সুপ্রিম কোর্ট প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে হাইকোর্ট আদেশ ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার জজ।
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী ডিপজলের আনা আবেদনের ওপর শুনানি শেষে চেম্বার কোর্ট বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম সোমবার এ আদেশ দেন।
ডিপজলের পক্ষে আইনজীবীরা জানান, হাইকোর্ট আদেশ স্থগিত করায় এখন সাধারণ সম্পাদক পদে ডিপজলের দায়িত্ব পালনে আর কোন বাধা রইল না।
আদালতে ডিপজলের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র এডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, জয়নুল আবেদীন ও সাঈদ আহমেদ রাজা। আর নিপুণের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র এডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক, আইনজীবী পলাশ চন্দ্র রায়।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে পরাজিত প্রার্থী নাসরিন আক্তার নিপুণের দায়ের করা রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ ডিপজলের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে গত ২০ মে আদেশ দেয়। সেই সাথে নির্বাচনে অনিয়মের ঘটনা তদন্তের নির্দেশনার পাশাপাশি রুলও জারি করে হাইকোর্ট।
গত ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪–২৬ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে নিপুণ ও মাহমুদ কলি প্যানেলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মিশা-ডিপজল প্যানেল।
ভোট গ্রহণ শেষে ২০ এপ্রিল সকালে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত ফলাফলে সভাপতি পদে মিশা সওদাগর ২৬৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। আর ১৭০ ভোট পান তার প্রতিদ্বন্দ্বী সভাপতি প্রার্থী মাহমুদ কলি। অন্যদিকে মাত্র ১৬ ভোটের ব্যবধানে সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজলের কাছে হেরে যান নিপুণ। যেখানে ডিপজল পান ২২৫ ভোট আর নিপুণ ২০৯ ভোট।
ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর নিপুণ ডিপজল ও মিশাকে ফুলের মালা পরিয়ে দিয়ে স্বাগত জানান। মিশা ও ডিপজল তাদের গলায় পরিয়ে দেয়া মালা নিপুণকেও পরিয়ে দেন। তবে ফুলের মালা দিয়ে বরণের ২৫ দিন পর নির্বাচিত কমিটির বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেন নিপুণ।
হাইকোর্ট আদেশের পর নিপুনের পক্ষে আইনজীবী সিনিয়র এডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক বলেছিলেন, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদি নির্বাচনের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আদেশ দেয় হাইকোর্ট।
তিনি বলেন, ওই নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও সাধারণ সম্পাদক পদে অভিযোগ ছিল গুরুতর। ওই নির্বাচন নানা অনিয়ম, টাকা ছড়াছড়ি ও ভোটার বের করে দেয়ার অভিযোগ ছিল। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের বরাবর নিপুন আবেদন করলেও তারা কোন পদক্ষেপ নেননি। আদালত সাধারণ সম্পাদক পদে অনিয়মের বিষয়টি কন্সিডারেশনে নিয়েছেন। নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করতে সংশ্লিষ্টদের আদেশ দেয় হাইকোর্ট।
ডিপজলের আবেদনের শুনানি নিয়ে ওই হাইকোর্ট আদেশ স্থগিত করে আজ আদেশ দেয় আপিল বিভাগের চেম্বার জজ।
ডিএএম/কেকে//
Leave a Reply