Dhaka ০৭:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

বিচারকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার বিষয়ে নীলফামারী বার সভাপতিকে তলব

  • Update Time : ০৪:৩২:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ১ Time View

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবদেক :
বিচারকের সঙ্গে অপেশাদারিত্বমূলক, আক্রমণাত্মক ও দুর্ব্যবহারের বিষয়ে নীলফামারী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মমতাজুল হককে তলব করেছে হাইকোর্ট।

তার সঙ্গে আরও দুই আইনজীবীকেও তলব করা হয়েছে। দুই আইনজীবী হলেন, মো. আজহারুল ইসলাম ও ফেরদৌস আলম।

নীলফামারীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) গোলাম সারোয়ারের অভিযোগ বিষয়ে প্রধান বিচারপতির নির্দেশ উপস্থাপনের পর বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিল সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে আজ এ আদেশ দেন।

আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি তাদের তিন জনকে সশরীরে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে আদালত অবমাননার দায়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন হাইকোর্ট।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

গত ২৯ নভেম্বর সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর নীলফামারীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) গোলাম সারোয়ার একটি পত্র পাঠান। সেই পত্রে বলা হয়, গত ২৮ নভেম্বর নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনের এক মামলায় আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেই। এ আদেশ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই ওই মামলার নিয়োজিত আইনজীবী মমতাজুল হক, মো. আজাহারুল ইসলাম, ফেরদৌস আলমসহ তাদের অপরাপর সহযোগী আইনজীবীরা অত্যন্ত মারমুখী হয়ে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে এজলাসের টেবিল চাপড়িয়ে বিকট শব্দে আমার প্রতি বিরূপ উক্তি উচ্চারণ করে এবং হামলার প্রয়াস চালায়। তারা হুমকি দিয়ে বলেন, জামিন দিয়ে নেমে যা, স্যরি বল, চাকরি করার দরকার নাই, বাড়ি গিয়ে বসে থাক, কোথা থেকে পড়াশোনা করেছো, আইন-কানুন জানো না, নীলফামারীর বার খুবই ভয়ঙ্কর, এর আগে অনেক বিচারককে পিটিয়ে এখান থেকে তাড়িয়েছি, কোথা থেকে এসেছো, এসেই উল্টা পাল্টা আদেশ দাও।

এজলাসের অবস্থা বেগতিক দেখে আমি তাদের সঙ্গে কোনো তর্কে না জড়িয়ে তাৎক্ষণিকভাবে এজলাসের কার্যক্রম মুলতবি রেখে আমার খাস কামরায় চলে যাই, সেখানে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করি। অপেক্ষা করাকালীন সময়েও ওই আইনজীবীরা আমাকে খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন।

এটি সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল প্রধান বিচারপতির কাছে উপস্থাপন করা হয়। গত ৩ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি অভিযোগটি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে উপস্থাপনের নির্দেশ দেন। তার ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি হাইকোর্টের কার্যতালিকায় উঠার পর আদেশ দেয়া হয়।

এর আগেও খুলনা, পিরোজপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ সম্প্রতি দেশের কয়েকটি জেলায় বিচারকের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের ঘটনায় আইনজীবী সমিতির সভাপতি-সম্পাদকদকে তলব করে হাইকোর্ট আদেশ দেন।

ডিএএম/কেকে//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

বিচারকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার বিষয়ে নীলফামারী বার সভাপতিকে তলব

Update Time : ০৪:৩২:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবদেক :
বিচারকের সঙ্গে অপেশাদারিত্বমূলক, আক্রমণাত্মক ও দুর্ব্যবহারের বিষয়ে নীলফামারী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মমতাজুল হককে তলব করেছে হাইকোর্ট।

তার সঙ্গে আরও দুই আইনজীবীকেও তলব করা হয়েছে। দুই আইনজীবী হলেন, মো. আজহারুল ইসলাম ও ফেরদৌস আলম।

নীলফামারীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) গোলাম সারোয়ারের অভিযোগ বিষয়ে প্রধান বিচারপতির নির্দেশ উপস্থাপনের পর বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিল সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে আজ এ আদেশ দেন।

আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি তাদের তিন জনকে সশরীরে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে আদালত অবমাননার দায়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন হাইকোর্ট।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

গত ২৯ নভেম্বর সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর নীলফামারীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) গোলাম সারোয়ার একটি পত্র পাঠান। সেই পত্রে বলা হয়, গত ২৮ নভেম্বর নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনের এক মামলায় আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেই। এ আদেশ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই ওই মামলার নিয়োজিত আইনজীবী মমতাজুল হক, মো. আজাহারুল ইসলাম, ফেরদৌস আলমসহ তাদের অপরাপর সহযোগী আইনজীবীরা অত্যন্ত মারমুখী হয়ে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে এজলাসের টেবিল চাপড়িয়ে বিকট শব্দে আমার প্রতি বিরূপ উক্তি উচ্চারণ করে এবং হামলার প্রয়াস চালায়। তারা হুমকি দিয়ে বলেন, জামিন দিয়ে নেমে যা, স্যরি বল, চাকরি করার দরকার নাই, বাড়ি গিয়ে বসে থাক, কোথা থেকে পড়াশোনা করেছো, আইন-কানুন জানো না, নীলফামারীর বার খুবই ভয়ঙ্কর, এর আগে অনেক বিচারককে পিটিয়ে এখান থেকে তাড়িয়েছি, কোথা থেকে এসেছো, এসেই উল্টা পাল্টা আদেশ দাও।

এজলাসের অবস্থা বেগতিক দেখে আমি তাদের সঙ্গে কোনো তর্কে না জড়িয়ে তাৎক্ষণিকভাবে এজলাসের কার্যক্রম মুলতবি রেখে আমার খাস কামরায় চলে যাই, সেখানে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করি। অপেক্ষা করাকালীন সময়েও ওই আইনজীবীরা আমাকে খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন।

এটি সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল প্রধান বিচারপতির কাছে উপস্থাপন করা হয়। গত ৩ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি অভিযোগটি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে উপস্থাপনের নির্দেশ দেন। তার ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি হাইকোর্টের কার্যতালিকায় উঠার পর আদেশ দেয়া হয়।

এর আগেও খুলনা, পিরোজপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ সম্প্রতি দেশের কয়েকটি জেলায় বিচারকের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের ঘটনায় আইনজীবী সমিতির সভাপতি-সম্পাদকদকে তলব করে হাইকোর্ট আদেশ দেন।

ডিএএম/কেকে//