সারাদেশ ডেস্ক : অন্যায় পরিহার ও আল্লাহর এবাদত করা নারী-পুরুষকে মানুষ নেককার বান্দা বলে জানে। যারা প্রতিনিয়ত আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করে। কে নেককার এ জ্ঞান একমাত্র আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন। তবে মানুষের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছেন, যাদের মধ্যে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য বা গুণ রয়েছে, যাতে কে নেককার আর কে বদকার, তার ধারণা পাওয়া যায়।
নেককার ব্যক্তির তিনটি গুণ
১) যারা আল্লাহর বিধি-বিধান মেনে চলেন, তাদের কাছে নিজের অভ্যন্তরীণ কাজ তথা ইবাদত-বন্দেগির অবস্থা ও বিষয়াদি বর্ণনা করা। যদি তাঁরা তা পছন্দ করে, তবেই মনে করবে যে তুমি নেককার।
২) নিজের নফসের সামনে দুনিয়াকে (ভোগ-বিলাস, লোভ-লালসাকে) পেশ করা। যদি দুনিয়ার লোভ-লালসা তোমাকে আকৃষ্ট করতে না পারে, তাহলেই বুঝবে যে, তুমি নেককার।
৩) নিজের সামনে (কল্পনায়) মৃত্যুকে উপস্থিত কর। যদি অন্তর নিজের মৃত্যুর ওপর (এ মর্মে আত্মতৃপ্তি লাভ করে যে, মারা গেলেও কোনো সমস্যা নেই; জীবনের চলমান সময়টি অন্যায়-অপরাধ, ভোগ-বিলাস থেকে মুক্ত এবং আত্মা মৃত্যুর ওপর) সন্তুষ্ট থাকে। আর তাড়াতাড়ি আল্লাহর দিদার লাভের জন্য অন্তরে আনন্দ অনুভূত হয়, তবে বুঝবে যে, তুমি নেককার। (তাম্বিহুল গাফেলিন)
যখনই মানুষের অন্তরে এ গুণ তিনটি প্রকাশ পায়, তবে এসব গুণের অধিকারীকে বুঝতে হবে যে, তিনি নেককার। আর এ জন্য মহান আল্লাহর কৃতজ্ঞতাজ্ঞাপন করা জরুরি। নিজেদের অক্ষমতা প্রকাশ করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থণা করাও জরুরি। এসব নেককার বান্দার জন্যই রয়েছে জান্নাতের ঘোষণা। কুরআনুল কারিমে মহান আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন- ‘যারা ঈমান আনে এবং ভালো কাজ করে, তাদের অভ্যর্থনার জন্য আছে জান্নাতুল ফেরদাউস।’ (সুরা কাহফ : আয়াত ১০৭)
এসএস//
Leave a Reply