Dhaka ০৯:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ এর (সংশোধিত ২০২২ সালে) বিধি ৩৬১ক (২) এর বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল

  • Update Time : ১০:৩১:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩
  • / ০ Time View

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ এর (সংশোধিত ২০২২ সালে) বিধি ৩৬১ক (২) এর বৈধতা প্রশ্নে কারণ দর্শাতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব নেতৃত্বাধীন একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন।

রিটের পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার কাজী মারুফুল আলম আদালতের আদেশের বিষয়টি জানান। দুই সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ এর (সংশোধিত ২০২২ সালে) বিধি ৩৬১ক (২) এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করা হয়েছে।

মানবাধিকার সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ফ্লাড) এর পক্ষে সংগঠনের সেক্রেটারি হাসিন রশিদ রিটটি দায়ের করেন।
রিটে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ৫ জনকে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়।

রিট আবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৮ সালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি থেকে নারী-মেয়ে শিশুদের রক্ষার্থে উপযুক্ত নীতিমালা তৈরির বিষয়ে একটি রিট দায়ের করা হয়েছিল। ওই রিটের ওপর ২০০৯ সালের ১৪ মে হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করেন।

সেই রায়ে দেশের সব প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। বেশকিছু নির্দেশনা দিয়ে রায়ে বলা হয়েছিল-প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি গঠিত হবে।

যার মধ্যে ২ জনকে প্রতিষ্ঠানের বাইরে থেকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। অথচ সেই রায় অনুসরণ না করে ২০২২ সালে বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ এর সংশোধন করা হয়। এই সংশোধিত আইনের বিধি ৩৬১ক (২)এ বলা হয়, ‘প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে অন্যূন ৫ সদস্যবিশিষ্ট যৌন হয়রানি প্রতিরোধ বিষয়ে অভিযোগ কমিটি গঠন করতে হবে, যার প্রধান হবেন একজন নারী এবং কমিটিতে প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ নারী প্রতিনিধি থাকবেন।’ অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানের বাইরে থেকে ২ জন সদস্যকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্তির যে রায় রয়েছে, তা এই সংশোধনী বিধিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এর ফলে কোনও ভুক্তভোগীর সঠিক বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তাই রিটে এই বিধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

ডিএএম/কেকে//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ এর (সংশোধিত ২০২২ সালে) বিধি ৩৬১ক (২) এর বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল

Update Time : ১০:৩১:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ এর (সংশোধিত ২০২২ সালে) বিধি ৩৬১ক (২) এর বৈধতা প্রশ্নে কারণ দর্শাতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব নেতৃত্বাধীন একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন।

রিটের পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার কাজী মারুফুল আলম আদালতের আদেশের বিষয়টি জানান। দুই সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ এর (সংশোধিত ২০২২ সালে) বিধি ৩৬১ক (২) এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করা হয়েছে।

মানবাধিকার সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ফ্লাড) এর পক্ষে সংগঠনের সেক্রেটারি হাসিন রশিদ রিটটি দায়ের করেন।
রিটে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ৫ জনকে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়।

রিট আবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৮ সালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি থেকে নারী-মেয়ে শিশুদের রক্ষার্থে উপযুক্ত নীতিমালা তৈরির বিষয়ে একটি রিট দায়ের করা হয়েছিল। ওই রিটের ওপর ২০০৯ সালের ১৪ মে হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করেন।

সেই রায়ে দেশের সব প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। বেশকিছু নির্দেশনা দিয়ে রায়ে বলা হয়েছিল-প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি গঠিত হবে।

যার মধ্যে ২ জনকে প্রতিষ্ঠানের বাইরে থেকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। অথচ সেই রায় অনুসরণ না করে ২০২২ সালে বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ এর সংশোধন করা হয়। এই সংশোধিত আইনের বিধি ৩৬১ক (২)এ বলা হয়, ‘প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে অন্যূন ৫ সদস্যবিশিষ্ট যৌন হয়রানি প্রতিরোধ বিষয়ে অভিযোগ কমিটি গঠন করতে হবে, যার প্রধান হবেন একজন নারী এবং কমিটিতে প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ নারী প্রতিনিধি থাকবেন।’ অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানের বাইরে থেকে ২ জন সদস্যকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্তির যে রায় রয়েছে, তা এই সংশোধনী বিধিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এর ফলে কোনও ভুক্তভোগীর সঠিক বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তাই রিটে এই বিধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

ডিএএম/কেকে//