কুমিল্লা প্রতিনিধি : কুমিল্লা জেলা কৃষি পণ্য, সবজি উৎপাদনে দেশের অন্যতম সমৃদ্ধ জনপদ। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সবজি উৎপাদনে একেকটি বিশেষত্ব রয়েছে।
এর মধ্যে জেলার বরুড়ায় ধনেপাতা চাষে কৃষকরা বরবারই সফল। এখানকার কৃষক লাভজনক এ চাষের মাধ্যমে পেয়েছেন আর্থিক সচ্ছলতা। উপজেলার হরিপুর, কালির বাজার এলাকার উর্বর পলি মাটিতে ধনেপাতা চাষে বেশ সফলতা পাচ্ছে স্থানীয় কৃষকরা। উর্বর পলি মাটিতে খুবই দ্রুত বেড়ে উঠে ধনেপাতা গাছ। ধনেপাতা সারা বছরই রান্নায় একটি অতি প্রয়োজনীয় উপাদান।
জেলা ও উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, ধনিয়ার পাতা মসলা বা খাদ্য সুগন্ধিকারক হিসেবে দেশে ব্যবহার করা হয়। সাধারণত এর কাঁচা পাতা ব্যবহার হয়। শুকালে এর পাতার তীব্র সুগন্ধ নষ্ট হয় না। ধনিয়া যে শুধু রান্নাকে সুগন্ধময় ও সুস্বাদু করে তাই নয়, এর ভেষজ মূল্যও আছে। জ্বর, হাইপার টেনশন, অ্যাজমা, পাকস্থলীর জ্বালা পোড়া, কৃমি, সাপে কামড়ানো, ডায়রিয়া, ম্যালেরিয়া ইত্যাদি রোগের চিকিৎসায় ধনিয়া সফলভাবে ব্যবহার হয়ে আসছে।
ধনেপাতা চাষী মোশাররফ মিয়া জানায়, ধনেপাতা চাষ অত্যন্ত লাভজনক। এটির ফল বেশ দ্রুতই পাওয়া যায়। তিনি জানান, এবছর ৩৫ শতক জমিতে ধনে পাতা চাষ করেছেন। বর্তমানে ধনে পাতার বাজার মূল্যও ভালো।
সরেজমিন দেখা যায়, বরুড়ায় উৎপাদিত ধনেপাতা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে জেলার বিভিন্ন হাট বাজারেও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, ধনে পাতা মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় এবং চাহিদাপূর্ণ একটি উপাদান। প্রতিটি পরিবারে তরিতরকারি রান্নার কাজে এটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এছাড়াও ধনিয়া পাতার রয়েছে- ১১ জাতের এসেনশিয়াল অয়েল, ৬ ধরনের অ্যাসিড, ভিটামিন, মিনারেল এবং অন্যান্য ফাইবার, ম্যাংগানিজ আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-কে, ফসফরাস, ক্লোরিন ও প্রোটিন। এ উদ্ভিদ অ্যান্টিসেপ্টিক, অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং যেকোনও চুলকানি ও চামড়ার জ্বলনে গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ হিসেবে কাজ করে থাকে।
তাই ধনেপাতা চাষে জেলার কৃষকদের সরকারের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহযোগিতা কৃষি বিভাগ করে যাচ্ছে বলে জানায় কৃষি অফিস।
এসএস//
Leave a Reply