সারাদেশ ডেস্ক : বাংলাদেশকে আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যেই করোনাভাইরাসের টিকা সরবরাহের আশ্বাস দিয়েছে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস-গ্যাভি।
বিশ্বের নিম্ন ও মধ্য আয়ের ৯২টি দেশকে করোনাভাইরাসের টিকা সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে। তার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশের জন্য টিকা সরবরাহ করবে তারা।
একজন মানুষ দুই ডোজ করে টিকা পাবেন। সেই হিসাবে বাংলাদেশের জনসংখ্যার ২০ শতাংশের জন্য গ্যাভির কাছ থেকে ৬ কোটি ৮০ লাখ ডোজ টিকা পাওয়া যাবে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মা, শিশু ও কৈশোর স্বাস্থ্য কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক গনমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, যারা আগে জাতীয় ভ্যাকসিন বিতরণ পরিকল্পনা জমা দেবে তারাই আগে ভ্যাকসিন পাবে। গ্যাভি যখন থেকে পরিকল্পনা জমা নেওয়া শুরু করবে, আশা করছি আমরা প্রথম দিনই আমাদের পরিকল্পনা জমা দিতে পারব।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা করোনাভাইরাসের যে টিকা তৈরি করছে, তার উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। ওই টিকার তিন কোটি ডোজ কিনতে চলতি মাসের শুরুতে সেরাম ইনস্টিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছে সরকার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গ্যাভির কাছ থেকে প্রতি ডোজ টিকা আনতে এক দশমিক ৬২ থেকে দুই ডলারের মতো ব্যয় হবে। ভর্তুকি দিয়ে টিকা সরবরাহ করবে তারা।
অপরদিকে বেক্সিমকোর মাধ্যমে যেসব টিকা আসবে তার প্রতি ডোজের জন্য ৫ ডলার করে লাগবে বলে প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম কর্ণধার এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান জানিয়েছেন।
এসএস//
Leave a Reply