আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে মালয়েশিয়ায় কর্মহীন হয়ে আর্থিক সঙ্কটে মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে নয়জন বাংলাদেশীসহ প্রায় ৪৯ জন অভিবাসী শ্রমিক আত্মহত্যা করেছেন বলে একাধিক রিপোর্টে জানা গেছে।
দেশটির মানবাধিকার সংস্থার এক কর্মী বলেছেন, পুলিশের ওই রিপোর্টটি উদ্বেগজনক, কারণ প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি!
সম্প্রতি মালয়েশিয়ার একাধিক সংবাদমাধ্যম হারিয়ান মেট্রো, মালয়েশিয়া কিনি এবং বুকিত আমান (সিআইডি) ও বালাই পুলিশের আলাদা প্রতিবেদনে থেকে ওই তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে এক বরাত দিয়ে জানা গেছে, মৃত অভিবাসীদের মধ্যে বাংলাদেশের ৯ জন, মায়ানমারের ১৪ জন, নেপালের ৯ জন, ভারতের ৫ জন, ইন্দোনেশিয়ার ৬ জন, পাকিস্তানের ২ জন, ভিয়েতনামের ১ জন এবং ব্রিটিশ নাগরিক ১ জন ও অস্ট্রেলিয়ার ১ জন নাগরিক রয়েছেন।
বাকিদের এখনো পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। জুস নামে এক অনলাইনে প্রতিবেদনে লিখেছে, দেশটিতে ১৮ মার্চ থেকে শুরু করে একটানা দীর্ঘ লকডাউনে অনেক মানুষ তাদের কাজ হারিয়েছে। এমতাবস্থায় চরম আর্থিক ও খাদ্য সঙ্কটে অনিশ্চিত হয়ে পড়ে অভিবাসী শ্রমিকদের কর্মজীবন।
লকডাউন চলাকালীন মালয়েশিয়ান নাগরিকেরা প্রতিমাসে একটি নির্দিষ্ট হারে সরকারের আর্থিক অনুদান পেয়েছে। যার ফলে মালয়েশিয়ানদের দৈনন্দিন জীবন স্বাভাবিকভাবে কাটলেও অনাহারে দিন কাটানো অভিবাসীদের কপালে জোটেনি এক মুঠো সরকারি সাহায্য।
এসএস//
Leave a Reply