Dhaka ০৫:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
বিপুল আনন্দ উৎসাহ উদ্দীপনায় দেশব্যাপী বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপিত ‘জুলাই আন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সহস্রাধিক লোকের সাক্ষ্য’ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এবারের নববর্ষের অঙ্গীকার : প্রধান উপদেষ্টা সোয়াই নদীর পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে : ৫’শ মিটার কাজে বাঁধা দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ডিইউজে বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতীকি ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত: সর্বোচ্চ আদালতে ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান

হাফিজ-শওকতের বিরুদ্ধে বিএনপি নমনীয়

  • Update Time : ০২:৩১:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ১৮ Time View

সারাদেশ ডেস্ক : দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত না থাকা সত্ত্বেও কর্মসূচি পালন করায় দলের দুই ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও শওকত মাহমুদের বিরুদ্ধে আপাতত কঠোর কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না বিএনপি।

দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিক থেকে এ ধরনের বার্তা দেয়া হয়েছে বলে দলটির দায়িত্বশীল সূত্র জানায়।

১৪ ডিসেম্বর রাজধানীতে একটি কর্মসূচিতে অংশ নেয়াকে কেন্দ্র করে দলের শোকজ নোটিস ওান শওকত মাহমুদ।

এ কর্মসূচিতে অংশ না নিতে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের কঠোর বার্তা দেয়া হয়। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে হাফিজ উদ্দিন ও শওকত মাহমুদ ওই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হন। এ কারণে তাদের শোকজ করা হয়। হাফিজ উদ্দিনকে ৫ দিন ও শওকত মাহমুদকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়।

এই বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে শোকজের জবাব দিয়েছেন শওকত মাহমুদ।

বুধবার রাতে তার একান্ত সহকারী আবদুল মমিন নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জবাব পৌঁছে দেন। শওকত মাহমুদের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানায়, তিন লাইনে তিনি তার জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, জাতীয়তাবাদী দলের আদর্শের বাইরে, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে শৃঙ্খলাবিরোধী কোনো কাজে তিনি জ্ঞাতসারে সম্পৃক্ত ছিলেন না। এরপরও তার অজান্তে কোনো কাজে জড়িত থাকলে তার জন্য তিনি দুঃখিত। এদিকে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মেজর (অব.) হাফিজ শোকজের জবাব দেননি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমার বক্তব্য শনিবার (আগামীকাল) বেলা ১১টায় বনানীর নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানাব।

হাফিজের ঘনিষ্ঠ এক নেতা জানান, শোকজের লিখিত জবাব সংবাদ মাধ্যমকে জানানোর পর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেবেন হাফিজউদ্দিন। রাজনীতি থেকে তিনি অবসর নেয়ার ঘোষণাও দিতে পারেন বলে জানা গেছে।

তবে বিএনপির একটি অংশ তাকে সংবাদ সম্মেলন থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ ইস্যুতে বৃহস্পতিবার গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেন। এরপর তারা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ নেতারা জানান, দলের দায়িত্বশীল নেতাদের পরামর্শে হাফিজ উদ্দিন ও শওকত মাহমুদের বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও ইতিবাচক। তাদের বিষয়ে কোন কঠোরতা নয়।

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

হাফিজ-শওকতের বিরুদ্ধে বিএনপি নমনীয়

Update Time : ০২:৩১:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২০

সারাদেশ ডেস্ক : দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত না থাকা সত্ত্বেও কর্মসূচি পালন করায় দলের দুই ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও শওকত মাহমুদের বিরুদ্ধে আপাতত কঠোর কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না বিএনপি।

দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিক থেকে এ ধরনের বার্তা দেয়া হয়েছে বলে দলটির দায়িত্বশীল সূত্র জানায়।

১৪ ডিসেম্বর রাজধানীতে একটি কর্মসূচিতে অংশ নেয়াকে কেন্দ্র করে দলের শোকজ নোটিস ওান শওকত মাহমুদ।

এ কর্মসূচিতে অংশ না নিতে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের কঠোর বার্তা দেয়া হয়। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে হাফিজ উদ্দিন ও শওকত মাহমুদ ওই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হন। এ কারণে তাদের শোকজ করা হয়। হাফিজ উদ্দিনকে ৫ দিন ও শওকত মাহমুদকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়।

এই বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে শোকজের জবাব দিয়েছেন শওকত মাহমুদ।

বুধবার রাতে তার একান্ত সহকারী আবদুল মমিন নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জবাব পৌঁছে দেন। শওকত মাহমুদের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানায়, তিন লাইনে তিনি তার জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, জাতীয়তাবাদী দলের আদর্শের বাইরে, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে শৃঙ্খলাবিরোধী কোনো কাজে তিনি জ্ঞাতসারে সম্পৃক্ত ছিলেন না। এরপরও তার অজান্তে কোনো কাজে জড়িত থাকলে তার জন্য তিনি দুঃখিত। এদিকে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মেজর (অব.) হাফিজ শোকজের জবাব দেননি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমার বক্তব্য শনিবার (আগামীকাল) বেলা ১১টায় বনানীর নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানাব।

হাফিজের ঘনিষ্ঠ এক নেতা জানান, শোকজের লিখিত জবাব সংবাদ মাধ্যমকে জানানোর পর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেবেন হাফিজউদ্দিন। রাজনীতি থেকে তিনি অবসর নেয়ার ঘোষণাও দিতে পারেন বলে জানা গেছে।

তবে বিএনপির একটি অংশ তাকে সংবাদ সম্মেলন থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ ইস্যুতে বৃহস্পতিবার গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেন। এরপর তারা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ নেতারা জানান, দলের দায়িত্বশীল নেতাদের পরামর্শে হাফিজ উদ্দিন ও শওকত মাহমুদের বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও ইতিবাচক। তাদের বিষয়ে কোন কঠোরতা নয়।

এসএস//