নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ ও সরকারী দলের কর্মিদের অতর্কিত হামলা, গুলিবর্ষণ ও বিরোধী রাজনৈতিক কর্মি হত্যা ও গণগ্রেফতারের প্রতিবাদে রাজপথে বিক্ষোভ করেছেন আইনজীবীদের বৃহত্তর সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা-কর্মী ও সাধারণ আইনজীবীরা।
বৃহস্পতিবার ৮ ডিসেম্বর দুপুরে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় ও সুপ্রিমকোর্ট বার ইউনিটের নেতৃত্বে সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন আইনজীবীরা। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে মিছিল শুরু করেন আইনজীবীরা। বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে শিক্ষাভবন, কদম ফোয়ারা, জাতীয় ঈদগাহ মাঠ হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবে গিয়ে বিক্ষোভ মিছিল শেষ হয় আইনজীবীদের এ মিছিল।
মিছিল শেষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিমকোর্ট ইউনিটের সভাপতি আব্দুল জাব্বার ভূঁইয়া, ও সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন।
ব্যারিস্টার কায়সার বলেন, বিনা উস্কানীতে বিএনপি অফিসে এ ধরনের বর্বরোচিত ও কাপুরুষোচিত হামলা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। শুধুমাত্র বিরোধী দলকে দমন করার জন্য এই ঘৃণ্য ঘটনা ঘটানো হয়েছে। বক্তারা অবিলম্বে এই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করে হত্যার জন্য দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানাচ্ছি। তিনি বলেন ১০ ডিসেম্বর বিএনপির গণসমসাবেশ হবে এবং সেই সমাবেশে আইনজীবীরা মিছিল নিয়ে যোগদান করবেন।
বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন আইনজীবী আবেদ রাজা, জামিল আক্তার এলাহী, মোহাম্মদ আলী, সুপ্রিমকোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সগীর হোসেন লিয়ন, সুপ্রিমকোর্ট বারের বর্তমান ট্রেজারার মোঃ কামাল হোসেন, সমিতির সহ-সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান খান, সাবেক সহ-সম্পাদতক মোরশেদ আল মামুন লিটন, ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ, গাজী তৌহিদুল ইসলাম, শামীমা সুলতানা দীপ্তি, সালমা সুলতানা, ব্যারিস্টার ইমাম হোসেন, মোঃ শহিদুজ্জামান, আব্দুল্লাহ আল মাহবুব, মাহমুদ হাসান, মো. আমিনুল হক মজুমদার, আনিছুর রহমান খান, শহীদুল ইসলাম, নাসির উদ্দিন খান সম্রাট, শহীদুজ্জামান শহিদ, মোক্তার হোসেন, ব্যারিস্টার সৈয়দ তাজরুল হোসেন, জহিরুল ইসলাম সুমন, আইয়ুব আলী আশরাফী, কে আর খান পাঠান, ফাইয়াজ জিবরান মঈন, মো. মাকসুদ উল্লাহ, মু: কাইয়ুম, জুলফিকার আলম শিমুল, রাসেল আহমেদ, ফয়সাল সিদ্দিকী, মহসিন কবির, নিগার, মিজানুর রহমান টিটু, এ কে এম খলিলুল্লাহ কাসেম প্রমুখ।
১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিনা উস্কানিতে পুলিশের অহেতুক, অযাচিত ও কাপুরুষোচিত গুলিবর্ষণ, হামলা এবং পুলিশের গুলিতে পল্লবী থানার ৫নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মকবুল হোসেন হত্যা ও বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব এ্যাড. রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী এ্যাড. শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, দলের প্রচার সম্পাদ শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীসহ সহস্রাধিক নেতা-কর্মী গ্রেফতার, হয়রানী, আহত করার প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের উদ্যোগে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ডিএমে/কেকে//
Leave a Reply