Dhaka ০৬:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
বিপুল আনন্দ উৎসাহ উদ্দীপনায় দেশব্যাপী বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপিত ‘জুলাই আন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সহস্রাধিক লোকের সাক্ষ্য’ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এবারের নববর্ষের অঙ্গীকার : প্রধান উপদেষ্টা সোয়াই নদীর পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে : ৫’শ মিটার কাজে বাঁধা দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ডিইউজে বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতীকি ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত: সর্বোচ্চ আদালতে ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান

গণফোরামে ‘বহিষ্কার পাল্টা–বহিষ্কার’ অকার্যকর: ড. কামাল

  • Update Time : ০৬:০২:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ১৯ Time View

নিজস্ব প্রতিনিধি: গণফোরামের সভাপতি ড.কামাল হোসেন বলেছেন, দলের মধ্যে এযাবৎ যেসব বহিষ্কার পাল্টা–বহিষ্কার হয়েছে, তা এখন থেকে অকার্যকর হিসেবে গণ্য হবে। চলমান সমস্যার সমাধানে জাতীয় কাউন্সিল হবে।

আজ রোববার ড. কামাল হোসেনের স্বাক্ষরে তাঁর সচিব শাহজাহানের পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়। বিবৃতিতে ড. কামাল বলেন, ‘সম্প্রতি গণফোরামের অভ্যন্তরে ভুল–বোঝাবুঝির কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। উদ্ভূত সমস্যার সমাধানকল্পে সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গণফোরামের জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে দলের অভ্যন্তরে যে বহিষ্কার পাল্টা–বহিষ্কার হয়েছে, তা অকার্যকর বলে গণ্য হবে।’

২০১৯ সালে ২৬ এপ্রিল গণফোরামের সর্বশেষ কাউন্সিল হয়। সেখানে একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে দলে যোগ দেওয়া রেজা কিবরিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। সে কাউন্সিলের পর থেকেই গণফোরামে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। দলে বহিষ্কার পাল্টা–বহিষ্কার চলে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর গণফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টুর নেতৃত্বে একটি সভা হয়। সেখান থেকে ২৬ ডিসেম্বর কাউন্সিলের ঘোষণা দেয় গণফোরামের এই অংশ। তারা সেদিন সংগঠনের শৃঙ্খলা ও গঠনতন্ত্র অমান্য করে সংগঠনের ঐক্য ও স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য গণফোরামের আহ্বায়ক কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া, সদস্য মোহসিন রশিদ, আওম শফিক উল্লাহ এবং মোশতাক আহমেদকে বহিষ্কার করে।

এ ছাড়া ১৭ অক্টোবর দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ ও গঠনবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে শোকজ নোটিশের জবাব না দেওয়ায় গণফোরামের ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন অংশ মন্টু, সুব্রতসহ আটজনকে বহিষ্কার করে এবং ১২ ডিসেম্বর কাউন্সিলের ঘোষণা দেয়।

বহিষ্কার পাল্টা–বহিষ্কারের মধ্যেই দুই পক্ষ এক হওয়ার গুঞ্জন শোনা যায় এবং গত ১১ নভেম্বর রেজা কিবরিয়া এক বিবৃতিতে তাঁদের কাউন্সিল স্থগিতের কথা জানান।

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

গণফোরামে ‘বহিষ্কার পাল্টা–বহিষ্কার’ অকার্যকর: ড. কামাল

Update Time : ০৬:০২:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০

নিজস্ব প্রতিনিধি: গণফোরামের সভাপতি ড.কামাল হোসেন বলেছেন, দলের মধ্যে এযাবৎ যেসব বহিষ্কার পাল্টা–বহিষ্কার হয়েছে, তা এখন থেকে অকার্যকর হিসেবে গণ্য হবে। চলমান সমস্যার সমাধানে জাতীয় কাউন্সিল হবে।

আজ রোববার ড. কামাল হোসেনের স্বাক্ষরে তাঁর সচিব শাহজাহানের পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়। বিবৃতিতে ড. কামাল বলেন, ‘সম্প্রতি গণফোরামের অভ্যন্তরে ভুল–বোঝাবুঝির কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। উদ্ভূত সমস্যার সমাধানকল্পে সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গণফোরামের জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে দলের অভ্যন্তরে যে বহিষ্কার পাল্টা–বহিষ্কার হয়েছে, তা অকার্যকর বলে গণ্য হবে।’

২০১৯ সালে ২৬ এপ্রিল গণফোরামের সর্বশেষ কাউন্সিল হয়। সেখানে একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে দলে যোগ দেওয়া রেজা কিবরিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। সে কাউন্সিলের পর থেকেই গণফোরামে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। দলে বহিষ্কার পাল্টা–বহিষ্কার চলে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর গণফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টুর নেতৃত্বে একটি সভা হয়। সেখান থেকে ২৬ ডিসেম্বর কাউন্সিলের ঘোষণা দেয় গণফোরামের এই অংশ। তারা সেদিন সংগঠনের শৃঙ্খলা ও গঠনতন্ত্র অমান্য করে সংগঠনের ঐক্য ও স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য গণফোরামের আহ্বায়ক কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া, সদস্য মোহসিন রশিদ, আওম শফিক উল্লাহ এবং মোশতাক আহমেদকে বহিষ্কার করে।

এ ছাড়া ১৭ অক্টোবর দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ ও গঠনবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে শোকজ নোটিশের জবাব না দেওয়ায় গণফোরামের ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন অংশ মন্টু, সুব্রতসহ আটজনকে বহিষ্কার করে এবং ১২ ডিসেম্বর কাউন্সিলের ঘোষণা দেয়।

বহিষ্কার পাল্টা–বহিষ্কারের মধ্যেই দুই পক্ষ এক হওয়ার গুঞ্জন শোনা যায় এবং গত ১১ নভেম্বর রেজা কিবরিয়া এক বিবৃতিতে তাঁদের কাউন্সিল স্থগিতের কথা জানান।

এসএস//