Dhaka ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
মামলা হলেই গ্রেফতার নয়, তদন্তে দায় পাওয়া গেলে ব্যবস্থা: আইজিপি `অন্তর্ভূক্তিমূলক রাষ্ট্রকাঠামোই জাতীয়তাবাদের উপহার’-অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান বিপুল আনন্দ উৎসাহ উদ্দীপনায় দেশব্যাপী বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপিত ‘জুলাই আন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সহস্রাধিক লোকের সাক্ষ্য’ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এবারের নববর্ষের অঙ্গীকার : প্রধান উপদেষ্টা সোয়াই নদীর পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে : ৫’শ মিটার কাজে বাঁধা দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ডিইউজে বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতীকি ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত: সর্বোচ্চ আদালতে ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

যশোরের বাঘারপাড়ার ৪ আসামির রায় যে কোনো দিন

  • Update Time : ০৬:৫০:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩
  • / ২৪ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক:
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যশোরের বাঘারপাড়ার মো. আমজাদ হোসেন মোল্লাসহ চার আসামির রায় যে কোনো দিন (সিএভি) ঘোষণা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

এ মামলায় যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল আজ এ আদেশ দেন।

ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, মো. সাহিদুর রহমান ও রেজিয়া সুলতানা চমন শুনানি করেন। অপরদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম ও আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।

২০১৮ সালে ১৬ এপ্রিল রাজধানীর ধানমন্ডিতে এ মামলায় তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মামলায় পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। আসামিরা হলেন- মো. আমজাদ হোসেন মোল্লা, মো. ওহাব মোল্লা, মো. মাহতাব বিশ্বাস, মো. ফসিয়ার রহমান মোল্লা ও মো. নওশের বিশ্বাস।

এরমধ্যে অন্য মামলায় গ্রেফতার থাকা আমজাদ হোসেন মোল্লাকে ২০১৭ সালের ২২ মে হাজিরের পর থেকে এ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। আর বাকী চারজন ছিলেন পলাতক। এরমধ্যে আবার নওশের বিশ্বাস মারা যান। ফলে এখন আসামি চারজন।.মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে আটক, নির্যাতন, হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। আমজাদ মোল্লা যশোর বাঘারপাড়া থানার থানার রাজাকার কমান্ডার ছিলেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭১ সালে মুসলিম লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল এ মামলার তদন্ত শুরু হয়ে ২০১৮ সালের ১৬ এপ্রিল শেষ হয়। তদন্ত সংস্থা মামলায় পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিলের পর ট্রাইব্যুনালে ফরমাল চার্জ (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) দাখিল করে প্রসিকিউশন। এরপর আসামিদের বিরুদ্ধে ট্র্যাইব্যুনালে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।

যশোর জেলার বাঘারপাড়া থানাধীন উত্তর চাদপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তাকারী মো. ময়েনউদ্দিন ওরফে ময়না এবং মো. আয়েনউদ্দিন ওরফে আয়েনকে অপহরণ করে হত্যা, একই গ্রামের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের লোক ও আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা প্রদানকারী ডা. নওফেল উদ্দিন বিশ্বাসকে হত্যা, গাইদঘাট গ্রামের সুরত আলী বিশ্বাস ও মোক্তার বিশ্বাসকে অপহরণ করে হত্যা এবং মাগুরা জেলার শালিখা থানার সীমাখালীর চিত্রা নদীর খেয়াঘাটের মাঝি রজব আলী বিশ্বাসকে আটক করে হত্যা করার অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগে সাক্ষ্য পেশ করে প্রসিকিউশন।

ডিএএম/এসকে//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

যশোরের বাঘারপাড়ার ৪ আসামির রায় যে কোনো দিন

Update Time : ০৬:৫০:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যশোরের বাঘারপাড়ার মো. আমজাদ হোসেন মোল্লাসহ চার আসামির রায় যে কোনো দিন (সিএভি) ঘোষণা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

এ মামলায় যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল আজ এ আদেশ দেন।

ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, মো. সাহিদুর রহমান ও রেজিয়া সুলতানা চমন শুনানি করেন। অপরদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম ও আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।

২০১৮ সালে ১৬ এপ্রিল রাজধানীর ধানমন্ডিতে এ মামলায় তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মামলায় পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। আসামিরা হলেন- মো. আমজাদ হোসেন মোল্লা, মো. ওহাব মোল্লা, মো. মাহতাব বিশ্বাস, মো. ফসিয়ার রহমান মোল্লা ও মো. নওশের বিশ্বাস।

এরমধ্যে অন্য মামলায় গ্রেফতার থাকা আমজাদ হোসেন মোল্লাকে ২০১৭ সালের ২২ মে হাজিরের পর থেকে এ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। আর বাকী চারজন ছিলেন পলাতক। এরমধ্যে আবার নওশের বিশ্বাস মারা যান। ফলে এখন আসামি চারজন।.মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে আটক, নির্যাতন, হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। আমজাদ মোল্লা যশোর বাঘারপাড়া থানার থানার রাজাকার কমান্ডার ছিলেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭১ সালে মুসলিম লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল এ মামলার তদন্ত শুরু হয়ে ২০১৮ সালের ১৬ এপ্রিল শেষ হয়। তদন্ত সংস্থা মামলায় পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিলের পর ট্রাইব্যুনালে ফরমাল চার্জ (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) দাখিল করে প্রসিকিউশন। এরপর আসামিদের বিরুদ্ধে ট্র্যাইব্যুনালে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।

যশোর জেলার বাঘারপাড়া থানাধীন উত্তর চাদপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তাকারী মো. ময়েনউদ্দিন ওরফে ময়না এবং মো. আয়েনউদ্দিন ওরফে আয়েনকে অপহরণ করে হত্যা, একই গ্রামের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের লোক ও আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা প্রদানকারী ডা. নওফেল উদ্দিন বিশ্বাসকে হত্যা, গাইদঘাট গ্রামের সুরত আলী বিশ্বাস ও মোক্তার বিশ্বাসকে অপহরণ করে হত্যা এবং মাগুরা জেলার শালিখা থানার সীমাখালীর চিত্রা নদীর খেয়াঘাটের মাঝি রজব আলী বিশ্বাসকে আটক করে হত্যা করার অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগে সাক্ষ্য পেশ করে প্রসিকিউশন।

ডিএএম/এসকে//