তা নেয়ার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ বিমানও কিনবে। ইসরাইলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘোষণায় বলা হয়, এ চুক্তিটি বিশ বছরের অধিক সময়ের জন্য কার্যকর হবে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ বলেন, ‘এ চুক্তি গ্রিসের সাথে আমাদের চমৎকার ও বিকাশমান সম্পর্কের প্রতিফলন’। তিনি বলেন, ‘এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্ব যা ইসরাইল ও গ্রিস উভয় দেশের স্বার্থে কাজ করবে, দু’দেশেই ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে ও ভূমধ্যসাগরে দেশ দু’টির স্থিতিশীলতা বাড়াবে।’
গত নভেম্বর মাসে ইসরাইল, গ্রিস ও গ্রিক সাইপ্রাস পরস্পরের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা জোরদার করতে সম্মত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ চুক্তিটি স্বাক্ষর হতে যাচ্ছে। দেশ তিনটি পূর্ব ভূমধ্যসাগর জুড়ে তুরস্কের একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের অধিকার অস্বীকার করলে এ অঞ্চলে উত্তেজনা দেখা দেয়। ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করে তারা।
ইসরাইলি মন্ত্রণালয়ের রফতানি ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিভাগের প্রধান ইয়ার কুলাস বলেন, এ চুক্তির ব্যাপারে গ্রিক সরকারের অনুমোদন ইসরাইলের সাথে দেশটির চমৎকার প্রতিরক্ষা সম্পর্ককে আরো গভীর করার এক ঐতিহাসিক অভিযাত্রা।
তিনি বলেন, ‘এটি শুধুমাত্র একটি প্রতিরক্ষা রফতানি চুক্তি নয়, এটি কমপক্ষে বিশ বছরের একটি অংশীদারিত্ব। আমি আস্থা রাখার জন্য ও ইসরাইলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও আমাদের দুর্দান্ত প্রতিরক্ষা শিল্পকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বটি অর্পণ করায় গ্রিসের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ দিতে চাই।
এসএস//
Leave a Reply