সারাদেশ ডেস্ক : ভোরের শিশির জানান দিচ্ছে শীত আসছে। উত্তরের হিমেল হাওয়ার দাপটে বেড়েছে শীতের তীব্রতা।
অতিথি পাখির গুঞ্জনে-কুঞ্জনে সবুজ-বনানী পরিবেষ্টিত রূপসী বাংলার নির্জন প্রান্তর তখন সেজে ওঠে নতুন সাজে, নবরূপে। দীর্ঘ লকডাউনের কারণে হয়ত শহরের দূষণের মাত্রা এ বছর কম। শীত আসার মুখেই শহরে আসতে শুরু করেছে পরিযায়ী পাখির ঝাঁক প্রাতঃভ্রমণকারীদের পাশাপাশি পেশাদার ও শৌখিনরাও ভিড় জমাচ্ছেন এই অতিথিদের দেখতে।
এলাকার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত হয়ে উঠলো জলাশয়ের চারপাশ। উড়াউড়ি, ছুটোছুটি, খুনসুটি আর মনের সুখে সাঁতার খেলায় ব্যস্ত হয়ে পড়লো এক ঝাঁক পাখি। শহরের নতুন অতিথি এখন তারা। অন্য এলাকা থেকে উড়ে আসা এই পাখির নাম পাতি সরালি। উষ্ণতার খোঁজে আসা এসব অতিথিদের মনোরম দৃশ্যের দেখা মিললো। আর যান্ত্রিক শহরে এখন এই নতুন অতিথিদের কোলাহলে ঘুম ভাঙে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
প্রতি বছর শীতকালে আমাদের দেশে অতিথি পাখিরা আসে। ওরা আসে মূলত হিমালয়ের পাদদেশ আর রাশিয়ার বিভিন্ন জায়গা থেকে। এই পাখিগুলো দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনই সুন্দর তাদের গায়ের বাহারি রঙ। ওদের দেখলেই মন ভরে যায়। আমাদের দেশে মোট পাখি আছে প্রায় ৬২৮ প্রজাতির। এর মধ্যে ২৪৪ প্রজাতির পাখিই স্থায়ীভাবে বাংলাদেশে বাস করে না। শীতপ্রধান দেশ থেকে হাজারো মাইল পাড়ি দিয়ে সবুজ পাহাড়ের হাতছানিতে প্রকৃতির ডাকে ছুটে আসে অতিথি পাখি। হ্রদের জলেভাসা চরগুলোতে শত শত অতিথি পাখির কলতানে মনোমুগ্ধকর হয়ে উঠে প্রকৃতি। বিশেষ করে শীত মৌসুমের শুরুতেই পর্যটন শহরের বিভিন্ন উপজেলাসহ পাহাড়ের বিভিন্ন বিলে ঝাঁকে ঝাঁকে আসতে থাকে অতিথি পাখির দল। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা এসব পাখির কলরবে কানায় কানায় ভরে যায় নদীর তীর ও জলেভাসা চরগুলো। প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় সাধারণত অতিথি পাখি বেশি দেখা যায়। প্রতি বছরের মতো এ বছরও শীতের শুরুতেই পাহাড়ি অঞ্চলে অতিথি পাখি এসেছে চোখে পড়ার মতো।
এসএস//
Leave a Reply