1. newsroom@saradesh.net : News Room : News Room
  2. saradesh.net@gmail.com : saradesh :
গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সাব-কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে গেজেট বাতিলে এখতিয়ার জামুকার নেই : হাইকোর্ট রায় - সারাদেশ.নেট
বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:১৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার হাইকোর্টে ২৩ অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগ খালাস পেলেন যুবদল নেতা আইনজীবী নুরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ আপিল বিভাগে তালিকাভুক্ত হলেন এডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা নিউইয়র্কে ইউনূস ও বাইডেনের বৈঠক মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর বিচারপ্রার্থীগণকে উন্নত সেবা প্রদানে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রধান বিচারপতির নির্দেশনা প্রথমবারের মতো সেনাসদরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সাব-কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে গেজেট বাতিলে এখতিয়ার জামুকার নেই : হাইকোর্ট রায়

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২৩

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের গেজেটভুক্ত ২২ জন নৌ-কমান্ডোকে বীর মুক্তিযোদ্ধার গেজেট থেকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই ২২ জন নৌ-কমান্ডো মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের দায়ের করা রিটে জারি করা রুল যথাযথ (এ্যাবসিলিউট) ঘোষণা করে এ রায় দেয়া হয়। বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেন সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ রায় দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৌফিক ইনাম টিপু। তিনি জানান, ২০০৩ সালে সরকার গঠিত সাত সদস্যের একটি যাচাই-বাছাই কমিটি ৪৭২ জন মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রণয়ন করে। উক্ত কমিটির সুপারিশের আলোকে পরে ২০০৫ সালে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় রিট আবেদনকারী ২২ জন নৌ-কমান্ডোকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে হিসেবে গেজেটভুক্ত করে এবং স্বীকৃতি স্বরূপ রাষ্ট্রীয় ভাতা দিয়ে আসছে। কিন্তু ওই নৌ-কমান্ডো মুক্তিযোদ্ধাদের আবারো যাচাই-বাছাইয়ের আওতায় আনা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২২ জন রিট আবেদনকারীসহ ২৪ জন নৌ-কমান্ডো বীর মুক্তিযোদ্ধার জন্য ২০১৬ সালের ৭ এপ্রিল (৩৫তম সভায়) জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) একটি সিদ্ধান্ত নেয়। পরে ২২ মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার রিট করে। রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৬ সালের ৯ মে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রুলে ২০১৬ সালের ৭ এপ্রিল জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের আবেদনকারীসহ ২৪ নৌ-কমান্ডোকে বীর মুক্তিযোদ্ধা গেজেট থেকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না, তা জানতে চেয়েছেন। পাশাপাশি সিদ্ধান্তও স্থগিত করেন। ওই রুলের শুনানি শেষে মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ৩৫ তম সভার সংশ্লিষ্ট ওই সিদ্ধান্ত বাতিল করে আজ রায় দেন হাইকোর্ট।

তৌফিক ইনাম টিপু জানান, এই রায়ে উল্লেখ করেন-গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সাব-কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে তাদের গেজেট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়ার কোনো এখতিয়ার জামুকার নেই। এটি সরকার ও মন্ত্রণালয়ের বিষয়।

রিট আবেদনকারীরা হলেন- গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রামপুরা গ্রামের মো. আব্দুল হান্নান সরকার, রামচন্দ্রপুরের মো. বাহার উদ্দিন, রামপুরার মো. এন্তাজ আলী, মো. গোলাম মোস্তফা, মো. সাইদুর রহমান, মো. আব্দুল আজিজ শেখ, মো. ফয়জার রহমান, মো. শরীফ উদ্দিনের স্ত্রী সকিনা বেগম, জিন্নাত আলীর স্ত্রী মজিদা বেগম, আফতাব উদ্দিনের ছেলে মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী তাসলিমা বেগম, করিম বক্সের চেলে মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী আয়েশা বেগম, আমিনুল ইসলাম, বিনয় কুমার সরকার, আব্দুল গাফফারের স্ত্রী হামিদা বেগম, আশরাফুল আজাদ, গোলাম হোসেনের স্ত্রী সুফিয়া বেগম, শামসুল হক, মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো.জুয়েল সরকার, বজলুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন প্রধানের স্ত্রী নুর বেগম ও মো.হারুন অর রশিদ।

ডিএএম//

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *