Dhaka ০৯:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে সরকার আঘাত আনতে ভয় পায় : গয়েশ্বর

  • Update Time : ০৬:০২:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ নভেম্বর ২০২০
  • / ০ Time View

মোশারফ হোসেন ভূইয়া : সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে সরকার আঘাত আনতে ভয় পায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

সোমবার ২৩ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) আয়োজিত এক প্রতীকী অনশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিএনপির নীতি নির্ধারণী ফোরামের অন্যতম সদস্য গয়েশ্বর এসব কথা বলেন। বিএফইউজে’র সভাপতি এম আব্দুল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনশনে আরো বক্তৃতা করেন জাতীয় প্রেসক্লাব ও বিএফইউজ’র সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ,দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার সম্পাদক মহিউদ্দিন আলমগীর, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা:মোস্তাফিজুর রহমান ইরান,বিএফইউজের মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন,সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ,ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারন সম্পাদক বাকের হোসাইন,জাহাঙ্গীর আলম প্রধান,ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার প্রমূখ।

কারাবন্দী সাংবাদিকদের মুক্তি ও সাগর-রুনীসহ সব সাংবাদিক হত্যা, নির্যাতনের বিচার দাবিতে এ প্রতীকী অনশন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

সাংবাদিকদের মাঝে ঐক্যমত দেখতে পাচ্ছেন না মন্তব্য করে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, যারা সাংবাদিকতা পেশায় আছে তাদের মধ্যে একটা ঐক্যমত থাকা উচিত। সেই ঐক্যমত আমরা দেখতে পাচ্ছি না। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের তো কোনো রাজনৈতিক দল থাকে না। তারা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য লড়াই করে না। সাংবাদিকরা কারো ক্ষমতায় থেকে নামানোর লড়াইও করে না। তাদের পেশাগত দায়িত্ব সাদাকে সাদা বলা, কালোকে কালো বলা। যা তিনি দেখেন, যা তিনি শোনেন সেটাই লেখেন।

প্রতীকী অনশন পূর্ণ সমর্থন করে গয়েশ্বর বলেন, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড তো অনেককিছু হওয়ার কথা। কিন্তু আমরা দেখলাম সাগর-রুনি হত্যার প্রতিবাদে একজন হয়তো পুরস্কৃত হয়েছেন। এই পুরস্কারের মধ্যে যদি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড নীরব হয়ে যায় তাহলেতো হত্যাকাণ্ড চলবেই। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে যেয়ে সাংবাদিকরা সরকারের রোষানলে পড়তে চান না বলেই সাগর-রুনির হত্যাকারীদের শনাক্ত হয়েও শনাক্ত হচ্ছে না। জনগণের সামনে প্রকাশ হচ্ছে না। একজন সাংবাদিকের উপরে আঘাত হানলে যদি সকল সাংবাদিক ঐক্যবদ্ধ হয় তাহলে সরকার আঘাত আনতে ভয় পায়।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র নয় হাসিনাতন্ত্র চলছে। হাসিনাতন্ত্রের আদলে দেশ চলছে। এই আদলে দেশ-বিদেশে সাথে বন্ধুত্ব চলছে। সে কারণেই হাসিনাতন্ত্র যদি প্রত্যাহার করতে না পারেন তাহলে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে না। গণতন্ত্রের সংবিধানে প্রতিস্থাপিত হবে না। যেখানে গণতন্ত্র থাকে না সেখানে সকল পেশার মানুষ অধিকারহীন হয়।

গয়েশ্বর আলো বলেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যত্রতত্র মামলা হচ্ছে। শুধু আইনের ভাষা নয় দৈহিক নির্যাতন এবং হত্যা-খুনের শিকার হচ্ছেন। একজন সাংবাদিকের প্রতি আরেকজন সাংবাদিকের সহমর্মিতা থাকবে। রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে হয়তো কারো কারো ভিন্ন মতাদর্শের থাকতে পারে।

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে সরকার আঘাত আনতে ভয় পায় : গয়েশ্বর

Update Time : ০৬:০২:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ নভেম্বর ২০২০

মোশারফ হোসেন ভূইয়া : সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে সরকার আঘাত আনতে ভয় পায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

সোমবার ২৩ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) আয়োজিত এক প্রতীকী অনশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিএনপির নীতি নির্ধারণী ফোরামের অন্যতম সদস্য গয়েশ্বর এসব কথা বলেন। বিএফইউজে’র সভাপতি এম আব্দুল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনশনে আরো বক্তৃতা করেন জাতীয় প্রেসক্লাব ও বিএফইউজ’র সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ,দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার সম্পাদক মহিউদ্দিন আলমগীর, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা:মোস্তাফিজুর রহমান ইরান,বিএফইউজের মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন,সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ,ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারন সম্পাদক বাকের হোসাইন,জাহাঙ্গীর আলম প্রধান,ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার প্রমূখ।

কারাবন্দী সাংবাদিকদের মুক্তি ও সাগর-রুনীসহ সব সাংবাদিক হত্যা, নির্যাতনের বিচার দাবিতে এ প্রতীকী অনশন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

সাংবাদিকদের মাঝে ঐক্যমত দেখতে পাচ্ছেন না মন্তব্য করে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, যারা সাংবাদিকতা পেশায় আছে তাদের মধ্যে একটা ঐক্যমত থাকা উচিত। সেই ঐক্যমত আমরা দেখতে পাচ্ছি না। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের তো কোনো রাজনৈতিক দল থাকে না। তারা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য লড়াই করে না। সাংবাদিকরা কারো ক্ষমতায় থেকে নামানোর লড়াইও করে না। তাদের পেশাগত দায়িত্ব সাদাকে সাদা বলা, কালোকে কালো বলা। যা তিনি দেখেন, যা তিনি শোনেন সেটাই লেখেন।

প্রতীকী অনশন পূর্ণ সমর্থন করে গয়েশ্বর বলেন, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড তো অনেককিছু হওয়ার কথা। কিন্তু আমরা দেখলাম সাগর-রুনি হত্যার প্রতিবাদে একজন হয়তো পুরস্কৃত হয়েছেন। এই পুরস্কারের মধ্যে যদি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড নীরব হয়ে যায় তাহলেতো হত্যাকাণ্ড চলবেই। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে যেয়ে সাংবাদিকরা সরকারের রোষানলে পড়তে চান না বলেই সাগর-রুনির হত্যাকারীদের শনাক্ত হয়েও শনাক্ত হচ্ছে না। জনগণের সামনে প্রকাশ হচ্ছে না। একজন সাংবাদিকের উপরে আঘাত হানলে যদি সকল সাংবাদিক ঐক্যবদ্ধ হয় তাহলে সরকার আঘাত আনতে ভয় পায়।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র নয় হাসিনাতন্ত্র চলছে। হাসিনাতন্ত্রের আদলে দেশ চলছে। এই আদলে দেশ-বিদেশে সাথে বন্ধুত্ব চলছে। সে কারণেই হাসিনাতন্ত্র যদি প্রত্যাহার করতে না পারেন তাহলে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে না। গণতন্ত্রের সংবিধানে প্রতিস্থাপিত হবে না। যেখানে গণতন্ত্র থাকে না সেখানে সকল পেশার মানুষ অধিকারহীন হয়।

গয়েশ্বর আলো বলেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যত্রতত্র মামলা হচ্ছে। শুধু আইনের ভাষা নয় দৈহিক নির্যাতন এবং হত্যা-খুনের শিকার হচ্ছেন। একজন সাংবাদিকের প্রতি আরেকজন সাংবাদিকের সহমর্মিতা থাকবে। রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে হয়তো কারো কারো ভিন্ন মতাদর্শের থাকতে পারে।

এসএস//